ভালো ছাত্র হলেই কি আর খারাপ ছাত্র হলেই কি! দুই দুইটি বিষয়ে ফেল মারলেও কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবেন শিক্ষার্থীরা। তবে পরবর্তি ২ বছরের মধ্যে তাকে সেই বিষয়গুলিতে পাশ করতে হবে। তাতেও যদি না পারে তখন কি হবে, সেই বিষয়ে কোন কিছু বলা নাই। এমন মওকা লাখে একটা মেলে। ১৯৭২ সালের পরীক্ষাতেও ছাত্র ছাত্রীগন পাশ করে কলেজে পড়ার এমন সুযোগ পায়নি। দেশের পরিস্থিতি বিবেচনা করে তখন অটো পাশ দেয়া হয়েছিলো। যদিও জনাব তাজ উদ্দিন বিষয়টিকে পছন্দ করেন নি। আর এখন পড়া শোনার এমন সুন্দর পরিবেশ থাকতেও দুইটা বিষয়ে ফেইল করলেও সে কলেজে ভর্তির সুযোগ পাবে। কি সুন্দর ব্যবস্থা!
কোথায় লেখা পড়ার মান উন্নত হবে, তা না ... ছাত্রদেরকে লেখা পড়ায় আরো উদাসীন করে তুলবে। আমাদের তরুন সমাজকে ধ্বংসের জন্য নাকি বর্ডারে বর্ডারে ফেন্সিডিলের কারখানা গড়ে রেখেছে। আমার তো হয় তাদের আর কষ্ট করে ওসব কারখানা চালানোর দরকার নাই। ফেইল মারতে মারতে জাতি হিসাবে আমরাই এক সময় বিকলাঙ্গ হয়ে যাবো। এমনিতেই দেশে শিক্ষিত বেকারের সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তার উপরে এমন মওকা পেলে কারোর আর পড়া শোনা করার মন থাকবে না। টিকটক সহ অন্যান্য প্ল্যাটফর্মে সময় দিতে সুবিধা হবে। বলি যেই ছাত্র সব বিষয়ে পাশ করতে পারবে না, তাকে কলেজে পড়ার সুযোগ কেন দিতে হবে?
এমনিতেই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে কত আদু ভাই এর দেখা মেলে ...নেতা হয়ে তারা ক্যাম্পসে ঘুরে বেড়ায়। বছরে পর বছর ফেইল করে সুবিধা ভোগ করে। এই ব্যভস্থা সমাজে এমন আদু ভাই তৈরীর পথকে সুগম করবে। ফেইলটুসদের মুখে হাসি ফোটাতে ও বেদনা দূর করতে এই ব্যবস্থা পাশ হয়েছে কারিকুলাম ডেভেলপন্টে এ্যান্ড রিভিশন কোর কমিটিতে। তবে জাতীয় শিক্ষাক্রম সমন্বয় কমিটির সভায় এটি চুড়ান্ত হতে হবে।
পরিশেষে বলি সব কিছুরই ভালো এবং মন্দ দিক আছে। হয়তো সমাজের খুব কম সংখ্যাক মানুষই এই ব্যবস্থার সুবিধাকে সঠিক পন্থায় কাজে লাগাতে পারবে। অধিকাংশই অপব্যবহার করবে। পড়া লেখার প্রতি আগ্রহ হারাবে। তাই এমন আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত না নেয়ার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে আহ্বান জানাই।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:৪৭