অরণ্যের সীমা অবগুন্ঠনে আবৃত নয়
নক্ষত্রবীথির অন্তরঙ্গ ধ্বনি হয়তোবা,
আমার আত্মার নিঃসঙ্গ স্বর আর আকুলতাগুলো
অভিমানে হলো স্বর্ণচাঁপার জল।
নারী ও গোলাপের দিব্যকথনে
কিছু শোক আমার হলো কি দুর
মায়াভরা মেঘ ধূলোর মাঝে কিছু করুন লতার জড়াজড়িতে,
আমি কাঁদবো কি?
নত হব কি?
তোমার রূঢ় উপেক্ষায়।
না,
আমি তোমায় দিলাম ভালবাসার প্রথম ফুল।
স্বপ্নচূড়ার অমরলোকে আমি মেঘবিধূর যাত্রী এক
বহনদী, শৃঙ্গ, গিরি ভেঙে উজ্জয়িনী মানব হৃদয়ে,
কেউ জানে না নদীর জলে মেঘ
দুঃখ-মাটি দেয় বিসর্জন,
হৃদয়ের বিশুদ্ধ আবেগ নিঃসংকোচে ছিন্ন-ভিন্ন হোক তবে,
না, না,
প্রথম ভালবাসার ফুল আমি দিলাম তোমায়।
পরেছি আরক্তিম লজ্জার বিন্ম্র মাধুর্য,
বুকে কলাপতা, ধানক্ষেত, নকশীকাঁথা
চিরদিন অবিনাশী মর্মরে,
বৃত্তের মাঝে ঘুরপাক শুধু নিশিদিন
নিজেরে ছিন্ন করে শুধু বলতে পারি...............
এক বিন্দু তৃষ্ণার জল আমায় দাও
দাও অনুভূতিময় দুটি হাত
দাও দুটি অপলক চোখ
দাও দুটি শাশ্বত হৃদয়
দাও দুটি গাঢ় আঁচড়
দাও দুটি অন্তহীন মুখচ্ছবি
দাও একটু সুখ প্রহর
না,
না,
না,
ভালবাসার প্রথম ফুল আমি দিলাম তোমায়।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই নভেম্বর, ২০১৪ সকাল ৮:৪৯