সে অনেকবছর আগের কাহিনী, যখন গ্রামীনফোন দিয়ে প্রেমিকার সাথে কথা বলতে মিনিটে আড়াই টাকা কেটে নিত.....
বাপের পকেটের টাকাকে নিজের মত খরচ করে, রাতের পর রাত জেগে , আর ৩.৫ মাসের আপ্রান প্রচেষ্টার পর মেয়েটাকে পটাইতে পারল রঞ্জু। প্রেম নামের রেলগাড়ি যখন স্টার্ট দিবে দিবে অবস্থা, তখন মেয়ের পরিচয় খুজে পাইল...."রাফা" হইল সেই মেইল ট্রেনের নাম।
আরে..... রাফার বাসার পাশেই তো ওর কলেজ ফ্রেন্ড লাবনীর বাসা।তাই লাবনীকে অনুরোধ করে বলল মেয়েকে দেখে এসে একটা রিপোর্ট দিতে। ২ দিন পরে লাবনী যা বলল তাতে রঞ্জুর প্রেমের রেলগাড়ির চাকা তখনি পাংচার হইয়ে গেল।
" মাইয়া কালো, বাইট্টা, নাক লম্বা, কান খাটো, গলার আওয়াজ গন্ডার এর লাহান, চোখ দেখলে গড়িলার কথা মনে পরে......তুই এইরম মাইয়ার লগে কথা কস??? ছি ছি ছি!!!!"""
জানপ্রানের বান্ধবির মুখে এইসব শোনার পর প্রেম সেইখানেই ফুলস্টপ, বাপের খরচকৃত টাকার দিকে তাকাইয়া মেয়েরেই ইস্টপ মাইরা দিল!!!!!!
......এরপর মাস কয়েক পর, কোন এক বিয়েতে এক মাইয়ারে দেইখা রঞ্জু তো টাস্কিত। হুরপুরি বিয়া খাইতে আসছে, নাকি বিয়া হুরপুরীরে খাইতে গেছে এটা ভেবে চিন্তিত রঞ্জু। জীবন থাকুক আর না থাকুক, এই মাইয়ারে তার জীবনে চাই। কোপা শামসু অবস্থা
অনেক টাঙ্কি মারার পর পরিচয় পর্ব থেকে যা অনুধাবিত হইল তাহা হইল....
"এই মেয়ের নাম-ই রাফা, এবং তার বাসা লাবনীর বাসার ঠিক পাশেই"
যা শিখলামঃ "কখনও এক মেয়ের মুখে অন্য মেয়ের প্রশংসা আশা করবেন না।"

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


