মেরুল বাড্ডা, ডিআইটি প্রজেক্ট। রোড নাম্বার ১২। এখানে গেলেই যে কেউ দেখতে পাবেন রোডের শুরুতে বিশাল বড় একটি গেইট। আর গেইটের উপরে বড় করে লেখা "হাজী হাছান উদ্দীন সড়ক"। চলুন এর সমসাময়িক ইতিহাসটা একটু জেনে নেই। ডি আইটির এখন প্রায় প্রতিটি রোডের ই বেহাল দশা। ঠিক করার কোন নাম গন্ধও নেই। রোডগুলির ঠিক এই অবস্থায় ১২ নাম্বার রোডে অবস্থানকারি এক প্রভাবশালী লোক হাছান সাহেব সম্পুর্ণ উনার নিজের খরচে এই রোডটি ঢালাই করেন। রোডের দুইপাশে সরকারি গেইট উঠিয়ে নিজ খরচে বড় বড় দুটি গেইট লাগান। উনার এতটুকু কাজকে আমি যথাযথ সম্মান জানাচ্ছি। উনার জন্য ওই রোডের মানুষদের বেশ সুবিধাই হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হল এই নামটা। উনি নিজের নামেই রোডটির নামকরন করেন। যদিও রোডটির নাম দেয়ার কোন প্রয়োজন ছিল না । ১২ নাম্বার রোডই যথেষ্ট ছিল। এই নামকরনের অধিকারটা উনাকে কে দিয়েছেন বলতে পারেন? নাহ! কেউ দেয়নি। সব কিছু যেমন নিজের খরচে করেছেন এটাও তিনি নিজের তাগিদেই করেছেন। কিন্তু সত্যি ই কি শুধুমাত্র রোড পাকা করার জন্য উনি নিজের নামে রোডের নামকরন করার অধিকার রাখেন? আমার জানা নেই।এতটুকু পর্যন্ত ঠিক মানা যায়।একজন সাধারন মানুষ হিসেবে রোডের নামকরনে আমার তেমন কিছু একটা যায় আসে না। আমার কাছে সুবিধাটাই মুখ্য। কিন্তু এখানেও রয়েছে ঝামেলা। ডিআইটির যে কোন রোডে আপনি রাত সাড়ে ১১ পর্যন্ত গাড়ি বা রিকশা নিয়ে ঢুকতে পারলেও এই রোডে আপনি ১০ টার পর আর গাড়ি বা রিকশা নিয়ে ঢুকতে পারবেন না। কি ভাবছেন? সরকার থেকে এই নিয়ম করা হয়েছে কিনা? নাহ! এটা এই হাছান সাহেবের আইন। তাহলে শেষ পর্যন্ত ব্যাপারটা কি দাড়ালো??
হাছান সাহেব উনার কিছু টাকা দিয়ে কিনে নিলেন আমার স্বাধীনতা।
জ্বী! ঠিক এমন করেই এক একটা হাছান সাহেবের কাছে জিম্মি আমার স্বাধীনতা।
চাঁদপুরের পদ্মার পাড়ে বাড়ি হয়েও আমি বছরে দুইটা বড় ইলিশ চোখে দেখি না। আমার দেশের ইলিশগুলো ওদের কাছে জিম্মি।
এমন করেই একটু একটু করে আমার বাবার রক্ত,মায়ের সুখ,আমার স্বপ্ন ওদের কাছে জিম্মি। জিম্মি আমার বাংলাদেশ।