শিরোনাম জানিনা কি দেব?
আমার প্রাণপ্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে সাহিত্য রচনা করতে গেলেও নির্দিষ্ট একটা রাজনীতি কিংবা নির্দিষ্ট কোনো আদর্শিক বলয়ে থাকা লাগে জানা ছিলনা। অথচ আজীবন শুনে এসেতছি সাহিত্য একটি স্বাধীন সৃষ্টি বা শিল্প। সাহিত্য সৃষ্টিতে কল্পনার কোনো লাগাম নাই।
একজন ন্যারেটর বা স্পিকার চাইলেই ক্ষণে দেশের প্রেসিডেন্ট পরক্ষণেই বিরোধী দলের নেতা বা বিদেশী শত্রু হিসেবেও নিজেকে কল্পনা করে সাহিত্য সৃষ্টি করতে পারে।
অবশ্য আমি কু সাহিত্যের সমর্থন করছিনা, যে সাহিত্যের জন্য একদা এই বাংলাদেশে সৈয়দ জামিল নামের এক কুলাঙ্গার বাংলা একাডেমি পুরষ্কার পেয়েছিল। যার কবিতার আকর্ষণীয় পঙ্কতি ছিল "মদ ও মা*র সন্ধানে!! এমনই ভাষার সাহিত্য এদেশে পুরস্কৃত, সমাদৃত হয়।
আমি সে সাহিত্যের কথাও বলছিনা যে সাহিত্য সৃষ্টি করে রাজিব ওরফে থাবা বাবা নতুন প্রজন্মের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা উপাধি পেয়েছিলো! ভাবা যায় যে সাহিত্যে সে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবকে অত্যন্ত ঘৃণ্যভাষায় ও কৌশলে, ন্যাক্কারজনক গালাগালি করেছিলো, নাউজুবিল্লাহ। অথচ সেই রাজিবের রাস্ট্রীয় সম্মানের সাথে দাফন করা হয়েছিল। মজার বিষয় রাজিব ওরফে থাবা বাবা নিজেই তো নিজের দাফন কাফনের প্রয়োজন মনে করতোনা।
তো আমরা সে দেশেরই নাগরিক। সুতরাং এদেশে কবি আল-মাহমুদকে কিভাবে মূল্যায়ন আশা করা যায়?
যে অসুস্থ ও বিকৃত মস্তিস্কের মানুষেরা সদ্য প্রয়াত বরেণ্য কবি আল-মাহমুদের বিরোধিতা করতে গিয়ে চাটাচাটির ঠেলায় সাহিত্যকে অসম্মান করে, আল-মাহমুদের মতো ব্যক্তিকে কটাক্ষ করে তাদের শিক্ষার্জনের কোনো মূল্য আছে বলে আমার মনে হয়না। শিক্ষার্জনের মাধ্যমে যদি কোনো মানুষের বিবেক জাগ্রত হয়না আর হুজুগ নিয়েই পড়ে থাকে ও বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পারেন সেটা শিক্ষা হয় কিভাবে?
অন্ধ মানুষেরাও আজকাল একেবারেই অন্যের উপর নির্ভর করে চলেনা। অথচ কিছু মানুষের দৃষ্টিশক্তি শতভাগ ঠিক থাকার পরেও অন্যের বিশ্বাস, অন্যের আদর্শ চোখবন্ধ করে অনুসরণ করে যায়।
আজ এক উলম্বুস, বুর্বক আমাকে জিজ্ঞেস করলো- আরে তুমি আল-মাহমুদরে নিয়া দেখি কবিতা লেখছো?
তার কথায় মনে হলো কবি তার স্কুল জামানার ফ্রেণ্ড। সে স্কুল পালিয়ে কবির সাথে অনেক আকামকুকাম করছে!!
-আমি আশ্চর্য হওয়ার ভান করে জিজ্ঞেস করলাম- ক্যান ভাই কি হইছে! উনারে নিয়া লিখা নিষেধ নাকি?
-নিষেধ না তবে সে তো রাজাকার ছিলো, জামায়াত শিবিরের সমর্থক।
আমি আরো অবাক হবার ভান করে তোতলাতে তোতলাতে বললাম-
অ.মায়গ..ট, অ..মায়..গট! তাই নাকি! আমি ভাবছি সবগুলা রাজাকাররে ফাঁশিতে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। ইনি কিভাবে বাঁইচা গেলো? একিটু ডিটেইলস বলো শুনি।
-আরে ডিটেইলস তো আমি জানিনা, আমার চাচা বলছ আল-মাহমুদ বেইমান, রাজাকারর।
-তোমার চাচা তাহলে মুক্তযুদ্ধ করছে, এক্সিলেন্ট! তুমি ফ্রিডম ফাইটারের ভাতিজা!
-ধুর কি বলো, আমার বাবারই বিয়ে ৭৬ সালে হইছে আর চাচা প্রায় ৫ বছরের ছোট বাবার চেয়ে।
এই মানুষটারে আমার ক্ষমতা থাকলে পায়ের স্যান্ডেল খোলে মারতাম কিছুক্ষণ তারপর বলতাম, আমার দেশপ্রেম চ্যাগাইয়া উঠছে তাই তোরে মারছি।
তোদের মতো হাতেগোণা বিবেকবুদ্ধিহীন বর্বরদের কারণেই আজ বাংলাদেশের এই অবস্থা। তোরা যদি নাজিল না হতি তাহলে হাসিনা-খালেদা, তারেক-জয় এরা হয়তো হেসেখেলে দেশ চালাইতো একেবারে পারিবারিক পরিবেশে।
তোরা না থাকলে বঙ্গবন্ধু কিংবা জিয়া কারো খুন হয়তো হতোনা!
যাইহোক স্টেটাসটা সেই লোকের চোখে পড়লে আমার জুতো পিটা দেবার শখ মিটে যাবে ধরে নিচ্ছি।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১২