শংখনীল কারাগার সম্পর্কে হুমায়ুন আহমেদের মা- ও তখন ঢাকায় চলে এসেছে- মহসীন হলের ছাত্র। একবার একটা উপন্যাস লিখে আনল। সম্ভবত 'শঙ্খনীল কারাগার'। বাসার সবাই আমরা পড়লাম- কিন্তু তার বাবাকে পড়ানোর সাহস তার ছিল না। একদিন আমাকে দিয়ে সে লেখাটি তার বাবার কাছে পাঠাল। তারপর- আমার পাশ দিয়ে শুধু ঘুর ঘুর করে অর্থাৎ জানতে চায় তার বাপ এটা পড়ে কি বললেন। এ রকম দু-এক দিন যাবার পর এক রাতে সবাই যখন শুয়ে গেছে তখন তার বাবা তাকে ডাকলেন। খুব ভয়ে ভয়ে সে গেল। আমিও তখন ছিলাম। তার বাপ পাণ্ডুলিপিটা তার হাতে দিয়ে বললেন- 'এটা যত্ন করে রেখে দিস। তুই একদিন খুব নামকরা লেখক হবি।'
নন্দিত নরকে
নিশীথিনী
বাদশাহ নামদার
বাদশাহ হুমায়ুনকে নিয়ে লেখা একটি বই। নামের দিক দিয়ে তারা একে অপরের মিতা। আর দুজনেই বাদশাহ। একজন দিল্লীর বাদশাহ, আরেকজন সাহিত্যের বাদশাহ।
হিমু এবং হাবার্ড পিএইচডি বল্টু ভাই
এটা এ বছর বইমেলা ২০১২ তে বেরিয়েছে। হাভার্ড থেকে পিএইচডি করা একজন আসে তাঁর ডাক নাম বল্টু। সে বাংলা একাডেমি তে কিছু নতুন শব্দ সংযোজন করতে চায়। হিমু তাঁকে এ ব্যাপারে উৎসাহিত করে এবং বাংলা একাডেমির পরিচালক কে শব্দ সংযোজনের ব্যাপারে রাত বিরাতে ফোন দেয়।
বলপয়েন্ট
না পড়লে চরম মিস হয়ে যেত। চমতকার একটি বই।
মেঘের ওপর বাড়ি
লাশ কাটা ঘরে পলিথিন বিছানা নোংরা টেবিলে আমার শরীর চিত হয়ে আছে। গায়ে কোন কাপড় নেই। টেবিল থেকে ফিনাইলের কঠিন গন্ধ আসছে। ঘরের জানালা আছে। জানালায় হলুদ রঙের পর্দা ঝুলছে। পর্দা নোংরা। সেখানে কিছু বড় বড় নীল রঙের মাছি বসে আছে। মাছিগুলো কিছুক্ষন বসে থাকে আবার ওড়াওড়ি করে পর্দার ওপর বসে। ঘরের চারটা দেয়ালের এক্টায় চুনকাম করা। ওখানে কেউ নোংরা কথা লিখেছে।
কাঠপেন্সিল
বলপয়েন্ট পরবর্তী বই এটি। চমৎকার ওয়ান।
আগুনের পরশমনি
মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই। এর একটি চলচ্চিত্রও আছে। আগে চলচ্চিত্রটি দেখেছি তারপর বইটি পড়েছি।
ম্যাজিক মুনশি
দারুচিনির দ্বীপ
এটা নিয়ে তিনি চলচ্চিত্রও করেছেন। বইটি চলচ্চিত্রের আগে পড়েছি নাকি পড়ে পড়েছি মনে নেই। তবে ছবিটি বেশ ভাল মনে আছে।
আজ দুপুরে তোমার নিমন্ত্রন
আমিই মিসির আলি
আজ আমি কোথাও যাব না
হিমু মামা
হিমু ও তাঁর ভাগ্নের গল্প। খুবই মজার
১৯৭১
একটি মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক বই।
আমি এবং কয়েকটি প্রজাপতি
বইটা ২০০৩ সালের জুলাই মাসে প্রকাশিত। এই বইয়ের উতসর্গটা আমার বেশ ভাল লেগেছে।
উতসর্গ
তাঁর নাম রোমেল। আমি তাঁকে রহস্য করে ডাকি 'স্ক্রুক'। রাশিয়ান সাবমেরিন স্ক্রুক, নাবিকদের নিয়ে সাগরে তলিয়ে যাওয়া স্ক্রুক। রোমেলকে দেখেই আমার কেন জানি তলিয়ে যাওয়া সাবমেরিনের কথা মনে হয়। সে পড়াশুনা করেছে রাশিয়ায়। রূপবতী এক রাশিয়ান মেয়েকে বিয়ে করেছে। মেয়েটি রাশিয়ার এক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা। তাদের পুতুলের মত একটি ছেলে
আছে। রোমেল তাঁর রাশিয়ান পরিবার নিয়ে পাবনায় বাস করছে। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং- এ তাঁর মাস্টার্স ডিগ্রি আছে কিন্তু সে জীবন নির্বাহ করছে পত্রিকা বিক্রি করে। রোমেলকে আমি 'স্ক্রুক' ডাকব না তো কাকে ডাকব?
হার্টের অসুখে (মায়োকার্ডিয়াল ইনফ্রাকশান) আমাকে ভর্তি হতে হলো সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে। খবর পেয়ে পাবনা থেকে ছুটে এল স্ক্রুক। আমি কেবিনে একা থাকি। রাতে বিরাতে আমার যদি কিছু লাগে! আমি কেবিনের খাটে শুয়ে থাকি, মেঝেতে পাতলা চাদর বিছিয়ে শুয়ে থাকে রোমেল। আমার ঘুম ভাঙ্গার সঙ্গে সঙ্গে তারও ঘুম ভেঙ্গে যায়। সে উদ্বিগ্ন গলায় বলে, হুমায়ুন ভাই, কী হয়েছে?
আমি আমার এক জীবনে এত মানুষের ভালবাসার ঋণ কি করে শুধব তাই শুধু ভাবি।
আখতারুজ্জামান রোমেল (স্ক্রুক)
মাতাল হাওয়া
হাবীব বললেন, আমাদের বাড়ি একটা প্রাচিন বাড়ি। প্রাচীন বাড়ির প্রাচীন নিয়মকানুন। অনাত্মীয় পুরুষ মানুষের অন্দর মহলে প্রবেশ নিষেধ। নাদিয়ার শরীরের এখনো এমন অবস্থা না যে সে বাইরে এসে আপনার সঙ্গে দেখা করবে। আপনার স্কলারশিপের কি যেন কথা নাদিয়া বলেছিল। কাগজ পত্র গুল যদি রেখে যান তবে সমস্যার সমাধান করতে পারি।
বিদ্যুত কান্তি দে বললেন, সমস্যা সমাধানের চেয়ে নাদিয়ার সঙ্গে দেখা করা এখন আমার অনেক জরুরি
।
হাবীবের চোখের দৃষ্টি তীক্ষ্ণ হল। তিনি তাঁর সামনে বসা যুবকের দিকে তাকিয়ে রইলেন। যুবকের কথাবার্তার মধ্যে উদ্ধত ভঙ্গি আছে। তবে অত্যন্ত আত্মবিশ্বাসী ছেলে। আত্মবিশ্বাস চোখের তারায় ঝলমল করছে। হিন্দুদের চোখে একধরনের কাচুমাচু নিরামিষ ভাব থাকে এর মধ্যে তা নেই। হাবীব বললেন, আমার মেয়ের সাথে দেখা হওয়া অত্যন্ত জরুরী কেন?
আমার প্রিয় ভৌতিক গল্প
উতসর্গ
আমার প্রিয় তিন কন্যা বিপাশা শীলা, নোভা।
এরা ভূত বিশ্বাস করে না, কিন্তু ভুতের ভয়ে অস্থীর হয়ে থাকে।
প্রায়ই দেখা যায় তিন কন্যা ঠাসাঠাসি করে এক বিছানায় ঘুমুচ্ছে। কারন কেউ একজন ভয় পেয়েছে।
ভয়
ভয়
একটি মজার ঘটনার কথা বলি। ক্লাস নিচ্ছি, পড়াচ্ছি থার্মোডিনামিক্স। এক্তি ছেলেকে প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলাম সে উত্তর দিতে পারল না। বিরক্ত হয়ে বললাম, নাম কি তোমার? সে উঠে দাড়ালো কিন্তু নাম বলল না। ক্লাসের সব ছেলেমেয়েরা হাসতে শুরু করল। আমি বিস্মিত। তাদের হাসির কারন ধরতে পারছি না। আবার বললাম, নাম কি তোমার? ছাত্রছাত্রীরা আবারও হেসে উঠল। ছেলেটির পাশে বসা একজন বলল, স্যার সে নাম বলবে না। কারন তাঁর নাম মিসির আল
ি।
ঘটনা ক্ষুদ্র। কিন্তু এই ক্ষুদ্র ঘটনা আমার মন আনন্দে পূর্ন করল। মিসির আলি নামের চরিত্রটি আমি তাহলে অনেকের কাছেই পৌঁছে দিতে পেরেছি। একজন লেখকের কাছে এর চেয়ে বড় পাওয়া আর কী হতে পারে?
আমি বিব্রত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়ে থাকা ছেলেটিকে বললাম, তুমি অস্বস্থিবোধ করছো কেন? মিসির আলি চরিত্রটি তুমি পছন্দ কর না?
সে মাথা নিচু করে রইল, অন্য একজন পিছন থেকে বলল, স্যার ওর নামটাই মিসির আলি, বুদ্ধি শুদ্ধি খুব কম।
ক্লাসের সবাই হেসে উঠল।
ঐ দিনের ক্লাসের ঘটনাটি আমার জিবনের আনন্দময় ঘটনার একটি। মিসির আলি কে নিয়ে আর তিনটি গল্প লেখা হল। এই আনন্দময় ঘটনার উল্লেখ সে কারনেই করলাম। হয়ত এতে খুব সুক্ষ্মভাবে হলেও সামান্য অহংকার প্রকাশ পেয়েছে। পাঠক- পাঠিকা আমার এই মানবিক ত্রুটি ক্ষমার চোখে দেখবেন বিনীত কামনা।
হুমায়ুন আহমেদ
শহীদুল্লাহ হল
ভূতসমগ্র
ভূউউউউউউউউউউত
বৃষ্টিবিলাস
বাঘবন্দি মিসির আলি
প্রশ্নঃ পৃথিবীর কোনো প্রজাতিই নিজ প্রজাতির কাউকে হত্যা করতে পারে না, কিন্তু একটি প্রজাতি পারে। সেই প্রজাতির নাম কি?
উত্তরঃ মানুষ!
প্রশ্নঃ পৃথিবীর কোনো প্রজাতিই নিজ প্রজাতির কাউকে রক্ষা করার জন্য জীবন দান করে না, কিন্তু একটি প্রজাতি পারে। সে প্রজাতির নাম কি?
উত্তরঃ মানুষ।
আমি ধন্য আমার জন্ম মনুষ্য প্রজাতিতে হয়েছে।
হুমায়ুন আহমেদ
নুহাশ পল্লী, গাজীপুর।
হলুদ হিমু কালো র্যাব
একজন হিমু কয়েকটি ঝি ঝি পোকা
নিষাদ
মিসির আলি র একটি গল্প
মধ্যাহ্ন
ওমেগা পয়েন্ট
রূপা
মিসির আলি unsolved
চমতকার একটি বই। চমৎকার সব ঘটনা।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই আগস্ট, ২০১২ দুপুর ১:৩৪