প্রথমে জানাই আমার পক্ষ থেকে সকলকে পবিত্র ঈদুল আযহার শুভেচ্ছা।
কোরবানীর পূর্বে সবাইকে কোরবানীর কিছু নিয়ম কানুন জানা অত্যন্ত জরুরী। আসুন আমরা কিছু নিয়ম কানুন জানার চেষ্টা করি।
কোরবানি করার ক্ষেত্রে কিছু নিয়ম মেনে চলা অতি গুরুত্বপূর্ণ :
প্রথমত : কোরবানির পশু ক্রয়ের ক্ষেত্রে অর্থের উৎস সম্পর্কে বিশেষভাবে বিবেচনা করতে হবে। কারণ ভাবতে হবে কোরবানি আল্লাহর হুকুম। আর তা যেন সৎপথে উপার্জিত অর্থ হয়। এখানে অসৎপথে উপার্জিত অর্থে কোরবানি কোনভাবে আল্লাহর কাছে গ্রহণযোগ্য নয়।
দ্বিতীয়ত : কোরবানি বিভিন্নভাবে দেয়া যায়, যেমন এককভাবে এবং অংশীদারিত্বভাবে। যারা অংশীদার হবেন তারা যেন সবাই এক এবং অভিন্ন মতের অধিকারী হন। এখানে কারও কোনো ক্ষেত্রে দ্বিমত থাকলে কোরবানি সহি হবে না। যদি পাঁচ অংশীদার হয় এর মধ্যে যদি একজনের অর্থ অসৎপথে উপার্জিত হয় তবে সবার কোরবানি বাতিল হয়ে যাবে। তাই এ ক্ষেত্রে অংশীদারের বিষয়টা বিশেষভাবে বিবেচনা করতে হবে।
তৃতীয়ত: কোরবানির পশুটি কেমন হবে তাও বিবেচনা করতে হবে। কোরবানির পশু ক্রয়ের ক্ষেত্রে দেখতে পশুটি যেন সুস্থ সবল হয়। কারণ অঙ্গ-প্রত্যঙ্গহানী কোনো পশু কোরবানি সহিহ হয় না। সুন্দর, সুস্থ-সবল পশু কোরবানিতে আল্লাহ বেশি খুশি হয়ে থাকেন।
চতুর্থত: পশু জবাই করার বিষয়েও সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। পশু জবাইয়ের ক্ষেত্রে দেখতে হবে পশুটি মাটিতে ফেলানোর সময় যেন কোনো মতেই ব্যথা বা আঘাতপ্রাপ্ত না হয় এবং জবাই করার ছুরিটি যেন খুবই ধারালো হয়।
যিনি জবাই করবেন তাকে জবাই করার পারিশ্রমিক দিতে হবে এবং যারা মাংস কাটবেন তাদেরও উপযুক্ত পারিশ্রমিক দিতে হবে। আর সে মূল্য যেন কোরবানির মাংসের বিনিময়ে না হয়। যদি অংশীদারিত্ব কোরবানি হয় তবে প্রতিটি কাজের পারিশ্রমিক সব অংশীদারকে সমানভাবে দিতে হবে। অংশীদারিত্ব কোরবানির ক্ষেত্রে মাংস ভাগবাঁটোয়ারা করার ক্ষেত্রে যেন কম-বেশি না হয়। কোরবানির পশুর যা কিছু আছে সবকিছুই অংশীদারদের মধ্যে সমানভাবে ভাগ করতে হবে। সব শেষে যার যার মাংস নিয়ে ইসলামিক বিধান অনুযায়ী বণ্টন করতে হবে।
আল্লাহ পাক আমাদের সবার কোরবানীকে কবুল করুন। আমিন!