ভালোবাসার নদীতে শেওলা এসে জমে
ঢেউহীন-স্রোতহীন-বান ডাকে না কোনকালে
কচুরিপানা শিকড় ছড়ায় অচঞ্চল হৃদয় গভীরে
ডুব সাঁতার খেলে না কেউ, কোলাহল নেই-
নেই মাছের চোখের মত জল।
সে জলের বুকে;
কাশফুলের ছায়া নামে না
পেঁজতুলো মেঘ ওড়ে না
দোলে না আকাশের নীল।
হাস্নাহেনার গন্ধ ছড়ায় না আঁচল
ঘুম ছোঁয়ায় না নিশিগন্ধা দু’চোখের পাতায়
শিউলি হাসে না অনুরাগে আমার আঙিনায়।
কেবলি;
দূর থেকে ভেসে আসে বনফুলের ঘ্রাণ
সোনালী পাতার মরমর ধ্বনি আর
তোমাকে ঘিরে থাকা সুবাতাস।
একবারও ভাবলে না;
কেনো অভিমানী শিশির হারিয়ে গেলো
সোনাঝরা রোদ্দুরকে করলো না আলিঙ্গন!
অভিলাষী পায়রা মন জলের মত যার চোখ
সে খুঁজে পায় হেলেপড়া দুপুরের ছায়া
কেনো পায় না ভালোবাসার সুখক্ষণ!
প্রজাপতি ডানাভাঙে, বকুল গন্ধ হারায়;
তবুও কত পথ পাড়ি দেয় মন
তোমাকে করে উন্মত্ত আবাহন
বুকের কোণে অস্থির শিহরণ
বেনুরবে মধুর গুঞ্জরণে
তুমি হয়ে ওঠো নিবিড়
নিমগ্ন সুখের আভরণ।
তবু কেনো;
তোমার সাড়া পেলে
লজ্জাবতী লতার মতো বন্ধ করে দ্বার
ভালোবাসা মুখ লুকায় সুর বাজে বিরহ যন্ত্রণার!