somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ব্র্যান্ডিং ও আমাদের দেশীয় পণ্য (৩)

১১ ই এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১২:৫৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




প্রথম পর্বে ব্র্যান্ড কি , ক্রেতার ধরন, এবং যুগে যুগে ব্র্যান্ড এবং বাংলাদশে র্বতমান ব্র্যান্ড এর র্কাযক্রম ছোট আকারে তুলে ধরছেলিাম। গত পর্বে বাংলাদশে পণ্যের ব্র্যান্ডিং অবস্থান তুলে ধরেছিলাম। এবার লিখবো যারা এ পেশায় আসতে চান তাদের উদ্দেশ্যে অর্থাৎ এ পেশায় আসতে হলে কেমন যোগ্যতা বা প্রস্তুতী থাকা দরকার তা নিয়ে। আমি প্রথম পর্বেই বলেছিলাম ব্র্যান্ড হচ্ছে মার্কেটিং এর একটি ক্ষুদ্রতম অংশ কিন্তু অত্যন্ত শক্তিশালী। আমাদের দেশে এ কাজটি সাধারনত ব্যস্ত মার্কেটিং ম্যানেজার বা তদুর্দ্ধ পদবীর কাউকে পরিচালনা করতে দেখা যায়। কোম্পানীর কর্তা ব্যক্তিরাও গুরুত্ব কম দেন বিধায় পুসিং সেলই ভরসা হয়ে দাড়ায়। তবে ইদানিং বাংলাদেশী প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই ব্র্যান্ড এর লোকবল রাখছে এবং সুফল পাচ্ছে ফলে এ পেশায় চাহিদা বাড়ছে। এ পেশায় আসতে হলে যোগ্যতা

১. শিক্ষাগত যোগ্যতা : বছরখানেক আগেও এ পেশায় আসার মত তেমন কোন প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা ছিলো না। সেলস্ এর কোন কর্তা ব্যক্তিই এ বিভাগ দেখতেন। কাজের চাপ বেশী হলে সেলস্ থেকে একজনকে এনে বসিয়ে দিতেন। কিন্তু এখন দিন পাল্টিয়েছে, আলাদাভাবে ব্র্যান্ড এর লোকবল রাখা শুরু হয়েছে। এবং এর সুফলও পাচ্ছে কোম্পানীগুলো। বিদেশী পণ্যের সাথে টেক্কা মেরে সমান তালে দেশীয় পণ্য চলছে, পাশাপাশী বিদেশেও রপ্তানী হচ্ছে। প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা মোটামুটি স্নাতক বা স্নাতকোত্তর হলেই হবে তবে মার্কেটিংএ বিবিএ ও এমবিএ করা থাকলে সহজেই কাজ গুলো আয়ত্ত করা যাবে। ইদানিং দু’একটা বেসরকারী প্রতিষ্টান ব্র্যান্ড ম্যানেজমেন্ট এর উপর কোর্স এর অফার দিচ্ছে যা অত্যন্ত সুখনিয় বিষয়।

২.মানসিক এবং শারিরিক ক্ষমতা :শিক্ষাগত যোগ্যতার পাশাপাশি মানসিক এবং শারিরিক ক্ষমতার অধিকারী হতে হবে। আপনাকে পারিবারিক চাপ মুক্ত হয়ে কাজ করতে হবে কারন ক্রিয়েটিভ ওর্য়াক মানসিক পেইন নিয়ে হয় না। কাজটি অনেক ভাবনার বিষয়। প্রোডাক্ট এর গ্রাহকের ভাবনা নিয়ে কাজ করতে হয় অতএব অবচেতন মনে যদি প্রোডাক্ট এর সাথে যায় না এমন ক্যাম্পেইন করেন তাতে শুধু অর্থেরই ক্ষতি হবে এবং আপনিও ব্যপক সমালোচিত হবেন। এখন আসি শারিরিক ক্ষমতা কেনো? আপনি যখন নতুন কোথাও ব্র্যান্ডে জয়েন করবেন নিশ্চই সেখানে আপনি যে পরিশ্রমী তা প্রমান করতে হবে। আপনার বসও চাইবে ব্র্যান্ডের সব কাজ করিয়ে নিতে, সো আপনাকেতো শারিরিক ক্ষমতার অধিকারী হতেই হবে। আপনি হয়তো খেয়াল করবেন যে বাসে হকাররা উঠে তার প্রোডাক্ট বিক্রির জন্য কত না সংলাপ ব্যবহার করে এবং ব্যপক পরিশ্রম করে, তেমনি ব্র্যান্ড এর এক্সিকিউটিভ আর হকারের মধ্যে তেমন পার্থক্য নেই ।আপনি অফিসে ডেস্কে বসে প্রতিষ্ঠিত কোম্পানীর পণ্য সর্ম্পকে চাপাবাজি করেছেন আর বাসের সেই হকার কোন আনকোরা নতুন পণ্য চাপবাজি করে সরাসরি গ্রাহকের হাতে পৌছাচ্ছে।

মগবাজার থেকে মৌচাকে যারা যাতায়ত করেন তারা হয়তো একজন হকারকে দেখে থাকবেন সে কত সুন্দর পণ্যের গুনগান করছেন, ৫০ পয়সার লিচু চকলেট বিক্রি করতে তার কথা হলো আগে খাইছেন গাছে আর অহন খাইবেন বাসে। দুই পিচ ১টাকা আর ১০ পিচ চার টাকা। আনকোরা চকলেট কোম্পানীর চকলেটও সেলস্ হচ্ছে আবার ওখানে অফারও পেয়ে গেলেন। ওনাকে সালাম ওনার লেকচার শুনে নিজেও ১০ টা চকলেট কিনেছিলাম। ওনার পণ্যের বিজ্ঞাপন বিবরনী খুব গুরত্ব সহকারে শুনছিলাম। লোকটি শিক্ষিত হলে হয়তো ওনার অধিনেই একদিন চাকুরী করতে হতো এবং অনেক কিছুই শিখতে পারতাম।

৩. শেখার প্রবনতা : আপনি যদি এ পেশায় নতুন জয়েন করেন তাহলে অবশ্যই আপনাকে শেখার প্রবণতা থাকতে হবে, জানি জানি ভাবটা কমাতে হবে। ব্র্যান্ডে চাকুরীর ক্ষেত্রে এমনও হয় যে অফিসের পিয়নের কাছ থেকে আপনার ব্র্যান্ড বিষয়ে পরামর্শ আসবে, রেগে গেলে চলবে না রেগে গেলেন তো হেরে গেলেন। পিয়নটি এসে বলবে স্যার লাল রংডা বাড়াইয়া দেন ভালো লাগবো তখন সেই বিজ্ঞাপনের মত মাথা ঠান্ডা রেখে দাত কেলিয়ে বলবেন আচ্ছা দিবো। সিনিয়র যারা যেমন মার্কেটিং ডিরেক্টর, মার্কেটিং জিএম এবং মার্কেটিং সংক্রান্ত কর্মকর্তাদের পরামর্শ নেয়া ভালো। ওনারা ব্যস্ত হলেও ব্র্যান্ড বিষয়ে কিন্তু সিদ্ধহস্ত। ওনাদের পরামর্শ নিলে আপনার কাজ করতে সহজ হয়ে যাবে।যদি কোন এজেন্সির সাথে কাজ করতে যান তাদের সহযোগিতা করুন প্রতিষ্ঠান সর্ম্পকে তথ্য দিন, ম্যানেজমেন্ট কি চায় সে সর্ম্পকে তথ্য দিন, আন্তরিকতার সাথে মিশুন অনেক কিছুই শিখতে পারবেন এবং খুব সহজেই বিজ্ঞাপনী এজেন্সি আপনার কাজটি করে দেবে, আপনিও প্রশংসিত হবেন।

চলবে...


সর্বশেষ এডিট : ১১ ই এপ্রিল, ২০১২ দুপুর ১:০৭
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বরিষ ধরা-মাঝে শান্তির বারি

লিখেছেন বিষাদ সময়, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১২:১৬





মাসের আধিক কাল ধরে দাবদাহে মানব প্রাণ ওষ্ঠাগত। সেই যে অগ্নি স্নানে ধরা শুচি হওয়া শুরু হলো, তো হলোই। ধরা ম্লান হয়ে, শুষ্ক হয়, মুমূর্ষ হয়ে গেল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=নীল আকাশের প্রান্ত ছুঁয়ে-৭ (আকাশ ভালোবেসে)=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৬ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:১৯

০১।



=আকাশের মন খারাপ আজ, অথচ ফুলেরা হাসে=
আকাশের মন খারাপ, মেঘ কাজল চোখ তার,
কেঁদে দিলেই লেপ্টে যাবে চোখের কাজল,
আকাশের বুকে বিষাদের ছাউনি,
ধ্বস নামলেই ডুবে যাবে মাটি!
================================================
অনেক দিন পর আকাশের ছবি নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

পানি জলে ধর্ম দ্বন্দ

লিখেছেন প্রামানিক, ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৫২


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

জল পানিতে দ্বন্দ লেগে
ভাগ হলোরে বঙ্গ দেশ
এপার ওপার দুই পারেতে
বাঙালিদের জীবন শেষ।

পানি বললে জাত থাকে না
ঈমান থাকে না জলে
এইটা নিয়েই দুই বাংলাতে
রেষারেষি চলে।

জল বললে কয় নাউযুবিল্লাহ
পানি বললে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সমস্যা মিয়ার সমস্যা

লিখেছেন রিয়াদ( শেষ রাতের আঁধার ), ০৬ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৭

সমস্যা মিয়ার সিঙ্গারা সমুচার দোকানে প্রতিদিন আমরা এসে জমায়েত হই, যখন বিকালের বিষণ্ন রোদ গড়িয়ে গড়িয়ে সন্ধ্যা নামে, সন্ধ্যা পেরিয়ে আকাশের রঙিন আলোর আভা মিলিয়ে যেতে শুরু করে। সন্ধ্যা সাড়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

এই মুহূর্তে তারেক জিয়ার দরকার নিজেকে আরও উন্মুক্ত করে দেওয়া।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৬ ই মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:২৬


তারেক জিয়া ও বিএনপির নেতৃত্ব নিয়ে আমি ব্লগে অনেকবারই পোস্ট দিয়েছি এবং বিএনপি'র নেতৃত্ব সংকটের কথা খুব স্পষ্টভাবে দেখিয়েছি ও বলেছি। এটার জন্য বিএনপিকে সমর্থন করে কিংবা বিএনপি'র প্রতি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×