ছবিটি -ফেসবুক থেকে সংগৃহীত।
কহিনুরের, ফ্লোরা ওরিয়েন্টাল বিউটি সোপ।১৯৭৮ সালের বিজ্ঞাপন। ছবিটি ফেসবুকে পেয়েছি। ব্লগার সোনাগাজী, ব্লগার কামাল ১৮ সহ যারা মুরুব্বি ব্লগার রয়েছেন তারা হয়তো এই বিজ্ঞাপনটি দেখে থাকবেন। কোন একটি পত্রিকায় বা মেগাজিনে প্রকাশিত হয়েছিল এই বিজ্ঞাপনটি। অশ্লীলতার অভিযোগ তুলে কোন হৈচৈ হতোনা ৪৬ বছর আগে। অথচ এখন সামান্য ক্লিভেজ দেখা গেলে অশ্লীলতার অভিযোগ তুলেন আমাদের দেশের অধিকাংশ মানুষ। স্বাধীনতা পরবর্তী আমরার মা বৈন দাদী চাচী নানীরা ব্লাউজ বিহীন শাড়ি পড়তেন।কেউ অশ্লীলতার অভিযোগ তুলেনি। অথচ এখন কেউ ব্লাউজ বিহীন শাড়ী পরলে অশ্লীলতার অভিযোগে তাঁকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। এই ব্লগেও কয়েকজন আছেন অমন। ৩০-৩৫ বছর আগের কাশেম বিন আবু বকর সাহেবের ফুটন্ত গোলাফ শ্রেণির প্রেমের উপন্যাস গুলো চটি গল্পকেও হার মানাত।এখন সাহিত্যে একটু অশ্লীলতার ঘ্রাণ পেলেই লেখককে বয়কটের ডাক দেয় মুমিনগণ।
তবে কি ৪৬ বছরে কি তবে দেশ পিছিয়ে গেলো? অশ্লীলতা আসলে কি? শরীর দেখা যায় মতো পোশাক পরিধান করাকে অশ্লীলতা বলে? নাকি একজন মানুষকে নিজ পছন্দ মতো পোশাক পরিধান করতে না দেয়ায় অশ্লীল মানসিকতার পরিচয় বহন করে? প্রকৃতপক্ষে বাইরের অবয়ব দিয়ে কোন মানুষ শ্রী নাকি কুৎসিত বিবেচনা করা যেমন মূর্খ্য অশিক্ষিত মানুষের পরিচয় নির্ধারণ করে, ঠিক তেমনি পোশাক দিয়ে শ্লীল নাকি অশ্লীল উহা নির্নয় করাও অশিক্ষিত মূর্খ্য মনুষ্য নির্ণয় করা উচিত।
বিজ্ঞ ব্লগারদের কাছে জানতে চাই, আমি আবার বলছি বিজ্ঞা ব্লগারদের কাছ থেকে, কোন অবস্থাতেই কোন মৌলবাদী বা জামায়াত শিবির পন্থী মতবাদের কারও কাছ থেকে নয় কারণ উনাদের উত্তর কি হবে সকলের জানা। তাই বিজ্ঞ জ্ঞানী মেধাবী ব্লগারদের কাছেই জানতে চাই ধরুন একটি মেয়ে ফ্যাশন করার জন্য বিদেশীদের মতো পোশাক পড়েছে কিন্তু নিজের বয়ফ্রেন্ড বা স্বামীর প্রতি ভীষণ লয়াল। আবার ধরুন একটি মেয়ে বোরকা ও নেকাব দু'টো পরেছে।কিন্তু মামুনুল হক সাহেবের ৪র্থ স্ত্রী হওয়ার স্বপ্ন দেখেন, সোনারগাঁও এ রাত্রি যাপন করেন, আবার ৫ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন তিনি অশ্লীল। এক কথায় পোশাক দিয়ে কি কোনটা অশ্লীল আর কে অশ্লীল নয় উহা নির্ধারণ করা উচিত নাকি মানসিকতা দিয়ে?