ব্রাজিলের কোচ কার্লোস ঠোঙ্গা'ও সেদিন বলে বসল, তিনি চান আর্জেন্টিনা বিশ্বকাপ খেলুক। আর্জেন্টিনা না থাকলে বিশ্বকাপ ম্যাড়ম্যাড়ে হয়ে যাবে। কথায় আছে, হাতি গর্তে পড়লে নাকি চামচিকাও লাথি মারে। ম্যারাডোনার অবস্থাও অনেকটা সেরকম হয়ে পড়েছিল। ভাল ছাত্র ভাল শিক্ষক হতে পারেনা হতে শুরু করে হেন কটাক্ষমার্কা বিশেষণ নেই যা ম্যারাডোনার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়নি। আসলে আর্জেন্টিনার কয়েকটি ম্যাচ খুব খারাপ ফলাফল বয়ে এনেছে মূলত: ভাগ্যের কারণেই। দলে যারা খেলেছেন, ব্রাজিল কিংবা অন্যান্য দলের চেয়ে তাদের যোগ্যতা কোন অংশে কম নয়।
কটাক্ষ করে এই ব্লগেও অনেক পোস্ট এসেছে। কেউ কেউ সাইড লাইনে ম্যারাডোনার নিস্ফল আস্ফালন দেখে মজা পেতে চান। কিন্তু একটা কথা সবারই মনে রাখা উচিত- সব দিন সমান যায় না। পরপর দু'ম্যাচ জিতে সরাসরি বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা অর্জন করতে সক্ষম হয়েছে ম্যারাডোনার দল।
বাংলাদেশের ফুটবল দর্শকদের প্রায় ৮৫% ই (আমার ধারণা) আর্জেন্টিনা'র সমর্থক। নিশ্চই সারা বিশ্বের আর্জেন্টিনা সমর্থকদের মতো তারাও খুশি। বিশ্বকাপ শুরু হতে না হতেই বাংলাদেশের আকাশে হয়তো উড়বে হাজার হাজার নীল-সাদা পতাকা।
আর্জেন্টিনার জন্য শুভকামনা। বিরোধীদলের জন্য সমবেদনা।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




