somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জাতীয়তাবাদীদের প্রতি আহ্বান

৩১ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একজন সুন্দর, আকর্ষণীয় রমণীর পাশে ২ ঘণ্টা বসে থাকুন, দেখবেন সময় উড়ে চলে গেছে!! এবার গ্রীষ্মের গরমের মাঝে রাস্তায় ২ মিনিট হাঁটুন, মনে হবে আপনি অনন্তকাল ধরে হাঁটছেন!!
উক্তিটি আইনেস্টাইনের ।
হাই তোলা একটি সক্রামক । একটি ঘরে অনেক মানুষ এর মধ্যে একজন হাই তুললে দেখবেন ,পর্যায়ক্রমে সবাই হাই তুলবে ।
হাই তোলা জৈবিক প্রক্রিয়া। এর কাছাকাছি মানসিক প্রকৃয়া হচ্ছে হতশা । এটাও সংক্রামক ।
জাতীয়তাবাদী এক্টিভিস্টদের সেই রোগ হচ্ছে । আর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে ।
ভাইজানেরা ও আপুরা, আপনারা অনলাইনে কেন আসেন ? হতাশা ছড়িয়ে দিতে ?
সরকারের এক এক চালে আপনারা হতাশ হয়ে পরেন ,আর সেটা ছড়িয়ে দেন সবার মধ্যে ? এটা আপনাদের আন্দোলন ?
বিএনপির জনপ্রিয়তা অনেক কম থাকতে পারত । সেরকম হলেওতো আপনাদের সংগ্রাম করতে হত । নেতৃত্ব তাকেই বলে ,যারা সংগ্রাম করতে জানে ।
আপনি ঢুকে পড়েছেন, মানে হচ্ছে এই আন্দোলনের আপনিও গুরুত্বপূর্ন অংশ । সেই পরিচয়টা শুধু বলার জন্য না , ধারন করতে শিখুন ।
এরথেকে অনেক খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে একটি রাজনৈতিক দলকে যেতে হয় । নিয়মতান্ত্রিকভাবে ক্ষমতা পেয়ে গেলে আপনার বা আমার আন্দোলনেরই তো দরকার হত না ।
ক্ষমতায় যাওয়াই একটি রাজনৈতিক দলের শেষ কথা নয় । এরশাদকে সরাতে নয় বছর লেগেছে । কিন্তু তারপরেও বিএনপি ক্ষমতায় আসতে পেরেছে । সুতরাং সময়টাও তুচ্ছ । একটা দলের জন্য জনপ্রিয়তা ধরে রাখা আর একাত্ম থাকার বিকল্প কিছু নাই ।
আপনাদের মুখে আর হতাশার কথা শুনতে চাইনা । পড়াশোনা করেন , গবেষনা করেন । ভাল পরামর্শ দিন । পরোকল্পনা মত কাজ করতে শিখুন । দলের উপকার করতে এসে ক্ষতি করে বসবেন না ।
এদেশের প্রতিটি গ্রামে,বা শহরে এখনো ৫ জন আওয়ামী লীগ থাকলে , দশজন আছে বিএনপির । এটাকে নিজেদের হতাশা ঢুকিয়ে নষ্ট করবেন না ।
লেখার শুরুতে আইনেস্টাইনের উক্তি দেখেছেন । স্বেচ্ছায় আপনাদের অবস্থাকে আরো প্রতিকূল করবেন না । সাকা চৌ এর বিষয়েও আমাদের করনিয় আছে । সেগুলো ইফেক্টিভও হবে । সব বিষয়েই আপনি ভুমিকা রাখতে পারবেন । সামনের দিনগুলোতে সুনির্দিষ্ট গাইডলাইন দিব । সকল হতাশাকে দূরে সরিয়ে শহীদ জিয়ার পতাকা ওড়াতে যারা আমাদের সফরসঙ্গি হতে পারবেন, আওয়াজ দিন ।
কথা দিচ্ছি, আপনাদের একটি নামও ভুলব না । আমাকে নয়, নিজের উপরে বিশ্বাস রাখুন । নিজের সক্ষমতাকে ছোট করে দেখবেন না । সত্যের বিজয় অবসম্ভাবী ।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:২০
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

যেকোন বাংগালীর ইন্টারভিউর সময়, 'লাই-ডিটেক্টটর' যোগ করে ইন্টারভিউ নেয়ার দরকার।

লিখেছেন সোনাগাজী, ০৫ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:০৭



আপনার এনলাকার এমপি, প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী কামাল সাহেব, যেকোন সেক্রেটারী, যেকোন মেয়র, বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান, বিএনপি'র রিজভী, আওয়ামী লীগের ওয়ায়দুল কাদের, আপনার থানার ওসি, সীমান্তের একজন বিজিবি সদস্য, ঢাকার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×