শাহবাগের আন্দোলন এক বৃহৎ অশ্বডিম্ব, অপরিণামদর্শী আর হুজুগীদের মিলন মেলা, সামাজিক ও রাজনৈতিক জ্ঞান শূন্য কিছু বাচ্চা কাচ্চার চিল্লাচিল্লি। অন্যদিকে আওয়ামী লীগের দেশ জুড়ে গণহত্যা শাহবাগীদের অপরিণামদর্শিতার ফসল বলেও মনে করছি যার সুযোগ আওয়ামীলীগ নিষ্ঠুরতার সাথে নিয়েছে।
কিছু শাহবাগী "নিরপেক্ষ ব্লগার" যারা আওয়ামী লীগ কে কিছুতেই শাহবাগী আন্দোলনের কৃতিত্ব দিতে রাজি নয় তারা আজও প্রকৃত সত্যটি বুঝে উঠতে সক্ষম হচ্ছে না। তাই তারা আজও এই আন্দোলন থেকে কিছু অর্জনের চিন্তায় মসগুল হয়ে আছে।
দুঃখের বিষয়, আজও নিরপেক্ষ ব্লগারগণ একত্রিত হতে পারছে না। শাহবাগের আন্দোলন যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে অস্বচ্ছতা আর অনিয়মের কথা বললে তাদের কাছ থেকে ছাগু হিসাবে ভূষিত হতে হয়। কোন আন্দোলনে বিচারের জন্য কখনো ফাঁসির দাবী করা যায় না, দাবী করতে হয় উচিত ও উপযুক্ত সাজার। ৪২ বছরের পুরাণ তথ্য প্রমাণ দিয়ে আদালত কাউকে ফাঁসি দিলেও সুশীল, সভ্য ও সুস্থ মনের মানুষের মনে সন্দেহ জাগতে বাধ্য যে এটা প্রকৃত বিচার হয় নি বরং এটি হয়েছে রাজনৈতিক চাপ, ভিন্ন শক্তি বা কারো আব্দারের ফসল।
টিভি টকশো গুলোতে বাস্তব সত্যকে তুলে ধরার কারণে আজ গণ্যমান্য ব্যক্তিগণ কিছু ব্লগারের রুদ্র রোষের স্বীকার হচ্ছেন প্রতিনিয়ত। শাহবাগের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে চিহ্নিত ব্লগারগন টিভিতে মুখ দেখানোর সুযোগ পেয়ে তারা অনেক কিছুই বলছে্ন যেটা কোন শিক্ষিত ও সুস্থ মস্তিষ্ক প্রসূত বলে মনে হয় না। শীর্ষ এক নেতৃত্বের প্রতিফলন দেখা যায় তাদের বক্তব্যে। তারা অন্যের দেখানো চোখে দেখে এবং অন্যের শিখানো বুলি আওড়চ্ছেন। ইনু ও ম. খা. আলমগির যেমন ক্ষমতার শেষ মূহুর্তে মানুষের কাছে নিকৃষ্ট জীবে পরিণত হয়েছে এসব ব্লগারগণও ইতিহাসের নোংরা আস্তাকুঁড়ে পতিত হয়ে উপযুক্ত শাস্তি ভোগ করবে বলে আমার বিশ্বাস।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




