প্রায় ২ সপ্তাহ আগে থেকেই উত্তেজনা চরমে উঠেছিল। কারণ গত ২ সপ্তাহ আগে ফেইসবুকে একটা ইভেন্ট এর খবর জানতে পারলাম। গন্তব্য হচ্ছে ফোর্ট কা’পল। আমাদের এখান থেকে রওনা দিয়ে পৌছাতে ১ ঘন্টা লাগবে। যথারীতি শুরু হল দিন গননা, সাথে কতজন যাবে এমনকি বুকিং এর ব্যবস্থা করা। যিনি এই ইভেন্টের আয়োজন করেছেন উনার সুদক্ষ নেতৃত্বে সবকিছু ভাল মতই এগিয়ে যাচ্ছিল। ইভেন্টের সময় ধরা হয়েছিল ফেব্রুয়ারির ৪ তারিখ, ২০১২। সেদিন শনিবার তার মানে ছুটির দিন।
আমার উত্তেজনার কারণ হল জীবনে প্রথমবার বরফের উপর দিয়ে স্কিং করবো। এতদিন বিভিন্ন সিনেমাতে এসব দেখে এসেছি। নায়ক শত্রু পক্ষকে ঘায়েল করার জন্য এভাবে বরফের উপর দিয়ে স্কিং করে কিংবা বরফে চলার গাড়ি দিয়ে ছুটে যায়। তুমুল মারামারি হয়। আজ সত্যি সত্যি চোখের সামনে দেখার সুযোগ তৈরি হয়েছে তাই শত বাধা সত্তেও মনের ইচ্ছেকে দমিয়ে রাখলাম না।
সকাল ১০ টায় সেখানে যাওয়ার কথা ছিল আমাদের। আর সবার একটা জায়গায় এসে রিপোর্ট করার কথা ছিল সকাল ৮ /৪৫ মিনিটে। কিন্তু সবাই আসতে আসতে অনেক দেরি করে ফেলেছিল। বাঙ্গালী সময় বলে কথা! সাড়ে ৯ টার পর রওনা দিয়েছিলাম আমরা সবাই। আমরা সব মিলে ১৯ জন গিয়েছিলাম।
হাইওয়ে রোড দিয়ে যাওয়ার সময় পথে সারি সারি মাঠ দেখতে পেলাম। গাছগুলো সব বরফে ঢাকা। কিছু কিছু মাঠে গরু চড়ে বেড়াচ্ছে। মাঠের এক কোনায় হয়ত কৃ্ষকের দোচলা ঘর রয়েছে। উচু নিচু সরু পথ ধরে যাচ্ছিলাম। মাঝে মাঝে গাড়িতে এই এলাকার কৃষিবাদ কিংবা জনসংখ্যা নিয়ে কথা হচ্ছিল। আমাদের কথায় উঠে এসেছিল বাংলাদেশের জনসংখ্যা বিষয়টিও। এক বড় ভাই বলছিলেন যে বাংলাদেশের একটি জেলার অংশের লোক এনে এই ফাকা জায়গায় ছেড়ে দিলেও হয়ত এই দেশের জনসংখ্যা বাড়বে না!
আসুন কিছু ছবি দেখি -
১। সদর দরজাটা এমন
২। রাস্তার বাম পাশে রয়েছে পাহাড়
৩।
৪।
৫। বাহির থেকে দেখতে
৬। এইবার ভিতরের ছবি
৭। ওই উচু থেকে নিচে নেমে আসা হয়
৮। উপরের দিকে যাওয়ার জন্য আলাদা একটা যান আছে। যেটা দিয়ে উপরে উঠা যায়
৯। এই পাশে আছে এস্কেলেটর যা দিয়ে উপর উঠা যায়। এটা যারা নতুন তারা ব্যবহার করে।
সেদিনের আবহাওয়া বলতে গেলে দারূণ ছিল। যদিও রোদ একটু বেশি ছিল। তার উপর আবার স্কিং করতে পরতে হয়েছিল মাথায় হেলমেট, পায়ে বিশাল এক জোড়া জুতো (যা পরে হাটা বড় কষ্টকর), আর সেই জুতোর সাথে শরীরের ওজন অনুযায়ী ২ পায়ের জন্য স্কেটার। এসব পরে নিজেকে কিম্ভুতকিমাকার লাগছিল!
সে যাই হোক, আমরা সেখানে সাড়ে ৪ টা পর্যন্ত ছিলাম বন্ধ না হওয়া অবধি।
আর এভাবে করেই ছুটির দিনে এক অসাধারণ সময় কাটালাম সবার সাথে।
ঘুরে এলাম বরফে ঢাকা উইনটার রিজ পার্ক (১টি ভ্রমণ কাহিনি + ছবি ব্লগ)
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
২৯টি মন্তব্য ২৯টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
স্মৃতিপুড়া ঘরে
বাড়ির সামনে লম্বা বাঁধ
তবু চোখের কান্না থামেনি
বালিশ ভেজা নীরব রাত;
ওরা বুঝতেই পারেনি-
মা গো তোমার কথা, মনে পরেছে
এই কাঠফাটা বৈশাখে।
দাবদাহে পুড়ে যাচ্ছে
মা গো এই সময়ের ঘরে
তালপাতার পাখাটাও আজ ভিন্নসুর
খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে... ...বাকিটুকু পড়ুন
গরমান্ত দুপুরের আলাপ
মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন
রাজীব নূর কোথায়?
আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন
=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=
©কাজী ফাতেমা ছবি
মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।
হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।
ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন