এতিমদের সঙ্গে ইফতার’ অনুষ্ঠানের আয়োজন করেও এতিমদের ইফতার নেননি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। নিজের জন্য ছিল গুলশানের অভিজাত রেস্তোঁরা থেকে আনা ইফতারির দামি প্যাকেট। আর বাকিদের জন্য ছিল ছোলা-মুড়ি।
ইফতারে অংশ নেয়া এলাকাবাসীদের একজন- ফারুক হোসেন বলেন, “নামাযে দাঁড়ানোর সময় যেমন ছোট বড় কোনো ভেদাভেদ নেই, ইফতারের বেলায়ও সমান। তাছাড়া এরশাদ সাহেব এসেছেন এখানে সবার সঙ্গে ইফতার করতে। কিন্তু তার জন্য দামি প্যাকেটে ইফতার দেয়া হয়েছে। আর অন্যদের প্লেটে স্বাভাবিক খাবার। এটি খুব খারাপ লাগছে।”
শনিবার পহেলা রমজান উপলক্ষ্যে রাজধানীর শাহজাদপুরে নজর মাহমুদ আলিম মাদ্রাসা ও এতিমখানায় ইফতারের আয়োজন করে জাতীয় পার্টির ঢাকা উত্তর শাখা। ইফতারপূর্ব আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন মাদ্রাসা কমিটির সভাপতি মো: আতাউর রহমান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে এরশাদ বলেন, “বিদেশে দেখেছি রমজানে দ্রব্যমূল্য কমে যায়। আর আমাদের দেশে উল্টো বেড়ে যায়। সব জায়গায় খাবারে বিষ। শুধু খাবারে নয়, মাদকদ্রব্যে বাজার সয়লাব।”
তিনি বলেন, “শুধু এই মাদ্রাসায় নয়। আগেও এতিমদের পাশে ছিলাম, থাকবো।”
ইফতারের সময় এরশাদের সামনে পরিবেশন করা হয় গুলশান-২ এর ইমান্যুয়েলস রেস্টুরেন্ট থেকে আনা দামি খাবারের প্যাকেট। তার মধ্যে ছিল বিরানি, ফিরনি, আপেল, জিলাপি, চিকেনফ্রাই, খেজুর, পেয়াজু, বেগুনি ও সালাদ। এ সময় এরশাদের সঙ্গে টেবিলে নামমাত্র তিন মাদরাসা ছাত্র ইফতারে অংশ নেন। বাকিদের জন্য ছিল ইফতারের নিয়মিত পদ- ছোলা, মুড়ি, পেয়াজু, বেগুনি ও কলা।
বার্তা২৪ ডটনেট
এক কালের বিশ্ববেহায়া সর্ব কালের বিশ্ববেহায়া।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






