গতকাল ফরিদউদ্দিন আত্তার ফোন করেছিলেন। আগে তাকে চিনতাম কি না ঠিক মনে করতে পারছি না। কিন্তু তিনি যে রেফারেনস দিয়েছেন তাতে এর আগে তার সঙ্গে দেখা-সাক্ষাতের সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলছে। এর আগে ফরিদ উদ্দিন আত্তার বলতে একজনকই আমি জানতাম। তিনি ছিলেন দ্্বাদশ শতকের ইরানি এক সুফি সাধক ও কবি। খোরাসানে জন্ম তার। বাংলাদেশে কারও নাম ফরিদ হতে পারে। ফরিদউদ্দিন হতে পারে। কিন্তু ফরিদউদ্দিন আত্তার কারও নাম হতে পারে এটা ভেবে অবাক হলাম আমি।
ভদ্রলোকের কণ্ঠস্বর কাঁপা কাঁপা। বয়সটা বেশি ফোনেই টের পেলাম। বললেন, আপনি মাত্র দুবছরের মধ্যেই ভুলে যাবেন এটা ভাবতে পারিনি। বিশেষ করে আপনার মতো যত্নশীল তরুণ। আচ্ছা আপনি কি 2004 সালের 14 অক্টোবর দুপুর বেলার কথা মনে করতে পারেন? ওই দুপুরে আপনি ঠিক কী করছিলেন?
কথা বলতে বলতে আমি মনে করার চেষ্টা করলাম। কিন্তু মনে পড়লো না। ঠিক মনে করার প্রক্রিয়াও ছিল না কথোপকথন পর্বটা। তার কণ্ঠস্বরটাকে আমি আমার স্মৃতির নানা কণ্ঠস্বরের সঙ্গে মেলাচ্ছিলাম, আর ইনি নন, উনি নন করে পরপর বাতিল করে দিচ্ছিলাম। শেষ কথাটা উনিই বললেন। ঠিক আছে আপনি মনে করার চেষ্টা করুন। আমি আবার কাল আপনাকে ফোন দেব।
কেন আজই বলেন না কী দরকার? বলবো বলে সিদ্ধান্ত নিতে নিতেই ফোনটা কেটে দিলেন মি. ফরিদউদ্দিন আত্তার।
মোটমাট তিন মিনিটের কথা। টিঅ্যান্ডটি থেকে সিটিসেলে ইনকামিং ফ্রিকল করেছেন। ভাবলাম ব্যাক করে জানতে চাই। কিন্তুতখনই আইডিয়াটা বাদ দিলাম। বেশ একটা পাজল। 2004 সালের 14 অক্টোবরের দুপুর বেলা আমি কী করছিলাম? মনে করার চেষ্টা করলাম। 14 অক্টোবর আমার জন্য কোনো বিশেষ ঘটনা নয়। স্বাভাবিকভাবে কিছু মনে করতে পারলাম না।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



