somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"একজন বিস্মৃত খুনী এবং আরো একজন"

১৭ ই আগস্ট, ২০১৩ রাত ৮:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

"একজন বিস্মৃত খুনী এবং আরো একজন"

আমি তাকে খুন করেছিলাম, খুব ঠান্ডা মাথায়ই ঘটনাটা ঘটিয়েছিলাম আমি।
আমার একটুও অনুশোচনা জন্মায়নি নিজের ভেতর। অকারনেই কেমন নির্ভার লেগেছিলো।
কেনো খুনটা করতে গেলেন? এই প্রশ্ন আমার ভিতরে কখনো জন্মায়নি।
এখনো না । সেতো ভালোবাসত, বাসতো না ? খুব বাসতো বেশি বাসতো অনুপম বাসতো। তবে?
জানি না , আমার খুন করতে হয়েছিল । হয়েছিলো! কেনো? তাও জানিনা ,বারবার মনে হয়েছে তাকে আমার খুন করে ফেলা উচিত অথবা খুন হয়ে যাওয়া ।
আমি খুন হতে চেয়েছিলাম, পারিনি। একমাত্র তখনই আমি বুঝেছিলাম ততটা সাহসী আমি না যতটা দরকার নিজে নিজে খুন হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ।
তাই বলে তাকেই যে জ্ঞানশূন্য হয়ে ভালোবাসতো ! হুম। সেই সবচেয়ে বেশি করেছে আমারে পরাধিন।
ঘটনার আগে কি বুঝতে দিয়েছিলেন কিছু?
হুম, আমি তারে অনেক বার বলেছি, আমি তোমাকে খুন করবো একদিন। বিশ্বাস করেনি।
বলেছে ,
‘হৃদয়মাল্য দিয়েছি যারে
নিজ হাতে হৃদয়ের খুন ঝরাবে সে?
বিশ্বাস করতে বল?’
থানাপুলিশ হয়েছিলো? না । কেনো?
কোনো স্বাক্ষিপ্রমাণ ছিলো না।
কেনো? কিভাবে খুন করেছিলেন ?
গাঢ় পটাশিয়াম সায়ানাইটের ফোঁটা দুই তার রক্তে মিশিয়ে দিয়েছিলাম।
ওফ! ভয়াবহ!
পরিবারের কেউ আর খোঁজ করেনি?
আমি জানিনা ।
তাদের বাসা কোথায় ছিলো?
তাও জানিনা । আশ্চর্য তো ! পরিচয় কিভাবে?
কিসের পরিচয়? কার সাথে পরিচয়?
মানে ? যাকে আপনি খুন করেছেন। খুন !আমি কাকে খুন করেছি? আশ্চর্য!
একটু আগে যার কথা বলেছিলেন , যাকে ঠান্ডামাথায় খুন করেছেন বলে আমাকে ক্ষনিক আগে জানালেন?
আশ্চর্য! আপনি কে? আমি, আমি হাসান শরিফ। আপনার সাথে আমার পরিচয় কিভাবে?
জানিনা তো।
আশ্চর্য! আমরা এখন কোথায় আছি?
সম্ভবত দখিন খোলা মাঠে ।আমরা এখানে কেনো?
আপনি কেনো এসেছেন ? এমনি। আপনি?
আমি এখানে প্রায়ই আসি।
কি নাম আপনার ? বাবা-মা রেখেছিলো, অনিন্দ্য প্রান্তর । বাহ! চমৎকার নাম তো। হ্যাঁ, নামটা চমৎকারই বটে, বাবা-মা দুজনেই কবি ছিলেন । তাই? হুম। ছিলেন বলছেন যে বেঁচে নেই আর? না। ও, আমি দুঃখিত। অকারনেই আমি তাঁদের কথা মনে করিয়ে দিয়ে মনটা খারাপ করে দিলাম। আরে না, মন খারাপ করে কেনো দিবেন, মা-বাবা দুজনেই যখন ঝরেছিলেন শিউলী ফুলের মতো, আমি তখন হাঁটি গুটি গুটি পায়ে যেনো নড়বড়ে বুড়ো।
জানেন, কোনো অনুভূতিই কাজ করেনা আমার এই সব নিয়ে।
আমি প্রথম যে নারীর প্রেমবন্ধনীতে আটকা পড়েছিলাম, আমি তাকে খুন করেছিলাম, খুব ঠান্ডা মাথায়ই ঘটনাটা ঘটিয়েছিলাম আমি।
আমার একটুও অনুশোচনা জন্মায়নি নিজের ভেতর। অকারনেই কেমন নির্ভার লেগেছিলো।
কেনো খুনটা করতে গেলেন? এই প্রশ্ন আমার ভিতরে কখনো জন্মায়নি।
এখনো না । সেতো ভালোবাসত, বাসতো না ? খুব বাসতো বেশি বাসতো অনুপম বাসতো। তবে?
জানি না , আমার খুন করতে হয়েছিল । হয়েছিলো! কেনো? তাও জানিনা ,বারবার মনে হয়েছে তাকে আমার খুন করে ফেলা উচিত অথবা খুন হয়ে যাওয়া ।
আমি খুন হতে চেয়েছিলাম, পারিনি। একমাত্র তখনই আমি বুঝেছিলাম আমি ততটা সাহসী না যতটা দরকার নিজে নিজে খুন হয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে ।
তাই বলে তাকেই যে জ্ঞানশূন্য হয়ে ভালোবাসতো ! হুম। সেই সবচেয়ে বেশি করেছে আমারে পরাধীন।
ঘটনার আগে কি বুঝতে দিয়েছিলেন কিছু?
হুম, আমি তারে অনেক বার বলেছি, আমি তোমাকে খুন করবো একদিন। বিশ্বাস করেনি।
বলেছে ,
‘হৃদয়মাল্য দিয়েছি যারে
নিজ হাতে হৃদয়ের খুন ঝরাবে সে?
বিশ্বাস করতে বল?’
থানাপুলিশ হয়েছিলো? না । কেনো?
কোনো স্বাক্ষিপ্রমাণ ছিলো না।
কেনো? কিভাবে খুন করেছিলেন ?
গাঢ় পটাশিয়াম সায়ানাইটের ফোঁটা দুই তার রক্তে মিশিয়ে দিয়েছিলাম।
ওফ! ভয়াবহ! পরিবারের কেউ আর খোঁজ করেনি?
আমি জানিনা ।
তাদের বাসা কোথায় ছিলো?
তাও জানিনা । আশ্চর্য তো ! পরিচয় কিভাবে?
কিসের পরিচয়? কার সাথে পরিচয়?
মানে ? যাকে আপনি খুন করেছেন। খুন! আমি কাকে খুন করেছি? আশ্চর্য!
একটু আগে যার কথা বলেছিলেন, যাকে ঠান্ডামাথায় খুন করেছেন বলে আমাকে ক্ষনিক আগে জানালেন?
আপনি কে? আমি, আমি হাসান শরিফ। আপনার সাথে আমার পরিচয় কিভাবে?
জানিনা তো।
আশ্চর্য! আমরা এখন কোথায় আছি?
সম্ভবত দখিন খোলা মাঠে ।আমরা এখানে কেনো?
আপনি কেনো এসেছেন ? এমনি। আপনি?
আমি এখানে প্রায়ই আসি।
...
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযোদ্ধা গেরিলা দল

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ রাত ১২:২৭



গতকাল শালাবাবুকে নিয়ে দুপুরের খাবার খেতে বেরিয়েছিলাম। নগরীর আম্বরখানা এলাকায় ৩৬০ আউলিয়াদের একজন মিয়া শাহ ধনমুজি (রহঃ)-এর মাজার। সেই মাজার পার হওয়ার সময়ে হঠাৎ-ই মাথায় একটি প্রশ্ন এলো- 'হযরত... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৫ই আগস্টের ক্যু এবং আমেরিকার সংশ্লিষ্টতা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ দুপুর ১২:৫৯



১৫ই আগস্ট ক্যু এর যখন মোশতাক আহমেদ রাষ্টপতি হল তখন এমন রটনা রটে যে অভ্যুত্থানের পেছনে আমেরিকার হাত রয়েছে। বিশেষ করে সেই সময়ে সোভিয়েত রাষ্ট্রদুত আলেক্সণ্ডার ফোবিনের অনুপ্রেরণায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

লিপি আপার দর কষাকষি

লিখেছেন ঋণাত্মক শূণ্য, ০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৮

আমরা যখন ছোট ছিলাম, তখন আমাদের এলাকায় এক ধরণের বিক্রেতারা আসতেন। চারকোন একটা পাতলা বক্স, উপরে থাকতো কাঁচের পার্টিশন, যার ভিতর থেকে ভিতরের সব দেখা যেতো। থাকতো মেয়েদের সাজ-সজ্জার জিনিষপত্র।

... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিছু ঘটনার ব্যাখ্যা হয় না!

লিখেছেন শাওন আহমাদ, ০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:৩৯



এই রহস্যঘেরা পৃথিবীতে আমাদের সাথে অনেক ঘটনা ঘটে যার কোনো ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না, হন্যে হয়ে ঘটনার পিছনে ছুটেও এর কোন কূল-কিনারা করা যায় না। রহস্যগুলো আজীবন রহস্যই থেকে যায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

যাপিত জীবনঃ রাজনৈতিক রসিকতা।

লিখেছেন জাদিদ, ০২ রা অক্টোবর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৫

খালেদা জিয়ার বিদেশে চিকিৎসার ব্যাপারে সরকার বলেছে, বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হলে আগে কারাগারে যেতে হবে এবং তারপর আদালতে আবেদন করতে হবে।

খালেদা জিয়ার আইনজীবিরা এই সব মেনে নিয়েছেন এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন

×