এখন আমার সন্দেহ হচ্ছে যে এই যে তদন্দ চলছে তা যেন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির মত না হয়। অর্থাৎ আসামি যেন অন্তত বের হয়। আইনের শাসন যে সমাজে না থাকে সে সমাজে একের পর এক এভাবেই অপরাধ বারতে থাকে।এখন তার পরিবার সন্দেহ করছে তার হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার হবেনা।আইন শৃংখলা বাহিনির উপর কতটুকু আস্থাহারা হলে মানুষ এমনটি ভাবে ভাব যায় কি! যদিও আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রি এর সাথে কোন দিনই একমত হবেননা। এখন প্রশ্ন হল আর কত মায়ের বুক থালি হলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে?
একটি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
নারায়নঞ্জ জেলার সিদ্বিরগঞ্জ থানার মিজমিজিতে আজ রাত আনুমানিক ২টায় এক নিশৃংস হত্যাকান্ড। যে হত্যা হয়েছে তার নাম ইলিয়াস তবে হত্যাকারির নামা যানা যায়নি।ঘটনা জড়িত থাকা সন্দেহে আজমির নামে এক ব্যক্তিকে পুলিশ ধরে নিয়ে গেছে। ঘটনা সুত্রে জানা গেছে কে যেন ইলিয়াসকে রাত আনুমানিক দেড়টায় মোবাইলে ফোন করে নিয়ে যায়।এরপর সে আর বাসায় ফেরেনি। হত্যাকান্ডের সময় তার পেটে ছুড়ি দিয়ে আঘাত করা হয়। এ সময় তার নাড়িভুড়ি বের হয়ে আসে এবং চিৎকার করতে না পারায় সে দৌড়ে সে বাসার কাছে আসে। এসে সে তার বাবাকে শুধু এইটুকু বলতে পারে যে তাকে আঘাত করা হয়েছে। কথাশুনে তার বাসার সবাই বের হয়ে আসে এবং তাকে জিজ্ঞেস করে যে কে তাকে আঘাত করেছে। কিন্তু ততক্ষনে অনেক দেরি হয়ে যায়। সে কথা বলার শক্তি হারিয়ে ফেলে এবং বমি করতে থাকে। দ্রুত তাকে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর কিছুক্ষন পরই তাকে মৃত ঘোষনা করা হয়। ঘটনার সাথে সন্দেহে জড়িত থাকার অভিযোগে এলাকাবাসি আজমির নামে তাদের এক ভাড়াটিয়াকে বেদম মারধর করে।তাদের অভিযোগ আজমিরিই ইলিয়াসকে হত্যা করেছে। কারন তার বাসার একদম ঠিক কাছেই তাকে ডেকে নিয়ে একদম ঠান্ডা মাথায় পরিকল্পিত ভাবে ছুড়িকাঘাত করা হয়েছিল। এলাকাবাসির অভিযোগ ইলিয়াসের সাথে তার মেয়ের প্রেমের জেড় ধরেই তাকে জেদের বসে আজমির হত্যাকান্ড চালিয়েছে। তার কিছুক্ষন পরে ব্যপক পুলিশি-র্যা ব পাহাড়ায় আজমির এবং তার পরিবারকে থানায় নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। আজমিরের মেয়ে চাঁদনি বলে পুর্ব শত্রুতার জের ধরেই ইলিয়াসকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। কেননা তার সাথে এবং ইলিয়াসের সাথে প্রেম চলছিল যদিও সে বিষয়টি বারবারই এড়িয়ে গেছে এবং এলাকার রাজিব নামে আরেক বখাটে ছেলে তাকে গত কয়েকদিন ধরেই বিরক্ত করছিল। সে এই বিষয়টি ইলিয়াসকে অবহিত করে। ইলিয়াস কাওকে কিছু না বলে চাদনিকে সাবধানে চলার পরামর্শ দেয়। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে সে ইলিয়াসকে গতকাল রাতে মোবাইলে হয়তো চাদনির বাসার সামনে নিয়ে হত্যা করেছে বলে মেয়েটির ধারনা। কিন্তু ইলিয়াসের পরিবার থেকে একই ভাবে বলা হচ্ছে চাদনির সাথে ইলিয়াসের কোন ধরনের সম্পর্ক নেই। কনে হত্যা করা হল এ প্রশ্নের জবাবে ইলিয়াসের মা আমাকে জানায় কিছুদিন আগে এলাকার এক চোর ধরেছিল ইলিয়াস। সেই চোর ধরার জের ধরেই হয়তো তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। তাদেরও সন্দেহের আঙ্গুল যাচ্ছে আজমিরের দিকেই। তাদের ধারনা আজমির ঐ চুরির সাথে জড়িত ছিল। এদিকে ইলিয়াসের বন্ধুদের সাথে যোগাযোগ করেও একই তথ্য পাওয়া গেছে যে তার সাথে চাদনির কোন সম্পর্ক ছিল বলে তাদের জানা নেই। এলাকাবাসিদের সাথে কথা বলে ইলিয়াসের কোন খারাপ কাজের সাথে কোন রকমের সম্পৃক্ত থাকার কথা শোনা যায়নি। অর্থাৎ সময় যত যাচ্ছে ততই জল ঘোলা হচ্ছে যে কে আসল খুনি। এদিকে পুলিশ বলছে যে তারা ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত করছে। পকৃত আসামিকে তার যে করেই হোক ধরার চেষ্টা করছে।
এখন আমার সন্দেহ হচ্ছে যে এই যে তদন্দ চলছে তা যেন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির মত না হয়। অর্থাৎ আসামি যেন অন্তত বের হয়। আইনের শাসন যে সমাজে না থাকে সে সমাজে একের পর এক এভাবেই অপরাধ বারতে থাকে।এখন তার পরিবার সন্দেহ করছে তার হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার হবেনা।আইন শৃংখলা বাহিনির উপর কতটুকু আস্থাহারা হলে মানুষ এমনটি ভাবে ভাব যায় কি! যদিও আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রি এর সাথে কোন দিনই একমত হবেননা। এখন প্রশ্ন হল আর কত মায়ের বুক থালি হলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে?

এখন আমার সন্দেহ হচ্ছে যে এই যে তদন্দ চলছে তা যেন সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনির মত না হয়। অর্থাৎ আসামি যেন অন্তত বের হয়। আইনের শাসন যে সমাজে না থাকে সে সমাজে একের পর এক এভাবেই অপরাধ বারতে থাকে।এখন তার পরিবার সন্দেহ করছে তার হত্যাকান্ডের সঠিক বিচার হবেনা।আইন শৃংখলা বাহিনির উপর কতটুকু আস্থাহারা হলে মানুষ এমনটি ভাবে ভাব যায় কি! যদিও আমাদের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রি এর সাথে কোন দিনই একমত হবেননা। এখন প্রশ্ন হল আর কত মায়ের বুক থালি হলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবে?
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
জামাত কি দেশটাকে আবার পূর্ব পাকিস্তান বানাতে চায়? পারবে?
অন্য যে কোন সময়ে জামাতকে নিয়ে মানুষ যতটা চিন্তিত ছিলো, বর্তমানে তার থেকে অনেক বেশী চিন্তিত বলেই মনে করি।

১৯৭১ এ জামাতের যে অবস্থান, তা নিঃসন্দেহে বাংলাদেশের অস্তিত্বের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন
১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন
ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার

১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন
=যাচ্ছি হেঁটে, সঙ্গে যাবি?=

যাচ্ছি হেঁটে দূরের বনে
তুই কি আমার সঙ্গি হবি?
পাশাপাশি হেঁটে কি তুই
দুঃখ সুখের কথা ক'বি?
যাচ্ছি একা অন্য কোথাও,
যেখানটাতে সবুজ আলো
এই শহরে পেরেশানি
আর লাগে না আমার ভালো!
যাবি কি তুই সঙ্গে আমার
যেথায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
আগামী নির্বাচন কি জাতিকে সাহায্য করবে, নাকি আরো বিপদের দিকে ঠেলে দিবে?

আগামী নির্বচন জাতিকে আরো কমপ্লেক্স সমস্যার মাঝে ঠেলে দিবে; জাতির সমস্যাগুলো কঠিন থেকে কঠিনতর হবে। এই নির্বাচনটা মুলত করা হচ্ছে আমেরিকান দুতাবাসের প্রয়োজনে, আমাদের দেশের কি হবে, সেটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।