somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মহাবিশ্বের সৃষ্টি এবং স্রষ্টার অস্তিত্ব (পর্ব০৭)

২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:৪৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এখন পর্যন্ত আমাদের সামনে যেসব বিষয় এসেছে (আগের পর্বগুলোতে) তাতে দেখা যায় যে এই মহাবিশ্ব, আমাদের সৌরজগৎ, পৃথিবী ইত্যদির সৃষ্টি কাঁকতলিয় হতে পারেনা। এমনকি সবচেয়ে সরল এককোষী প্রাণটির সৃষ্টিও কাঁকতলিয় ভাবে হতে পারেনা। নিউইয়র্ক বিশ্ববিদ্যালয়ের রসায়ন বিভাগের প্রফেসর এবং DNA বিশেষজ্ঞ Robert Shaprio গানিতিক গবেষণার মাধ্যমে ব্যক্টেরিয়ার ২০০০ প্রোটিন অণুর কাঁকতলিয় ভাবে সঠিক হওয়ার সম্ভাব্যতা পান ১/১০৪০০০ , যা এককথায় অসম্ভব। আর মানবদেহে বিদ্যমান ২০০০০০ বিভিন্ন ধরনের প্রোটিন অণুর কাঁকতলিয় ভাবে সঠিক হওয়ার সম্ভাব্যতা গণনাই করা যাবে না এবং অসম্ভব।তাহলে আমরা কিভাবে বিশ্বাস করি যে মানুষ বিবর্তনের ফলে আপনা আপনি সৃষ্টি। কার্ডিফ বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিতবিদ্যা বিভাগের প্রফেসর Chandra Wickramasinghe, Robert Shaprio এর গণনা সম্পর্কে বলেন “The likelihood of the spontaneous formation of life from inanimate matter is one to a number with 104000 noughts after it…It is big enough to bury Darwin and the whole theory of evolution. There was no primeval soup, neither on this planet nor on any other, and if the beginnings of life were not random, they must therefore have been the product of purposeful intelligence.’


ছবিঃ একটি সরল প্রোটিন অণু।
সবচেয়ে সরলতম প্রোটিন অণুটির গঠন এত জটিল যে এটি দুর্ঘটনাবশত বা কাঁকতলিয় ভাবে সৃষ্টি হওয়া সম্ভব নয়। একটি সাধারন প্রোটিন অণু ২৮৮ টি ১২ ধরণের অ্যামাইনো এসিড দ্বারা গঠিত যার ১০৩০০ টি বিভিন্ন ধরণের সমন্বয় সম্ভব। কিন্তু এসবের মধ্যে শুধুমাত্র এক ধরণের সমন্বয়ের মাধ্যমে প্রানের প্রোটিন অণু গঠিত হয়। অন্যান্য সমন্বয় গুলো অকার্যকরী অথবা ক্ষতিকারক। কোনো সৃষ্টিকর্তা ছাড়া প্রাণের প্রোটিন অণু সঠিক ভাবে গঠনের সম্ভাব্যতা ১/ ১০৩০০ এবং গনিতিক নিয়ম অনুযায়ী ১/১০৫০ এর চেয়ে ছোট কোনো সম্ভাব্যতাকেই অসম্ভব বলে ধরা হয়। এই ২৮৮ টি অ্যামাইনো এসিড নিয়ে গঠিত প্রোটিন অণুটি হচ্ছে সবচেয়ে সরলতম। যখন একে মানবদেহের জটিল প্রোটিন অণু, যা হাজার হাজার অ্যামাইনো এসিড নিয়ে গঠিত, এর সাথে তুলনা করা হবে তখন এই জটিল প্রোটিন অণুর কাঁকতলিয় ভাবে গঠিত হওয়াটা অসম্ভবের চেয়েও বেশী কিছু।
যদি জীবন সৃষ্টির পরবর্তী পর্যায়ে যাওয়া হয় তখন এই প্রোটিন অণুটিও প্রাণ সৃষ্টির ক্ষেত্রে খুব বড় কিছু বলে মনে হবে না। Mycoplasma Hominis H39 হচ্ছে মানুষের জানা সবচেয়ে প্রাগৌতিহাসিক ব্যাকটেরিয়া যা ৬০০ টি বিভিন্ন ধরণের প্রোটিন অণু নিয়ে গঠিত। এই ক্ষেত্রে এটির আপনা আপনি সঠিক হয়ে সৃষ্টি হওয়ার সম্ভাব্যতা অসম্ভব বললেও কম বলা হয়। আমেরিকান বিজ্ঞানী উইলিয়াম স্টোকস তার “Essentials of Earth History” বইটিতে Cytochrome-C প্রোটিন কাঁকতলিয় ভাবে সৃষ্টি হওয়ার সম্ভবনার ব্যাপারে বলেন “The likely probability of the formation of a cytochrome-C sequence is zero… To accept the alternative—that some metaphysical powers beyond our definition must have effected its formation—isn’t appropriate to the goals of science. Therefore, we have to look into the first hypothesis”

দর্শন এবং বিজ্ঞানের নিয়ম অনুযায়ী তাই বলা যায় যে যেহেতু এসব জিনিস কাঁকতলিয় ভাবে সঠিক হওয়ার সম্ভবনা শূন্য, তাহলে অবশ্যই এসব সৃষ্টিকৃত বা Created. বিবর্তনবাদ মতানুসারীরা বিজ্ঞান দ্বারা সমর্থিত “zero probability” কে বিজ্ঞানসম্মত ভেবে থাকেন। বস্তুবাদী মতাদর্শ সৃষ্টিকর্তার অস্তিত্বে বিশ্বাস করে না। তাই তারা এমন বিষয়কে গ্রহন করছে যা তাদের বৈজ্ঞানিক দর্শনেরই বিরোধী।
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে জুন, ২০১১ রাত ৯:৫২
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুরসি নাশিন

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:১৫


সুলতানি বা মোগল আমলে এদেশে মানুষকে দুই ভাগে ভাগ করা হয়েছিল৷ আশরাফ ও আতরাফ৷ একমাত্র আশরাফরাই সুলতান বা মোগলদের সাথে উঠতে বসতে পারতেন৷ এই আশরাফ নির্ধারণ করা হতো উপাধি... ...বাকিটুকু পড়ুন

বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন আর আদর্শ কতটুকু বাস্তবায়ন হচ্ছে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৯ শে মে, ২০২৪ সকাল ১১:৩৭

তার বিশেষ কিছু উক্তিঃ

১)বঙ্গবন্ধু বলেছেন, সোনার মানুষ যদি পয়দা করতে পারি আমি দেখে না যেতে পারি, আমার এ দেশ সোনার বাংলা হবেই একদিন ইনশাল্লাহ।
২) স্বাধীনতা বৃথা হয়ে যাবে যদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

কৃষ্ণচূড়া আড্ডার কথা

লিখেছেন নীলসাধু, ১৯ শে মে, ২০২৪ দুপুর ১:০২



গতকাল পূর্ব নির্ধারিত কৃষ্ণচূড়ায় আড্ডায় মিলিত হয়েছিলাম আমরা।
বছরের একটি দিন আমরা গ্রীষ্মের এই ফুলটির প্রতি ভালোবাসা জানিয়ে প্রকৃতির সাথে থাকি। শিশুদের নিয়ে গাছগাছালি দেখা, ফুল লতা পাতা চেনাসহ-... ...বাকিটুকু পড়ুন

সকাতরে ঐ কাঁদিছে সকলে

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৩:২৯

সকাতরে ওই কাঁদিছে সকলে, শোনো শোনো পিতা।

কহো কানে কানে, শুনাও প্রাণে প্রাণে মঙ্গলবারতা।।

ক্ষুদ্র আশা নিয়ে রয়েছে বাঁচিয়ে, সদাই ভাবনা।

যা-কিছু পায় হারায়ে যায়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

বসন্ত বিলাসিতা! ফুল বিলাসিতা! ঘ্রাণ বিলাসিতা!

লিখেছেন নাজনীন১, ১৯ শে মে, ২০২৪ বিকাল ৪:০৯


যদিও আমাদের দেশে বসন্ত এর বর্ণ হলুদ! হলুদ গাঁদা দেখেই পহেলা ফাল্গুন পালন করা হয়।

কিন্তু প্রকৃতিতে বসন্ত আসে আরো পরে! রাধাচূড়া, কৃষ্ণচূড়া এদের হাত ধরে রক্তিম বসন্ত এই বাংলার!

ঠান্ডার দেশগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

×