১/১১ এর কল্যাণে তৃতীয় শক্তি বলতে আমরা বুঝি আর্মি বেকিং কোন শক্তি যারা রাজনৈতিক দল গুলোকে হটিয়ে দিয়ে অবৈধ ভাবে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করে রাষ্ট্র পরিচালনা করবে। কিন্তু বাস্তবে তৃতীয় শক্তি হল আওয়ামী-বিএনপির বাহিরে কোন বৈধ রাজনৈতিক শক্তির উত্থান।
বাংলাদেশের কোটি কোটি মানুষ আমাদের গতানুগতিক রাজনৈতিক দল গুলোর উপর ভিতশ্রদ্ধ হয়ে তৃতীয় শক্তি কামনা করে। কিন্তু যোগ্য নেতার অভাবে ও বিচ্ছিন্ন মানুষগুলো একত্রিত হতে না পারার কারণে বাংলাদেশে তৃতীয় শক্তির উত্থানের যদিও কোন সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না আপাতত।
তারপরেও মানুষের সেই আশা আকাঙ্ক্ষাকে পুঁজি করে বাংলাদেশের সরকার আওয়ামী লীগ নিজেরাই ভুয়া তৃতীয় শক্তি তৈরি করতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। বাংলাদেশের সাধারণ মানুষের আশা আকাঙ্ক্ষা পূরণে ব্যর্থ হয়ে এবং একটিও নির্বাচনী ওয়াদা পালন করতে না পেরে নির্বাচনে ভরাডুবির ভয়ে তারা ক্ষমতাকে আঁকড়ে ধরার বিভিন্ন ফন্দি ফিকির অংশ হিসাবে এটি তাদের সবচেয়ে ব্যয় বহুল ও সর্ব বৃহৎ প্রচেষ্টা।
আজকাল শাহবাগের আন্দোলন থেকে তৃতীয় শক্তির উত্থানের সম্ভাবনা খুঁজে পাচ্ছেন অনেকেই। বিশেষ করে তরুণ প্রজন্ম স্বপন দেখতে শুরু করছে কোন এক নতুন নেতার ইঙ্গিতে। এক দিকে তৃতীয় শক্তি স্বপন অন্য দিকে যুদ্ধাপরাধীর বিচার, স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির উত্থান বা বিজয়, সেই সাথে জামাতের যুদ্ধ যুদ্ধ খেলা যে খেলার পুরোটাই খেলানো হচ্ছে স্বল্প বেতনে চাকরী করা বাংলাদেশের নিরীহ পুলিশ বাহিনী দিয়ে।
তৃতীয় শক্তির উত্থান, যুদ্ধাপরাধীর ফাঁসি, স্বাধীনতার স্বপক্ষ শক্তির বিজয় এসব ইস্যুকে একত্রিত করা হয়েছে বড় একটি কৌশলের অংশ হিসাবে যার মাধ্যমে আবার ক্ষমতায় আসতে চায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
এটি বিশ্বাস করার কোন কারণ নেই এটি আওয়ামীলীগ এর একক বুদ্ধি ও ক্ষমতায় এসব হচ্ছে। এর পিছনে অবশ্যই বহিঃশক্তির সহযোগিতা আছে যার লক্ষণ অনেকেই টের পাচ্ছেন।
এখনো সময় আছে বিএনপি, জামাত এবং জাতীয় পার্টি একত্রিত হয়ে রুখে দিতে পারে এই ভুয়া তৃতীয় শক্তির উত্থান। তা না হলে দেশ ভুগবে এবং ভুগবে জাতি।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




