যোগ্য সব যায়গাতেই যোগ্য আর অযোগ্য সব যায়গাতেই অযোগ্য। কথায় আছে ঢেকী স্বর্গে গেলেও নাকি ধানভানে। যেমন আমাদের দেশের মন্ত্রীমশাইদের কথাই ধরুন। এখানে কেউ কেউ আছে যোকার আর কেউবা আছে টেপ রেকর্ডার। টেপরেকর্ডার মন্ত্রীদের অবশ্যি একটাই ফিতাই চলে “ ...... যোদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচাল করার ........ ইত্যাদি ইত্যাদি।” এই একটা টেপ দিয়ে আবালগুলা ৫ বছরই কাটিয়ে দিবে। আর কেউবা আছে বিয়াই প্র্রকৃতির। শুধু মশকরা মার্কা কথা বার্তা বলাই এদের কাজ। এই ধরনের একটা সার্কাসমার্কা মন্ত্রীসভা নিয়ে খোদ আমাদের প্রধানমন্ত্রীই কিছুটা বিচলিত যদিও কথায় শুধু কৃতীম বড়াই দেখা যায়। কিন্তু আমরা জানি ”সব কথা বলেনা হৃদয় কিছু কথা বুঝে নিতে হয়।” এজন্যই সে গত কয়েকবার মন্ত্রীসভার পরিবর্তন এনেছিল। কিন্তু সেই পরিবর্তন দেখিয়ে তিনি নিজেও নিজেকে মশকরাকারীদের কাতারে নিয়ে গেছেন। যেমনঃ আবুল সমাচারে আসি।আবুলদের মধ্যে এক আবুল হলো পুকুর চোরা আর আরেক আবুল হলো গন বেয়াই। এই আবুলদের নিয়ে তিনি কতটাই না বেকাদায় পরেছিলেন। শেষমেশ এক আবুলকে তার সপদ থেকে সরিয়ে পর্যন্ত দিয়েছিল ঠিকই কিন্তু কুকর্ম করার যায়গা দিয়ে দিয়েছে অন্য যায়গায়। কারন এরা সেই ঢেকি যা স্বর্গে গেলেও ধানভানে। তাই সে সেই যায়গাতেই হয়তো কুকাজ করছে।
এতো গেলো মাত্র একটা আরেক দিকে আসি। সেখানে দেখা মিলবে ভাবিয়া করিও না কাজ করিয়া ভাবিও প্রকৃতির কিছু দুষ্ট লোক। আবুলীয় সংঞ্জা অনুসারে এদের আমরা রাবিসও বলতে পারি। এদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন বানিজ্য দেখভাল করার কাজে। কি তার কথার নমুনা! তার এক কথায় জিনিস পত্রের দাম বাড়ে আরেক কথায় আগের চেয়ে কমেনা বড়ং বাড়েই। এই দাম বাড়ার রশি শেষে তার হাত থেকে নিয়ে দেয়া হলো আরেক জনকে। সে অবশ্যি তার চেয়ে কিছুটা কম ছ্চ্চের। কারন এইবার রোজায় তিনি বেশ ভাল ভাবেই রশিখানা আটকাতে পেরেছিলেন। কিন্তু চোরে না শোনে ধর্মের বানি। উনাকে যে যায়গাতে স্থলাভিষিক্ত করা হয়েছে সেখানটাতেও একখান বিড়াট গোল মাল পাকিয়ে বসেছেন। এই বছরই প্রথম বিমানে ব্যাপক ফ্লাইট বিপর্যয়! অর্থাৎ নাটের গুরু কে! যাই হোক ধরে নিলাম সে আবল তাবল না হয় কথাই একটু বলে। তাই বলে দু-দু যায়গাতে ব্যর্থ কেন হবে? হ্যাঁ কারন একটাই বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে চোরেরা একটু ভাল পিকাপেই থাকে যা আমার মত আম-জনতা খুব ভালভাবেই জানে। অবিশ্যি এদের চামচা দেশে আপেক্ষিক ভাবে কম থাকলেউ বেশ শক্ত অবস্থানে তারা।
এবার আসি আরেক ভরাডুবির নায়িকা। উনারও একই সমস্যা মুখে। তার মুখের কথা কাটা লাগা। কিন্তু কেউ কিছু বলতে পারতো না কারন উনার চেয়ার খানা ছিল বেশ দামি। উনিও মুখের লাগাম ধরে না রাখতে পেরে শেষে বিদায় নিলেন। কিন্তু বিদায় নিয়ে নতুন যায়গায় যেতে না যেতেই জন্ম দিলেন আরেক কৌতুকের। কথায় কথায় বলেই দিলেন “প্রবাসীদের ইনকামিং কল যায় কোথায়?” এর আগে নিজদেশের সবচেয়ে ক্ষমতায় থেকে (যার সে যোগ্য নয়) এর সুরাহা করতে পারেনি এখন করবে। আসলে আমরা এতদিন একদিকের নাটক দেখতে দেখতে বোর হয়ে গিয়েছিলামতো তাই বিনোদনে যেন ঘাটতি না হয় তাই বোধহয় নেত্রী এদের আসন পরিবর্তন করেছেন।
আরেক জনকে দেয়া হয়েছিল কালো বিড়াল বের করতে। শেষে তার পকেট থেকেই একটা নয দুটা নয় এক ডজন কালো, সাদা, ধূসর সব রংয়েরই বেড়াল পাওয়া গেল। কিছুদিন এই বেচারা অবুঝ দেশবাসীকে তার বেহায়া মার্কা মুখটা তাই কম দেখিয়েছিল। এখন আবার একটু একটু করে উকি মারছে নিজের হাসি মুখখান নিয়ে। তবে এদের যে কিছু ভার গুন নেই এমনটি নয়। যেমনঃ আবুলদের আছে মাখন মার্কা একখানা হাসি, কারও বা আছে চুরি বিদ্যায় অদূরদর্শীতা, বাকিগুলোর আছে মুখ ইত্যাদি ইত্যাদি।
আরেক দিকে আছে এক মিষ্টভাষী আপু যিনি হয়তো ছোটবেলা থেকেই সপ্নে দেখছিল “থাকব নাকো বদ্ধ ঘরে। দেখবো এবার যগত টারে।” তাই আকাশে উড়ার এক বিরল রেকর্ডের মালিক এখন তিনি। কাজের মধ্যে এই হয়েছে যে আমাদের দেশের প্রান প্রতিষ্ঠাকারী রেমীট্যন্স বাজার আজ ধ্বংশের মুখে। একের পর এক দেশ আমাদের শ্রমজীবিদের নিতে বাধা নিষেদ আরোপ করছে।
এতসব কথা দেখে কেউ হয়তো ভাবছে আমি এন্টি গভঃ। আসলে তা নয়। কারন এত সব অযোগ্যরা গুরুত্ব্যপূর্ন যায়গাতে বসানো যে ভাল বলার মত কাউকেই পাওয়া যাবেনা। তবে এর মাঝেও কেউবা আছে কাজ করে যাচ্ছে নিরলসভাবে। ভাংগা সিষ্টেমকে জোড়াতালি দেয়ার প্রচেষ্টা। কিন্তু এখানেও কিছু কিছু নিন্দুক পাওয়া যাবে। তারা বলে এসব কাজ নাকি সস্তা জনপ্রিয়তা পাবার জন্য করছে সে। কিন্তু আমি বলি একটা মানুষ যতই খারাপ হোকনা কেন প্রতিদিন যা করে দেখাচ্ছে তা যদি এই আবুলগুলো আগে থেকেই করতো তবে এত বাজে অবস্থার সৃ্ষ্টি হতনা। আমাদের এই দেশ নষ্ট কোন দিন এক বা দুই আবুল করেনি। নষ্ট করেছে ৪০ বছরের অসংখ্য আবুল। ভাল কাজ যেই করুক সে সুনাম এমনি এমনি পাবে। কারন যে কাজ করে তার মুল্য সে কখনোই দিবে না দিবে বরং মানুষ যেমন আমার লেখার মুল্যায়ন করবে পাঠক।