খুব মনে পড়লে
জানালার পাশে থেমে যাওয়া বিকেলের স্পর্শ নিও।
বেখেয়ালি বাতাশের রঙচটা ঝাপটায় দু চোখ বুজো।
শরতের কাছ থেকে
কয়েক প্যাগ শুভ্রতা ধার করে
জমাটবাধা স্মৃতির পেয়ালায় চুমুক দিয়ো।
ক্ষানিকটা মাতাল না হয় হলেই।
খুব মনে পড়লে
জোনাকির আলো ছুয়ে নিশ্চুপ জোছনাকে খোপায় গুজো।
হঠাৎ ছুটে আসা শীতছোয়া বাতাশের আদরে
কোন এক বিকেলে আমাদের গা ছুয়ে থাকা
সেই নিলাভ চাদরে নিজেকে জড়িয়ে নিও।
নাগরিক জলাবদ্ধতায়
দূর থেকে ভেসে আসা বেলি ফুলের সুবাস নিও।
খুব মনে পড়লে
আয়নার সামনে বসে
সদ্য জন্ম নেয়া ব্রনটাকে না ছুয়ে
কপালের টিপটাকে ঠিক করো।
কাজলের রেখা টেনে চোখ দুটো সাজিয়ে দিও।
নিজের অজান্তে
চোখ থেকে বেরিয়ে আসা জলের স্পর্শে
আবার মুছে যায়না যেন।
যদি পার
চিকন সুতোর ওড়নায়
ঘোমটা দিয়ে একটু হেসে সেলফি তুলো।
খুব মনে পড়লে
জমিয়ে রাখা আমাদের কথার দেশে
ক্ষানিকক্ষন ঘুড়ে এসো।
ডায়েরির পাতার ভাজে ঘুমিয়ে থাকা
সেই রোদেলা দুপুরে দেয় গোলাপের পাপড়িগুলোকে
আলতো ছোয়ায় জাগিয়ে দিও।
আড়চোখে তাকিয়ে থাকা পুতুলটাকে চুমু খেয়ো।
খুব মনে পড়লে
হাতে বানানো
মোটা কাগজের ছবির এলবামে সাজানো আমাকে
চুপটি করে চিমটি কেটো।