২০১০ সালের জুলাই মাস।ঢাবির মল চত্বরে একা একা হাঁটছি।হঠাৎ কি মনে হল- যশোর সমিতির ওয়েব সাইট থেকে নেয়া নম্বরটিতে ফোন দিলাম।দুইবার রিং বাজার পর ভরাট কন্ঠে ফোনের ওপাশ থেকে বলে উঠল-কে?।আমার উত্তর-আমি মাহবুব হাসান।ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশুনা করি,আমার হোম ডিসট্রিক্ট ঝিনাইদহ।তো কি জন্য ফোন দিয়েছো?আমার উত্তর-আমি বৃহত্তর যশোর সমিতির মেম্ব্রর,অফিসিয়াল ওয়েব সাইট থেকে আপনার নাম্বার নিয়েছি।তো কেমন আছেন?ভালো,তুমি?জ্বি ভালো আছি।তুমি কোন সাবজেক্টে পড়? অর্থনীতিতে। আমার বড় ছেলেও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তো,এখন বঙ্গবন্ধু মেডিকেলে চাকরি করে।আচ্ছা,আমি যদি মাঝে মাঝে আপনাকে কল দিই আপনি কি বিরক্ত বোধ করবেন?ওপ্রান্ত থেকে সপ্রতিভ উত্তর-না বিরক্ত হব কেন?তুমি যখন ইচ্ছে আমাকে কল দিতে পারো।দুইদিন পর আবার ফোন দিলাম।রিসিভ করেই বলল-বাবাজি কেমন আছো?আমি কিছুটা হতচকিত হয়ে গেলাম! দুইদিন আগে সামান্য একটা ছেলের ফোন নাম্বার সে ভালোভাবেই মনে রেখেছে!ভাল-মন্দ আলাপ চারিতার পর উনি বলল-আমি চৌগাছা উপজেলা পরিষদে একটা প্রোগ্রামে আছি,এখন রাখি। আমি বললাম আচ্ছা ভালো থাকবেন।এভাবেই কয়েকদিন পরপর লোকটার সাথে আমার ফোনে কথা চলত।
২০১১ সালের মার্চ মাস। তারিখটা ঠিক মনে নেই।গুরুত্বপূর্ণ কাজে ঢাকায় আসার সুবাদে জাতীয় সংসদ সদস্যদের জন্য নির্ধারিত ফ্ল্যাটের(৩নং)সামনে আমাদের দেখা।আমি দূর থেকে দেখেই চিনে ফে্ললাম(উল্লেখ্য-আমি আগেই ছবি দেখেছিলাম)।কাছে যেতেই তিনি হাস্যজ্জল মুখে আমার দিকে হাত বাড়িয়ে দিলেন।একে একে পরিচয় করিয়ে দিলেন তৎকালীন মেয়াদে চৌগাছা উপজেলার মহিলা চাইস-চেয়ারম্যান আকলিমা ম্যাডাম ও তার সফরসঙ্গীদের সাথে।আলাপচারিতা সেরে আমি উনার সাথে রওনা দিলাম ফার্মগেটে অবস্থিত হোটেল গ্রীনল্যান্ডে।রুম নাম্বারটা মনে না থাকলেও একটা অচেনা-অজানা ছেলের সাথে তার ব্যবহার আমার স্মৃতিপট থেকে কখনো মুছবে না।চলে আসার সময় আদর করে আমার মুখে হাত বোলানো,মনে হলেই যেন একটা অজানা হাহাকারে বুকটা ফেটে যায়!(To be continued..........)

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।






