"একজন বিস্মৃত খুনী এবং আরো একজন"
আমি তাকে খুন করেছিলাম, খুব ঠান্ডা মাথায়ই ঘটনাটা ঘটিয়েছিলাম আমি।
আমার একটুও অনুশোচনা জন্মায়নি নিজের ভেতর। অকারনেই কেমন নির্ভার লেগেছিলো।
কেনো খুনটা করতে গেলেন? এই প্রশ্ন আমার ভিতরে কখনো জন্মায়নি।
এখনো না । সেতো ভালোবাসত, বাসতো না ? খুব বাসতো বেশি বাসতো অনুপম বাসতো। তবে?
জানি না , আমার খুন করতে হয়েছিল । হয়েছিলো! কেনো? তাও জানিনা ,বারবার মনে হয়েছে তাকে আমার খুন করে ফেলা উচিত অথবা খুন হয়ে যাওয়া ।
আমি খুন হতে চেয়েছিলাম, পারিনি। একমাত্র তখনই আমি বুঝেছিলাম ততটা সাহসী আমি না যতটা দরকার নিজে নিজে খুন হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ।
তাই বলে তাকেই যে জ্ঞানশূন্য হয়ে ভালোবাসতো ! হুম। সেই সবচেয়ে বেশি করেছে আমারে পরাধিন।
ঘটনার আগে কি বুঝতে দিয়েছিলেন কিছু?
হুম, আমি তারে অনেক বার বলেছি, আমি তোমাকে খুন করবো একদিন। বিশ্বাস করেনি।
বলেছে ,
‘হৃদয়মাল্য দিয়েছি যারে
নিজ হাতে হৃদয়ের খুন ঝরাবে সে?
বিশ্বাস করতে বল?’
থানাপুলিশ হয়েছিলো? না । কেনো?
কোনো স্বাক্ষিপ্রমাণ ছিলো না।
কেনো? কিভাবে খুন করেছিলেন ?
গাঢ় পটাশিয়াম সায়ানাইটের ফোঁটা দুই তার রক্তে মিশিয়ে দিয়েছিলাম।
ওফ! ভয়াবহ!
পরিবারের কেউ আর খোঁজ করেনি?
আমি জানিনা ।
তাদের বাসা কোথায় ছিলো?
তাও জানিনা । আশ্চর্য তো ! পরিচয় কিভাবে?
কিসের পরিচয়? কার সাথে পরিচয়?
মানে ? যাকে আপনি খুন করেছেন। খুন !আমি কাকে খুন করেছি? আশ্চর্য!
একটু আগে যার কথা বলেছিলেন , যাকে ঠান্ডামাথায় খুন করেছেন বলে আমাকে ক্ষনিক আগে জানালেন?
আশ্চর্য! আপনি কে? আমি, আমি হাসান শরিফ। আপনার সাথে আমার পরিচয় কিভাবে?
জানিনা তো।
আশ্চর্য! আমরা এখন কোথায় আছি?
সম্ভবত দখিন খোলা মাঠে ।আমরা এখানে কেনো?
আপনি কেনো এসেছেন ? এমনি। আপনি?
আমি এখানে প্রায়ই আসি।
কি নাম আপনার ? বাবা-মা রেখেছিলো, অনিন্দ্য প্রান্তর । বাহ! চমৎকার নাম তো। হ্যাঁ, নামটা চমৎকারই বটে, বাবা-মা দুজনেই কবি ছিলেন । তাই? হুম। ছিলেন বলছেন যে বেঁচে নেই আর? না। ও, আমি দুঃখিত। অকারনেই আমি তাঁদের কথা মনে করিয়ে দিয়ে মনটা খারাপ করে দিলাম। আরে না, মন খারাপ করে কেনো দিবেন, মা-বাবা দুজনেই যখন ঝরেছিলেন শিউলী ফুলের মতো, আমি তখন হাঁটি গুটি গুটি পায়ে যেনো নড়বড়ে বুড়ো।
জানেন, কোনো অনুভূতিই কাজ করেনা আমার এই সব নিয়ে।
আমি প্রথম যে নারীর প্রেমবন্ধনীতে আটকা পড়েছিলাম, আমি তাকে খুন করেছিলাম, খুব ঠান্ডা মাথায়ই ঘটনাটা ঘটিয়েছিলাম আমি।
আমার একটুও অনুশোচনা জন্মায়নি নিজের ভেতর। অকারনেই কেমন নির্ভার লেগেছিলো।
কেনো খুনটা করতে গেলেন? এই প্রশ্ন আমার ভিতরে কখনো জন্মায়নি।
এখনো না । সেতো ভালোবাসত, বাসতো না ? খুব বাসতো বেশি বাসতো অনুপম বাসতো। তবে?
জানি না , আমার খুন করতে হয়েছিল । হয়েছিলো! কেনো? তাও জানিনা ,বারবার মনে হয়েছে তাকে আমার খুন করে ফেলা উচিত অথবা খুন হয়ে যাওয়া ।
আমি খুন হতে চেয়েছিলাম, পারিনি। একমাত্র তখনই আমি বুঝেছিলাম আমি ততটা সাহসী না যতটা দরকার নিজে নিজে খুন হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ।
তাই বলে তাকেই যে জ্ঞানশূন্য হয়ে ভালোবাসতো ! হুম। সেই সবচেয়ে বেশি করেছে আমারে পরাধীন।
ঘটনার আগে কি বুঝতে দিয়েছিলেন কিছু?
হুম, আমি তারে অনেক বার বলেছি, আমি তোমাকে খুন করবো একদিন। বিশ্বাস করেনি।
বলেছে ,
‘হৃদয়মাল্য দিয়েছি যারে
নিজ হাতে হৃদয়ের খুন ঝরাবে সে?
বিশ্বাস করতে বল?’
থানাপুলিশ হয়েছিলো? না । কেনো?
কোনো স্বাক্ষিপ্রমাণ ছিলো না।
কেনো? কিভাবে খুন করেছিলেন ?
গাঢ় পটাশিয়াম সায়ানাইটের ফোঁটা দুই তার রক্তে মিশিয়ে দিয়েছিলাম।
ওফ! ভয়াবহ! পরিবারের কেউ আর খোঁজ করেনি?
আমি জানিনা ।
তাদের বাসা কোথায় ছিলো?
তাও জানিনা । আশ্চর্য তো ! পরিচয় কিভাবে?
কিসের পরিচয়? কার সাথে পরিচয়?
মানে ? যাকে আপনি খুন করেছেন। খুন! আমি কাকে খুন করেছি? আশ্চর্য!
একটু আগে যার কথা বলেছিলেন, যাকে ঠান্ডামাথায় খুন করেছেন বলে আমাকে ক্ষনিক আগে জানালেন?
আপনি কে? আমি, আমি হাসান শরিফ। আপনার সাথে আমার পরিচয় কিভাবে?
জানিনা তো।
আশ্চর্য! আমরা এখন কোথায় আছি?
সম্ভবত দখিন খোলা মাঠে ।আমরা এখানে কেনো?
আপনি কেনো এসেছেন ? এমনি। আপনি?
আমি এখানে প্রায়ই আসি।
...
আলোচিত ব্লগ
আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(
আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।
ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন
মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )
যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন
কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন
একটি ছবি ব্লগ ও ছবির মতো সুন্দর চট্টগ্রাম।
এটি উন্নত বিশ্বের কোন দেশ বা কোন বিদেশী মেয়ের ছবি নয় - ছবিতে চট্টগ্রামের কাপ্তাই সংলগ্ন রাঙামাটির পাহাড়ি প্রকৃতির একটি ছবি।
ব্লগার চাঁদগাজী আমাকে মাঝে মাঝে বলেন চট্টগ্রাম ও... ...বাকিটুকু পড়ুন