দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলছে পুরোদমে। ফুয়েরার হিটলারের বিজয় ঢঙ্কা বাজছে চারদিকে। থার্ড রাইখ দুমড়ে মুচড়ে ফেলছে চারদিক।
গোপন সূত্রে সংবাদ এল, তিনজন জেনারেল ফুয়েরারের আদেশ মানছে না। সাথে সাথে গ্রেফতার করা হলো। ফুয়েরার (হিটলার) সিদ্ধান্ত নিলেন এই তিন বিদ্রোহীর শাস্তিটা একটু ব্যতিক্রমভাবে দিবেন।
তিন জেনারেলকেই একসাথে রাখা হয়েছে। নির্জন কুঠুরিতে ক্লাসিক মিউজিক চালিয়ে দেয়া হলো। ভেন্টিলেটার দিয়ে একটা চিকন নল সেলের ভেতরে ঢুকিয়ে দেয়া হলো। সেখান দিয়ে টপটপ করে ফোঁটা ফোঁটা পানির মতো একটা পদার্থ ঝরছে অনবরত।
.
ঘোষণা দেয়া হলো, পাইপ দিয়ে বিষাক্ত গ্যাস ছেড়ে দেয়া হয়েছে। ছয় ঘণ্টার মধ্যে তাদের মৃত্যু ঘটবে। ঘোষণার পরপরই দেখা গেল জেনারেলদের কপাল ঘর্মাক্ত হয়ে উঠলো। তারা কাশতে শুরু করলো।
.
চার ঘণ্টা পর ডিউটিরত অফিসার গিয়ে দেখল দুই জেনারেল ইতিমধ্যে মরে গেছে। আরেক জন ধুঁকছে। শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করার উপক্রম।
.
অফিসার বললেন:
-তুমি এমন করছো কেন?
-বিষের প্রভাবে?
-বিষ কোথায়? এটাতো সাধারণ পানির নল। ওটা দিয়ে এতক্ষণ পানি ঝরছিল। বিষটিষ সব মিথ্যা।
.
জেনারেলদেরকে আসলে তাদের মাথার চিন্তাই মেরেছে। তারাই পানিকে বিষ ভেবে, নিজের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিষের প্রভাব সৃষ্টি হতে দিয়েছে। হরমোন বের হতে দিয়েছে। মন আস্তে আস্তে মরার জন্যে শরীরকে প্রস্তুত করেছে। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে শরীরে নেতিবাচক প্রভাব তৈরী করেছে।
.
ঠিক এমনটাই করছে প্রচারমাধ্যম। মুসলমানদের সাথে। প্রতিদিনই তারা আমাদের চেতনাবিনাশী তথ্য ছাড়ছে। ঘুমপাড়ানি গান শোনাচ্ছে।
.
আমরা তাদের দেয়া সংবাদের ভিত্তিতে নিজেদের সম্পর্কে ভাবছি। সেটাকে সত্য বলে ধরে নিচ্ছি। আমাদেরকে হত্যা করছি। মানসিকভাবে পঙ্গু করছি।
.
এমন ধ্বংসাত্মক কিছু চিন্তা হলো:
= ইসরাঈল বিশ্বের প্রথম সারির শক্তিধর একটা রাষ্ট্র।
= আমরা পশ্চিম থেকে শত বছর পিছিয়ে আছি। পাশ্চাত্যকে ধরতে আমাদের বহু বছর লেগে যাবে।
= পশ্চিমা সভ্যতাই হলো আদর্শ সভ্যতা।
= আরব ও মুসলিম যুব সমাজ অনর্থক কাজেকর্মে সময় নষ্ট করছে। তাদের দিয়ে কিছু হবে না। আশা করাও ভুল।
= আমরা কোন নতুন কিছু আবিষ্কার করতে সক্ষম নই।
= মুসলিম উম্মাহ এখন বিক্ষিপ্ত-ছত্রভঙ্গ। তারা গন্তব্যহীন পথ চলছে।
.
তারা আমাদেরকে এসব সংবাদ গেলাচ্ছে, আমরাও পরম বিশ্বাসে গিলছি। বাস্তবতার খোঁজ আর করছি না।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই অক্টোবর, ২০১৫ রাত ৮:৪১