somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মাহফুজ
আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

সাহিত্যিক আল-মাহমুদের প্রতি আমি সাহিত্যপ্রেমীর দৃষ্টিভঙ্গি

১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

শিরোনাম জানিনা কি দেব?

আমার প্রাণপ্রিয় জন্মভূমি বাংলাদেশে সাহিত্য রচনা করতে গেলেও নির্দিষ্ট একটা রাজনীতি কিংবা নির্দিষ্ট কোনো আদর্শিক বলয়ে থাকা লাগে জানা ছিলনা। অথচ আজীবন শুনে এসেতছি সাহিত্য একটি স্বাধীন সৃষ্টি বা শিল্প। সাহিত্য সৃষ্টিতে কল্পনার কোনো লাগাম নাই।

একজন ন্যারেটর বা স্পিকার চাইলেই ক্ষণে দেশের প্রেসিডেন্ট পরক্ষণেই বিরোধী দলের নেতা বা বিদেশী শত্রু হিসেবেও নিজেকে কল্পনা করে সাহিত্য সৃষ্টি করতে পারে।
অবশ্য আমি কু সাহিত্যের সমর্থন করছিনা, যে সাহিত্যের জন্য একদা এই বাংলাদেশে সৈয়দ জামিল নামের এক কুলাঙ্গার বাংলা একাডেমি পুরষ্কার পেয়েছিল। যার কবিতার আকর্ষণীয় পঙ্কতি ছিল "মদ ও মা*র সন্ধানে!! এমনই ভাষার সাহিত্য এদেশে পুরস্কৃত, সমাদৃত হয়।

আমি সে সাহিত্যের কথাও বলছিনা যে সাহিত্য সৃষ্টি করে রাজিব ওরফে থাবা বাবা নতুন প্রজন্মের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা উপাধি পেয়েছিলো! ভাবা যায় যে সাহিত্যে সে বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানবকে অত্যন্ত ঘৃণ্যভাষায় ও কৌশলে, ন্যাক্কারজনক গালাগালি করেছিলো, নাউজুবিল্লাহ। অথচ সেই রাজিবের রাস্ট্রীয় সম্মানের সাথে দাফন করা হয়েছিল। মজার বিষয় রাজিব ওরফে থাবা বাবা নিজেই তো নিজের দাফন কাফনের প্রয়োজন মনে করতোনা।

তো আমরা সে দেশেরই নাগরিক। সুতরাং এদেশে কবি আল-মাহমুদকে কিভাবে মূল্যায়ন আশা করা যায়?

যে অসুস্থ ও বিকৃত মস্তিস্কের মানুষেরা সদ্য প্রয়াত বরেণ্য কবি আল-মাহমুদের বিরোধিতা করতে গিয়ে চাটাচাটির ঠেলায় সাহিত্যকে অসম্মান করে, আল-মাহমুদের মতো ব্যক্তিকে কটাক্ষ করে তাদের শিক্ষার্জনের কোনো মূল্য আছে বলে আমার মনে হয়না। শিক্ষার্জনের মাধ্যমে যদি কোনো মানুষের বিবেক জাগ্রত হয়না আর হুজুগ নিয়েই পড়ে থাকে ও বাস্তবতা উপলব্ধি করতে পারেন সেটা শিক্ষা হয় কিভাবে?

অন্ধ মানুষেরাও আজকাল একেবারেই অন্যের উপর নির্ভর করে চলেনা। অথচ কিছু মানুষের দৃষ্টিশক্তি শতভাগ ঠিক থাকার পরেও অন্যের বিশ্বাস, অন্যের আদর্শ চোখবন্ধ করে অনুসরণ করে যায়।

আজ এক উলম্বুস, বুর্বক আমাকে জিজ্ঞেস করলো- আরে তুমি আল-মাহমুদরে নিয়া দেখি কবিতা লেখছো?

তার কথায় মনে হলো কবি তার স্কুল জামানার ফ্রেণ্ড। সে স্কুল পালিয়ে কবির সাথে অনেক আকামকুকাম করছে!!

-আমি আশ্চর্য হওয়ার ভান করে জিজ্ঞেস করলাম- ক্যান ভাই কি হইছে! উনারে নিয়া লিখা নিষেধ নাকি?

-নিষেধ না তবে সে তো রাজাকার ছিলো, জামায়াত শিবিরের সমর্থক।

আমি আরো অবাক হবার ভান করে তোতলাতে তোতলাতে বললাম-
অ.মায়গ..ট, অ..মায়..গট! তাই নাকি! আমি ভাবছি সবগুলা রাজাকাররে ফাঁশিতে ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। ইনি কিভাবে বাঁইচা গেলো? একিটু ডিটেইলস বলো শুনি।

-আরে ডিটেইলস তো আমি জানিনা, আমার চাচা বলছ আল-মাহমুদ বেইমান, রাজাকারর।

-তোমার চাচা তাহলে মুক্তযুদ্ধ করছে, এক্সিলেন্ট! তুমি ফ্রিডম ফাইটারের ভাতিজা!

-ধুর কি বলো, আমার বাবারই বিয়ে ৭৬ সালে হইছে আর চাচা প্রায় ৫ বছরের ছোট বাবার চেয়ে।

এই মানুষটারে আমার ক্ষমতা থাকলে পায়ের স্যান্ডেল খোলে মারতাম কিছুক্ষণ তারপর বলতাম, আমার দেশপ্রেম চ্যাগাইয়া উঠছে তাই তোরে মারছি।

তোদের মতো হাতেগোণা বিবেকবুদ্ধিহীন বর্বরদের কারণেই আজ বাংলাদেশের এই অবস্থা। তোরা যদি নাজিল না হতি তাহলে হাসিনা-খালেদা, তারেক-জয় এরা হয়তো হেসেখেলে দেশ চালাইতো একেবারে পারিবারিক পরিবেশে।
তোরা না থাকলে বঙ্গবন্ধু কিংবা জিয়া কারো খুন হয়তো হতোনা!

যাইহোক স্টেটাসটা সেই লোকের চোখে পড়লে আমার জুতো পিটা দেবার শখ মিটে যাবে ধরে নিচ্ছি।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ বিকাল ৩:১২
৪টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দাদার দাদা।

লিখেছেন নাহল তরকারি, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৫৫

বৃহস্পতিবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী।

আমার দাদার জন্মসাল আনুমানিক ১৯৫৮ সাল। যদি তার জন্মতারিখ ০১-০১-১৯৫৮ সাল হয় তাহলে আজ তার বয়স... ...বাকিটুকু পড়ুন

জেনে নিন আপনি স্বাভাবিক মানুষ নাকি সাইকো?

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:১৮


আপনার কি কারো ভালো সহ্য হয়না? আপনার পোস্ট কেউ পড়েনা কিন্তু আরিফ আর হুসাইন এর পোস্ট সবাই পড়ে তাই বলে আরিফ ভাইকে হিংসা হয়?কেউ একজন মানুষকে হাসাতে পারে, মানুষ তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×