somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বিদেশে এসে বাংলাদেশের যে জিনিসগুলি মিস করি :( :( :( :(( :(( :((

২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

:( :( :( :( :( :( :(
নিজের দেশ ছেড়ে বিদেশ থাকার যে কি কষ্ট সেটা যে না বিদেশ থাকে তারা কখনো বুঝবে না।ব্যাপারটা এমন যেনো আপনি নিজের বাসায় না ঘুমিয়ে অন্য কারো বাসায় আশ্রিত।আপনার সব আছে আবার কিছুই নাই।নিজের পরিবার ভাই বোন মা বাবা বন্ধুবান্ধব সবাইকে তো মিস করি। সে যাই হোক বিদেশে এসে বাংলাদেশের যেই কমন ব্যাপারগুলো মিস করি এটা নিয়া হবে আমার আজকের এই পোস্ট।


লোডশেডিং : পোলাপাইন দেখি ফেসবুক স্ট্যাটাসে প্রায় এটা নিয়া লিখে।আহারে এই ইউরোপে লোডশেডিংটা মিস করি খুব।এখানে এসে কোনোদিন এই জিনিসটা পাইলাম না :(( লোডশেডিং হলে মোমবাতি জ্বালিয়ে পড়ার সেই দিন গুলোর কথা মনে পড়ে যায়।গরমের দিনে রাতে লোডশেডিং হলে ছাদে উঠে আড্ডা দেওয়ার সেই দিন গুলি ভুলি কি করে?এমন মরার দেশে থাকি ছাদে উঠার কোনো ব্যাবস্থা নাই।

সিগারেট: বাংলাদেশে থাকতে ৫৫৫ খাইতাম ।সুইজারল্যান্ডে এসে দেখি এই সিগারেটই নাই।নট ইভেন গোল্ডলিফ।সেই থেকে শুরু হলো মার্লবরো।যেহেতু স্টুডেন্ট ছিলাম টাকা পয়সা কম।বাংলাদেশের মতো পান দোকান থেকে ১ টা ১০ টা ভেংগে কিনার কোনো চান্স নাই।কিনলে পুরো প্যাকেট কিনতে হবে।বাংলাদেশের মোড়ে মোড়ে রেস্টুরেন্টের সামনের এই পান দোকানগুলি ও মিস করি।এইখানে যদি থাকতো সেরকম দোকানগুলো।

খাবার: সব চেয়ে বেশি মিস করি বাংলাদেশি খাবার।সপ্তাহের অন্যদিন গুলিতে হোস্টেলের ক্যান্টিনে খেতাম।সব সুইস ট্রাডিশনাল ফুড না হয় ইউরোপিয়ান কন্টিনেন্টাল ফুড।কিন্তু সানডে তে হতো প্রব্লেম।ব্রেকফাস্ট আর লান্চ মিলিয়ে দেওয়া হতো ব্রান্চ:P।এরপর ফুটবল খেলে এসে ২/৩ র দিকে যা ক্ষুদা লাগতো।বন্ধুরা কেউই পারিনা রান্না করতে।তখন বুঝেছি ভাতের কষ্টে মানুষ কেমন সাফার করে:((।এখন অবশ্য নিজেই রাধঁতে পারি।তবে নিজের প্লেট নিজে ধোয়া সব কিছু নিজে করতে হয়।ব্যাপারটা পেইনফুল:(( হাজীর বিরিয়ানী স্টার কাবাবের কাবাব বেইলি রোডের ফাস্ট ফুড পুরান ঢাকার ফালুদা বোরহানী চটপটি ফুচকা কত দিন খাইনা।রাত ১২টায় ওয়াল টপকে জোনাকি হলের সামনের রাস্তার বানানো পরোটা ডাইল ভাজি ।আহা সেই যে আমার নানান রংগের দিন গুলি

ক্রিকেট: সবচেয়ে মিস করি ক্রিকেট খেলা।না পারি খেলতে না পারি মাঠে বসে বাংলাদেশের খেলা দেখতে।যদিও ফুটবল খেলছি মাগার ক্রিকেট খেলার কোন চান্সই নাই।আর খেলা দেখার একমাত্র উপায় হলো ইন্টেরনেট।

জন কোলাহল ঢাকা শহরের এতো মানুষের ভীড় দেখে বড় হলাম।ইউরোপে এসে দেখি পুরাই খালি।মনে হয় মানুষজনই নাই।২ জন মানুষও এক সাথে হাটে না।চারিদিকে ফাঁকা ফাঁকা লাগে।রাজনৈতিক দলের মিছিল চিল্লা ফাল্লা মানে শ্লোগান এসব দেখি না অনেকদিন।


যানবাহন: রিকশায় চড়ে ঢাকা শহরে ঘুরে বেড়ানোর মজাই আলাদা।সেটাও খুব মিস করি।বাস টেম্পু সব কিছু মিস করি।আমগো দেশে বাসে ছড়ে কন্ডাক্টারকে ভাড়া পরিশোধ করতাম আর এখানে আগেই টিকেট কিনে উঠো।কোনো কন্ডাক্টর নাই।মাগার টিকেট কেটে না উঠলে যদি একবার টিকেট চেকারের হাতে পড়ে জীবনে সেটা একটা দাগ হয়ে থেকে যাবে।

কোলবালিশ ও আমার কোলবালিশ: পোস্ট লেখার আগে একজনরে কইছিলাম কোলবালিশের কথা বাট পোস্ট লিখার সময় ভুলে গেছি।লাস্ট ঈদে আম্মু কইলো কি লগবে তোর আমি কইলাম একটা পান্জাবি আর একটা খেতা দিও।খেতার স্বাদ পুরুন হইছে কোলবালিশ এখনো বাকি।নিচে আরেকটা কথা কইলো বিডি আইডল ভ্রাতা সেটা হলো বদনা ;) ;) ;) B-)) B-)) B-)) :P :লজ্জায় লিখি নাই B-)

কৃ্ষ্ণকলি আমি তারেই বলিকালো? তা সে যতই কালো হোক...
দেখেছি তার কালো হরিণ চোখ।এই দেশে দেখি কত সাদা গোলাপী, হলুদ,লাল ড্যাম স্মার্ট ললনা। তবে মিস করি সেই আমার দেশের শ্যামা বরণ লাজুক লাজুক বঙ্গললনাদেরকেই। টিন এজ কালের ভালোলাগা পাশের বাড়ির বড় আপু, বাড়ির সামনে দিয়ে হেঁটে যাওয়া চোখাচোখি স্কুল ফেরতা মায়াবিনী। মিস করি বইমেলা পহেলা ফাল্গুনে ঝাঁকে ঝাঁকে হেঁটে যাওয়া আগুন রঙা শাড়ীপরা ললনাদেরকে। আরও আরও কত কত কাজল নয়না হরিণীদেরকে মিস করি। বর্ষাকালে ছাদে ভেজা ছাদকন্যা। নাহ তাদের কথা মনে করে আর মনে ব্যাথা বাড়াইতে চাইনা।/:) তবে ফেসবুকের কল্যানে দুধের স্বাদ ঘোলে মেটাচ্ছি ইদানিং ;) B-)) :P
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১৪
২১৯টি মন্তব্য ২১৫টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×