somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

অশুভ সংকেত: শিশুর বুকে ভেসে ওঠেছে শয়তানের চিহ্ন!

৩০ শে জুলাই, ২০১৪ রাত ৩:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


ত্রয়ী লেখক ডেভিড সেলজার, জোসেফ হাওয়ার্ড ও গর্ডন ম্যাকগিলের বিশ্বখ্যাত তিনখন্ডের ভয়াল পিশাচ কাহিনী 'দি ওমেন'। এটি নিয়ে ছবিও তৈরি করা হয়। সেবা প্রকাশনী থেকে 'অশুভ সংকেত' নামে এর বাংলা অনুবাদ বের হয়েছিল। অনুবাদ করেছিলেন কাজী মাহবুব হোসেন। বইটি যারা পড়েছেন তারা নিশ্চয়ই ভুলেননি, ডেনিয়েল নামের সেই পিশাচ পুত্রটির কথা।

ডেনিয়েলের ওপর ভর করে শয়তান পৃথিবীতে তার পুনরুত্থান ঘটাতে চেয়েছিল। ডেনিয়েলের কপালের উপরে চুলের নিচে ছিল অশুভ সংকেত ‘শয়তানের চিহ্ন’। ডেনিয়েল ছিল উপন্যাসের একটি চরিত্র। আর এই পিশাচ কাহিনী ছিল মনগড়া অর্থাৎ কাল্পনিক। কিন্তু বাস্তবেই এবার এমন একটি ঘটনা ঘটেছে যুক্তরাজ্যে। শিশুর বুকে ভেসে ওঠেছে শয়তানের চিহ্ন!


যুক্তরাজ্যের ডেইলি সান এক প্রতিবেদনে জানায়, স্যামুয়েল নামের চার বছরের একটি শিশুর বুকে হঠাৎ করেই একটি চিহ্ন ফুটে ওঠেছে। যা দেখতে হুবহু শয়তানের সাংকেতিক চিহ্নের মতো।

ব্রিটেনের নর্থ শর্পশেয়ারের বাসিন্দা শিশুটির বাবা রবি জোন্স ও মা ‍শ্যারন লুইস দুজনই দাবি করেন, স্যামুয়েলের বুকে এই চিহ্নটি জন্মের সময় ছিল না। এটি দেখা দিয়েছে গত মে মাসে।

এ প্রসঙ্গে শ্যারন লুইস বলেন, গত ২৩ মে স্কুল থেকে ফিরে অাসার পর স্যামুয়েলের পোশাক খুলে আমি এই চিহ্ন দেখতে পাই। এই চিহ্নটি আমি চিনি। তাই দেখেই অাঁতকে উঠি। প্রথম ভেবেছিলাম লাল কালিতে আঁকা। পরে পরীক্ষা করে দেখলাম তা চামড়ার উপর ভেসে ওঠেছে।

তিনি বলেন, আমি স্যামুয়েলের কাছে জানতে চাইলাম এটি কোথা থেকে এল? স্যামুয়েল চিহ্নটি দেখে নিজেও অবাক হয়ে গেল। জানালো, সে কিছুই জানে না এবং এই প্রথম এটা দেখছে।

স্যামুয়েলের বুকে হঠাৎ ভেসে ওঠা এই শয়তানের চিহ্ন নিয়ে ভীষণ বিব্রত ও উদ্বিগ্ন তার বাবা-মা। এটাকেে একটি অশুভ সংকেত মনে করে আতঙ্কিত তারা।

স্যামুয়েলকে নিয়ে চর্ম বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছেও গেছেন তার বাবা-মা। চিকিৎসকরা এটাকে বিশেষ কোনো চর্মরোগ বলে মনে করছেন। কিছু ওষুধপত্রও দিয়েছেন। কিন্তু চিহ্নটি রয়েই গেছে।

স্যামুয়েলের মা চিকিৎসককে যখন জানান, এটি হুবহু শয়তানের চিহ্নের মতো। চিকিৎসকও একমত হন, তবে পুরো বিষয়টিকে কাকতলীয় বলে উড়িয়ে দেন। চিকিৎসক তাদের আতঙ্কিত হতে নিষেধ করেন। একমাসের মধ্যে চিহ্নটি মিশে যাবে বলে আশ্বাস দেন।

এদিকে প্রায় দুমাস চিকিৎসার পরও চিহ্নটি মিলিয়ে না যাওয়ায় স্যামুয়েলের বাবা-মার কপালে দুশ্চিন্তার রেখা দিন দিন গাঢ় হচ্ছে।

ভিডিওসহ লিংক : প্রতিমুহূর্ত ডটকম
৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×