সঠিকভাবে ঘুমাচ্ছেন তো?
সুস্থ থাকার জন্য যেমন নিয়মানুযায়ী খাদ্য গ্রহণ করা, কায়িক পরিশ্রম করা, ব্যায়াম করা ইত্যাদি প্রয়োজন ঠিক তেমনি সুন্দর ও নির্মল জীবনের জন্য সঠিক ঘুমেরও প্রয়োজন।
সুস্থ থাকার জন্য নিয়োমিত এবং পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমানো দরকার। অন্যথায়, শরীরে দেখা দিতে পারে নানাবিধ সমস্যা।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের ভার্জিনিয়া ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন বা NSF বলছে,
"প্রত্যেকের লাইফ স্টাইলই আসলে তার ঘুমের চাহিদা বুঝতে মূল ভূমিকা পালন করে থাকে।"
বয়স অনুসারে ঘুমের সময় সংক্রান্ত একটি নির্দেশিকাও দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
বয়স অনুপাতে ঘুমের প্রয়োজনীয়তাঃ
➡ নবজাত শিশু (৩ মাস পর্যন্ত): ১৪ থেকে ১৭ ঘণ্টা। যদিও ১১ থেকে ১৩ ঘণ্টাও যথেষ্ট হতে পারে। তবে কোন ভাবেই ১৯ ঘণ্টার বেশি হওয়া উচিত নয়।
➡ শিশু (৪ থেকে ১১ মাস) : কমপক্ষে ১০ ঘণ্টা আর সর্বোচ্চ ১৮ ঘণ্টা।
➡ শিশু (১/২ বছর বয়স): ১১ থেকে ১৪ ঘণ্টা।
➡ প্রাক স্কুল পর্ব (৩-৫ বছর বয়স): বিশেষজ্ঞরা মনে করেন ১০ থেকে ১৩ ঘণ্টা।
➡ স্কুল পর্যায় ( ৬-১৩ বছর) : এনএসএফ’র পরামর্শ ৯-১০ ঘণ্টার ঘুম
➡ টিন এজ (১৪-১৭ বছর): ৮-১০ ঘণ্টার ঘুম প্রয়োজন।
➡ প্রাপ্ত বয়স্ক তরুণ (১৮-২৫ বছর): ৭-৯ ঘণ্টা ঘুমানো উচিত।
➡ প্রাপ্ত বয়স্ক (২৬-৬৪ বছর): প্রাপ্ত বয়স্ক তরুণদের মতোই।
➡ অন্য বয়স্ক ( ৬৫ বা তার বেশি বছর): ৭/৮ ঘণ্টার ঘুম আদর্শ। কিন্তু ৫ ঘণ্টার কম বা ৯ ঘণ্টার বেশি হওয়া উচিত নয়।
পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে নানাবিধ দৈহিক জটিলতা দেখা দিতে পারে। যেমনঃ
▪ দেহে ইনসুলিন এর পরিমান হ্রাস।
▪ স্মৃতিশক্তি কমে যাওয়া।
▪ অমনোযোগী হওয়া।
▪ মেজাজ খিটখিটে হয়ে যাওয়া ইত্যাদি।
তাই সুশৃঙ্খল জীবনের জন্য চাই পর্যাপ্ত ঘুম এবং বিশ্রাম।
তথ্য সূত্রঃ বিবিসি
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৫৪