দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী : দুর্নীতি দলীয়করণের রোল মডেল
গত পাঁচ বছরে পিরোজপুর-নাজিরপুর ও জিয়ানগর উপজেলায় সাঈদী ও জামায়াত নেতারা প্রশাসনকে কাজে লাগিয়ে তাদের ইচ্ছামতো উল্পম্নয়ন কাজসহ বিভিল্পম্ন কর্মকা- পরিচালনা করেছেন। বিশেষ করে ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্পণালয়ের অধীন কাবিখা, কাবিটা ও টিআর প্রকল্কেপ্প সীমাহীন অনিয়ম, দুর্নীতি ও নিজেদের পছন্দমতো লোকদের প্রকল্কপ্প চেয়ারম্যান করে লুটপাট করা হয়েছে। বরাদ্দ, ভাগ-বাটোয়ারা এবং প্রকল্কপ্প গ্রহণ সাঈদীর নির্দেশেই হতো। জোটের অন্য কোনো শরিক দলের নেতাদের গণ্য করা হয়নি।
তৎকালীন সাংসদ সাঈদীর নির্দেশে এবং জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেত্রেক্রটারি মাওলানা শফিকুল ইসলামের পরামর্শে এসব টিআর, কাবিখা, কাবিটা প্রকল্কপ্প বাস্টস্নবায়ন করা হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত পাঁচ বছরে পিরোজপুর-1 আসনে 497টি কাবিখা ও কাবিটা প্রকল্কপ্প গ্রহণ করা হয়। এর মধ্যে পিরোজপুর সদর উপজেলায় 206টি প্রকল্কেপ্প 2 কোটি 21 লাখ 600, নাজিরপুর উপজেলায় 173টি প্রকল্কেপ্প 1 কোটি 77 লাখ 32 হাজার 555 এবং জিয়ানগর উপজেলায় 118টি প্রকল্কেপ্পর আওতায় 99 লাখ টাকা ব্যয় করা হয়েছে; কিন্তু বাস্টস্নবে কাজ হয়েছে নামমাত্র।
এছাড়া টিআর কর্মসহৃচির আওতায় স্ট্কুল-কলেজ, মাদ্রাসা, মসজিদ-মন্দির, রাস্টস্না সংস্ট্কার ও মাঠ ভরাটের নামে 1 হাজার 297টি প্রকল্কেপ্প 2 কোটি 6 লাখ 70 হাজার টাকা ব্যয় করা হয়েছে। কাবিখা, কাবিটা প্রকল্কপ্পগুলোর নামধাম থাকলেও টিআর প্রকল্কেপ্পর কাজের তালিকা সংশি্নষদ্ব দফতরেও নেই। পিরোজপুর ত্রাণ বিভাগের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, সাংসদ সাঈদীর নির্দেশ ও সুপারিশে বিভিল্পম্ন সময় টিআরের সাধারণ ও বিশেষ বরাদ্দের কাজ করা হয়। এসব কাজের তালিকা সাংসদ নিজেই করে দেন।
পিরোজপুর সদর উপজেলায় গত 2003-04 অর্থবছরে বিশেষ টিআর বরাদ্দের 100 মেট্রিক টন চালের বিপরীতে গ্রহণ করা প্রকল্কেপ্পর কোনো কাজই করা হয়নি। সাংসদ সাঈদীর বিশেষ আশীর্বাদপুষদ্ব ইউপি চেয়ারম্যান এলিজা জামানের এলাকায় 75 টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়। কিন্তু এ চালের বিপরীতে কোনো প্রকল্কপ্পই বাস্টস্নবায়িত হয়নি। এ ব্যাপারে বিভিল্পম্ন সময় ত্রাণ মন্পণালয় ও অধিদফতর থেকে অভিযোগের ভিত্তিতে একাধিকবার তদনস্ন করা হলেও রহস্যজনক কারণে অদ্যাবধি কোনো ব্যবস্ট্থা নেওয়া হয়নি।
গত পাঁচ বছরে জিয়ানগর উপজেলায় সাঈদী প্রতিষ্ঠিত এসডি মদিনাতুল দাখিল মাদ্রাসায় স্ট্বজনপ্রীতি ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে কাবিখা, কাবিটা ও টিআর প্রকল্কেপ্পর আওতায় পাঁচ লক্ষাধিক টাকার বরাদ্দ দেওয়া হয়। আর এসব প্রকল্কেপ্পর চেয়ারম্যান করা হয় সাঈদীর ভাইজি-জামাই মাওলানা অহিদুল ইসলামকে। উপজেলার টগরা কামিল মাদ্রাসায় কাবিখা, কাবিটা ও টিআর কর্মসহৃচির আওতায় 5 লাখ টাকার কাজ করেন উপজেলা জামায়াত সেত্রেক্রটারি। বালিপাড়া পাইলট মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের জন্য বরাদ্দকৃত 10 মেট্রিক টন চালের কাজ করেন ইউনিয়ন জামায়াত সেত্রেক্রটারি হাবিবুর রহমান। অভিযোগ রয়েছে, এসব প্রকল্কেপ্পর কাজও সঠিকভাবে সল্ফঙ্ল্পম্ন হয়নি।
সাবেক সাংসদ দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদী পিরোজপুরে নিজ নামে প্রতিষ্ঠা করেছেন সাঈদী ফাউন্ডেশন। পিরোজপুরে প্রতি বছর উল্পম্নয়নমহৃলক কাজে বরাদ্দকৃত টাকার একটি বড় অংশ এ ফাউন্ডেশনের নামে ব্যয় করেন তিনি। ফাউন্ডেশনের আওতায় সরকারি অনুদানে প্রতিষ্ঠা করেছেন পিরোজপুর ইসলামিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস ম্যানেজমেন্ট কলেজ, ভৈরামপুর ইসলামিয়া টেকনিক্যাল অ্যান্ড বিজনেস কলেজ, তাহফিমুল কোরআন মাদ্রাসা, দারুল কোরআন মহিলা দাখিল মাদ্রাসা, খলিশাখালী মহিলা দাখিল মাদ্রাসা ও নাজিরপুর দাখিল মাদ্রাসা। 2001 সালে জোট সরকার ক্ষমতায় আসার পর বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষদ্ব্রপতি জিয়াউর রহমানের নাম ব্যবহার করে মাত্র তিনটি ইউনিয়ন নিয়ে গঠন করেন জিয়ানগর উপজেলা। এলাকাবাসীর ইচ্ছার বিরুদব্দে তিনি এ উপজেলা গঠন করে কৃতিত্দ্ব নেন বলে অভিযোগ রয়েছে। আর এ নতুন উপজেলা গঠনের মাধ্যমে তার দলীয় ও আত্দ্মীয়স্ট্বজনকে পুনর্বাসন করেন।
উপজেলা গঠনের পর সেখানে প্রায় সব উল্পম্নয়নমহৃলক কাজের দায়িত্দ্ব পান জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীরা। সাঈদী ক্ষমতার অপব্যবহার করে কোটি টাকা ব্যয়ে তার বাড়ি পর্যনস্ন নির্মাণ করেছেন বিশাল রাস্টস্না। এছাড়া দলের লোকজনের বাড়ির সামনে দিয়ে রাস্টস্নাঘাট তৈরির অভিযোগও রয়েছে। সাঈদী তার বাড়ির সামনে বলেশ্বর নদীর পাড়ে একটি অখ্যাত হাটের উল্পম্নয়নে ব্যয় করেছেন পাঁচ লক্ষাধিক টাকা। সাঈদীর ভাই মোস্টস্নফা সাঈদী সাউথখালী চরে রামরাজত্দ্ব কায়েম করেন। চরে জমি বন্দোবস্টস্ন করে দেওয়ার কথা বলে ভূমিহীন কৃষকদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। ইন্দুরকানী গ্রামের মৃত ময়নুদ্দিন শেখের পুত্র মোবারেক আলীর সাউথখালীর চরের 37 শতাংশ জমি জোর করে দখল করেন। পরে তা 50 হাজার টাকার বিনিময়ে অন্যের কাছে বিত্রিক্র করেন। সাউথখালী গ্রামের আনসার আলী জমাদ্দারের স্ট্পী জাহানারা বেগমকে জোর করে তুলে নিয়ে বিয়ে করেন। চর এলাকায় মোস্টস্নফা সাঈদীর নিয়ন্পণে রয়েছে লাঠিয়াল জোতদার বাহিনী। ভাই এমপি হওয়ার সুবাদে উপজেলা প্রশাসনকে ব্যবহার করে নানা ফায়দা লুটেছেন মোস্টস্নফা সাঈদী।
সাংসদ সাঈদীর ভাতিজা রুমি সাঈদীও এলাকায় নানা অপকর্ম শুরু করলে সাঈদী তাকে ঢাকা নিয়ে যান। 2004 সালে মোস্টস্নফা সাঈদী ও রুমি সাউথখালী এলাকার শাহজাহান খানের জমি দখল করে তার মায়ের নামে মাদ্রাসা করার চেষদ্বা চালান।
গত পাঁচ বছরে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা আঙুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন। নির্যাতন করেছেন বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের।
সহ-মৌলভী থেকে কোটিপতি : জোট সরকারের শরিক দল হওয়ায় এবং দলীয় এমপি থাকায় পিরোজপুর জেলা জামায়াতে ইসলামীর জেনারেল সেত্রেক্রটারি মাওলানা শফিকুল ইসলাম মাত্র পাঁচ বছরের ব্যবধানে কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। জিয়ানগর উপজেলার বাসিন্দা এ শফিক মাওলানা পিরোজপুরের কুমারখালী এলাকায় অবস্টি্থত পিরোজপুর নেছারিয়া মাহমুদিয়া দাখিল মাদ্রাসায় একজন সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। 15 বছর ধরে একই মাদ্রাসায় নামমাত্র চাকরি করে আসছেন। সাংসদ সাঈদীর কল্যাণে তিনি গত কয়েক বছরের মধ্যে জেলা শহরে বাড়ি করেছেন। তৈরি করেছেন নিউ সেবা নার্সিং হোম নামে ক্লিনিক ব্যবসা। নামে-বেনামে করেছেন কোটি কোটি টাকার ঠিকাদারি ব্যবসা। তার ক্ষমতার দাপটে তটস্ট্থ বিভিল্পম্ন সরকারি-বেসরকারি দফতরের কর্মকর্তারা। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত পাঁচ বছরে মাওলানা শফিক অন্যদের নামে ইসু্যকৃত লাইসেন্সের মাধ্যমে এলজিইডি, সড়ক ও জনপথ, থানা পরিষদ, গণপহৃর্ত বিভাগসহ বিভিল্পম্ন দফতরে কোটি কোটি টাকার ঠিকাদারি কাজ করেছেন। এছাড়া কমিশনের ভিত্তিতে কাজ পাইয়ে দিয়েছেন পছন্দমতো ঠিকাদারদের।
জিয়ানগর উপজেলা গঠিত হওয়ার পর এ উপজেলার প্রায় সব উল্পম্নয়নমহৃলক কাজই বেনামে করেছেন শফিক মাওলানা। 40 লাখ টাকা ব্যয়ে জিয়ানগর অডিটরিয়াম নির্মাণ, 8 লাখ টাকা ব্যয়ে পাল্ফঙ্ হাউস নির্মাণ, 20 লাখ টাকা ব্যয়ে উপজেলা পরিষদ চত্দ্বরের রাস্টস্না নির্মাণ, 20 লাখ টাকা ব্যয়ে চেয়ারম্যান কোয়ার্টার নির্মাণ, 15 লাখ ব্যয়ে বৌডুবি-বটতলা রাস্টস্না নির্মাণ, 20 লাখ টাকা ব্যয়ে সাঈদখালী-বালিপাড়া রাস্টস্না নির্মাণসহ এলজিইডি, থানা পরিষদ ও সড়ক বিভাগের বিভিল্পম্ন ঠিকাদারি কাজ করেছেন। এছাড়া কমিশনের ভিত্তিতে তিনি তার লোকজনকে কাজ পাইয়ে দিয়েছেন। জানা গেছে, শাহজালাল এন্টারপ্রাইজ, পিরোজপুর বন বিভাগে চাকরিরত খন্দকার জাকির হোসেনের বেনামি সততা এন্টারপ্রাইজ গালিব ট্রেডার্সের নামে এসব কাজ করিয়েছেন। এলাকায় জনশ্রুতি রয়েছে, শফিক মাওলানা ঢাকায় একটি বাড়ি কিনেছেন।
জামায়াতে ইসলামীর নামে জেলা শহরে জায়গা কিনে ভবন নির্মাণ ও মাইত্রেক্রাবাস কিনেছেন তিনি। অপর একটি সহৃত্র জানায়, গত পাঁচ বছরে মাওলানা শফিক কমপক্ষে 5 কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বিভিল্পম্নভাবে। এ নিয়ে খোদ জামায়াত ইসলামীর নেতাকর্মীদের মধ্যেও ক্ষোভ রয়েছে।
2001 সালের নির্বাচনের পর পিরোজপুরে রায়েরকাঠিতে জামায়াত নেতা সাত্তার শেখের হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন যুবলীগ নেতা গোপাল বসুর পিতা বিনয় বসু। গোপাল বসুকে ডিটেনশন দেওয়া হয়। সাঈদীর বিরুদব্দে প্রতিবেদন লেখার কারণে 2003 সালের 28 ডিসেল্ফ্বর জনকণ্ঠের পিরোজপুর প্রতিনিধি শফিউল হক মিঠুর ওপর হামলা করা হয়েছে। 2001 সালের নির্বাচনের পর জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী ছাত্রশিবিরের ক্যাডার ও সন্পাসী বাহিনীর হামলা-নির্যাতনের শিকার হয়েছেন পিরোজপুর, নাজিরপুর ও জিয়ানগর উপজেলার হিন্দু নাগরিক ও বিরোধীদলের নেতাকর্মীরা। হিন্দুদের ওপর হামলার প্রতিবাদে সে বছর তারা দুর্গাপহৃজা বর্জন করে। নির্বাচনের পর 3 অক্টোবর রাতে নাজিরপুরের সাচিয়া বাজারে আগুন লাগিয়ে হিন্দুদের দোকানপাট পুড়িয়ে দেওয়া এবং লুটপাট চালায় জামায়াত নামধারী ক্যাডার ও জোটের সন্পাসীরা। দীর্ঘা গ্রামের ক্ষিতিশ চন্দ্র ম-ল ও কালীপদ মৃধাকে বেদম মারধর করে তারা। রুহিতলা ও বুনিয়া গ্রামে হিন্দু পরিবারের ওপর হামলা করা হয়। জিয়ানগর উপজেলার ঘোষেরহাট বাজারে হিন্দু ব্যবসায়ীদের দোকানপাট লুট করে সাইদীর নিকটাত্দ্মীয় ও জামায়াতের লোকজন। বাজারে কুকুরের গলায় শেখ মুজিবুর রহমানের ছবি ঝুলিয়ে দেয় তারা। জামায়াত নেতারা পৌর এলাকার ব্রাহ্মণকাঠিতে অমহৃল্য মাসদ্বার, দুলাল সিকদার, আলামকাঠিতে যুবলীগ নেতা দিলীপ মজুমদারকে পিটিয়ে আহত করে। একই এলাকায় শংকর হালদারের বাড়ি লুটপাটের পর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়।
গত 5 বছরে সাংসদ সাঈদী ক্ষমতার অপব্যবহার করে তৈরি করেছেন মাদ্রাসা, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এসব প্রতিষ্ঠানে নিজের লোকদের বসিয়েছেন। পিরোজপুর ইসলামিয়া টেকনিক্যাল বিজনেস কলেজ প্রতিষ্ঠা করে তার অধ্যক্ষ করেছেন জেলা জামায়াতের আমির তোফাজ্জল হোসেন ফরিদকে। ভৈরমপুরে টেকনিক্যাল কলেজ স্ট্থাপন করে তার অধ্যক্ষ করেছেন জামায়াত নেতা ও তার আত্দ্মীয় মাওলানা মোহসিনকে। বিভিল্পম্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে করেছেন দলীয়করণ। নাজিরপুর ঘোষকাঠি কলেজের ভারপ্রাপ্টস্ন অধ্যক্ষ শুসেন হালদারকে বরখাস্টস্ন করে সেখানে নিয়োগ করেছেন তার পছন্দের ব্যক্তিকে। উপরন্তু অধ্যাপক শুসেনকে পুলিশ দিয়ে নির্যাতন করে, মামলা দিয়ে হয়রানি করেছেন। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক নিয়োগ কমিটিতে দলীয় আমিরকে সদস্য করে শিবিরের নেতাকর্মী ও জামায়াতে ইসলামীর নেতাদের ছেলেমেয়েদের চাকরি দিয়েছেন। তার বিরুদব্দে এ ধরনের অভিযোগ রয়েছে।
গত 5 বছরে সাঈদী পিরোজপুর-1 আসনে 400 কোটি টাকার উল্পম্নয়ন করেছেন বলে দাবি করেন। কিন্তু তার এসব উল্পম্নয়ন কর্মকা-কে সাধারণ জনগণ ভুয়া বলে অভিহিত করেন। জিয়ানগর এলাকার গ্রামবাসী জয়নাল আবেদীন জানান, পাঁচ বছরে এলাকায় জামায়াত নেতাদের বাড়িসংলগ্গম্ন কয়েকটি রাস্টস্না ছাড়া আর কোনো উল্পম্নয়ন হয়নি। বরং উপজেলা হওয়ার পর এলাকার লোকজন নানা বিড়ল্ফ্বনার শিকার হচ্ছেন।
পিরোজপুর জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি সরদার ফারুক আহল্ফ্মেদ বলেন, সাঈদী ধর্মের নামে ব্যবসা করছেন। উল্পম্নয়নের নামে গত পাঁচ বছরে পিরোজপুরে ব্যাপক সরকারি অর্থ লুটপাট হয়েছে।
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



