somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

মাহফুজ
আমি হচ্ছি কানা কলসির মতো। যতোই পানি ঢালা হোক পরিপূর্ণ হয় না। জীবনে যা যা চেয়েছি তার সবই পেয়েছি বললে ভুল হবে না কিন্তু কিছুই ধরে রাখতে পারিনি। পেয়ে হারানোর তীব্র যন্ত্রণা আমাকে প্রতিনিয়ত তাড়া করে।

যেখানে সেখানে মলমূত্র ত্যাগ করেন না কিন্তু গালি দেন কেন?

১৩ ই জুলাই, ২০২১ রাত ৩:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



প্রত্যেকেই নিজস্ব কিছু চিন্তাধারা বা থিওরি মেনে চলে ব্যক্তিজীবনে। আমার একটা বিশেষ থিওরি হচ্ছে যারা প্রকাশ্যে খুব বাজে বা অশালীন ভাষা অকপটে ব্যবহার করতে পারে তারা অনেকটা নির্লজ্জ এবং কেয়ারলেস। শুধু তাই না এরা খুবই কঠিন হৃদয়ের হয় এবং অন্যকে আঘাত বা কষ্ট দিতে দ্বিধা করেনা। কেন এই থিওরি তার ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবো।

প্রথমেই বলি গালাগালি বা অশালীন ভাষা প্রকাশ্যে ব্যবহার করা একটা চরম অসভ্যতা আর এই অসভ্যতা যে নির্দ্বিধায় করতে পারে সে স্বভাবতই কেয়ারলেস হবে। কে কী ভাবছে তা নিয়ে চিন্তা করবে না। যা নির্লজ্জতার পরিচয় দেয়।

মানুষকে দেখে আপনি কখনোই বুঝতে পারবেন না সে কেমন। তার কাপড়চোপড় দেখে আপনি ধারণা করতে পারেন তার আর্থিক অবস্থার কথা যদিও অনেক সময় তাও ভুল হয়। কোটিপতি চলে ফকিরের মতো আর আমার মতো ফকিরেরা চলে কোটিপতির মতো। তাই মানুষকে জানতে হলে তার সাথে কথা বলতে হবে। তার মুখের ভাষা ও ব্যবহারে তার অনেকটাই উঠে আসবে। গালাগালি বা অশালীন ভাষা জানেনা এমন মানুষ কম আছে কিন্তু সেটা ব্যবহার করে কারা?

নোংরামি, ইতরামি, গালাগালি সেটা আপনি অনলাইনে করেন বা অফলাইনে এমনকি বন্ধুদের আড্ডায়, যেখানেই করেন বুঝতে হবে এটা অসভ্যতা৷ এই অসভ্যতা করে যারা অভ্যস্ত তারা কিন্তু এসব স্কুল/কলেজ/ভার্সিটিতে শিখেনা। শিখে তার পরিবার/পরিজন বা পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে। যদি কেউ ছোটবেলা থেকেই আশেপাশের সবাইকে খুব স্বাভাবিকভাবে গালাগালি করতে দেখে তাহলে সেও ভাববে এটা কোনো অসভ্যতা না, দৈনন্দিন জীবনের অংশ। তখন অন্যত্র গালাগালি করতে বা অশালীন ভাষা ব্যবহার করতে তার লজ্জা লাগবে না।

এখন আমি যদি বলি গালি জিনিসটাই আমি জানিনা, অশ্লীল ভাষা কোনোদিন শুনিইনি তাহলে হাস্যকর হয়ে যাবে। বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে গালি জানবোনা এটা তো অতি অস্বাভাবিক। সর্বোচ্চ রেগে গিয়ে কুত্তার বাচ্চা, সুইরের বাচ্চা পর্যন্তই দৌড়ঝাঁপ শেষ আমার। চাইলে অনেক গালাগালি করতে পারি এই অনলাইনে। এমন অনেক পরিস্থিতি আসে এখানে কিন্তু কেন করিনা? লজ্জায় বা লোকে কী বলবে, পরিচিতজনেরা কী ভাববে সেই সংকোচ থেকে। তো এই সংকোচ বা লজ্জাটাই তো সভ্যতা নাকি? যারমধ্যে নূন্যতম এই সভ্যতাটুকু নেই সে কিভাবে সভ্য লোক হয়। অথচ আজকাল অনলাইনে গালাগালি একটা ফ্যাশন বা আধুনিকতা হয়ে গেছে। প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো কথা শুনতে হয়! অনেকে বলে, বাংলা ভাষায় গালাগালি আছে কেন? অর্থাৎ এটা এখন বাংলা ভাষার দায়। বাংলা সাহিত্যে বা ভাষায় তো অনেককিছুই আছে তো সেখান থেকে গালাগালিটাকেই কেন তুলে আনতে হবে? ভাষার জন্য শহিদ হয়েছিলেন যারা তারা কী জানতেন কথায় কথায় সেই ভাষাতে অন্যের মা-বাবা, বোনদের মাদার...., বাইন.... ইত্যাদি বলে গালাগালির চর্চা এত জনপ্রিয় হয়ে যাবে?

সবশেষে তাদের উদ্দেশ্যে একটা কথা যারা ইনিয়েবিনিয়ে গালাগালি ও অশ্লীল ভাষার বৈধতা দানে তৎপর "মলমূত্র সবার শরীরে থাকে সেসব মানুষকে দেখিয়ে বা গায়ে মাখিয়ে বেড়ায় না কেউ, গালিও তেমনি এক জিনিস। যতো গোপন থাকে ততই ভালো।"

(সৈয়দ মাহফুজ আহমেদ)প্রত্যেকেই নিজস্ব কিছু চিন্তাধারা বা থিওরি মেনে চলে ব্যক্তিজীবনে। আমার একটা বিশেষ থিওরি হচ্ছে যারা প্রকাশ্যে খুব বাজে বা অশালীন ভাষা অকপটে ব্যবহার করতে পারে তারা অনেকটা নির্লজ্জ এবং কেয়ারলেস। শুধু তাই না এরা খুবই কঠিন হৃদয়ের হয় এবং অন্যকে আঘাত বা কষ্ট দিতে দ্বিধা করেনা। কেন এই থিওরি তার ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবো।

প্রথমেই বলি গালাগালি বা অশালীন ভাষা প্রকাশ্যে ব্যবহার করা একটা চরম অসভ্যতা আর এই অসভ্যতা যে নির্দ্বিধায় করতে পারে সে স্বভাবতই কেয়ারলেস হবে। কে কী ভাবছে তা নিয়ে চিন্তা করবে না। যা নির্লজ্জতার পরিচয় দেয়।

মানুষকে দেখে আপনি কখনোই বুঝতে পারবেন না সে কেমন। তার কাপড়চোপড় দেখে আপনি ধারণা করতে পারেন তার আর্থিক অবস্থার কথা যদিও অনেক সময় তাও ভুল হয়। কোটিপতি চলে ফকিরের মতো আর আমার মতো ফকিরেরা চলে কোটিপতির মতো। তাই মানুষকে জানতে হলে তার সাথে কথা বলতে হবে। তার মুখের ভাষা ও ব্যবহারে তার অনেকটাই উঠে আসবে। গালাগালি বা অশালীন ভাষা জানেনা এমন মানুষ কম আছে কিন্তু সেটা ব্যবহার করে কারা?

নোংরামি, ইতরামি, গালাগালি সেটা আপনি অনলাইনে করেন বা অফলাইনে এমনকি বন্ধুদের আড্ডায়, যেখানেই করেন বুঝতে হবে এটা অসভ্যতা৷ এই অসভ্যতা করে যারা অভ্যস্ত তারা কিন্তু এসব স্কুল/কলেজ/ভার্সিটিতে শিখেনা। শিখে তার পরিবার/পরিজন বা পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে। যদি কেউ ছোটবেলা থেকেই আশেপাশের সবাইকে খুব স্বাভাবিকভাবে গালাগালি করতে দেখে তাহলে সেও ভাববে এটা কোনো অসভ্যতা না, দৈনন্দিন জীবনের অংশ। তখন অন্যত্র গালাগালি করতে বা অশালীন ভাষা ব্যবহার করতে তার লজ্জা লাগবে না।

এখন আমি যদি বলি গালি জিনিসটাই আমি জানিনা, অশ্লীল ভাষা কোনোদিন শুনিইনি তাহলে হাস্যকর হয়ে যাবে। বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে গালি জানবোনা এটা তো অতি অস্বাভাবিক। সর্বোচ্চ রেগে গিয়ে কুত্তার বাচ্চা, সুইরের বাচ্চা পর্যন্তই দৌড়ঝাঁপ শেষ আমার। চাইলে অনেক গালাগালি করতে পারি এই অনলাইনে। এমন অনেক পরিস্থিতি আসে এখানে কিন্তু কেন করিনা? লজ্জায় বা লোকে কী বলবে, পরিচিতজনেরা কী ভাববে সেই সংকোচ থেকে। তো এই সংকোচ বা লজ্জাটাই তো সভ্যতা নাকি? যারমধ্যে নূন্যতম এই সভ্যতাটুকু নেই সে কিভাবে সভ্য লোক হয়। অথচ আজকাল অনলাইনে গালাগালি একটা ফ্যাশন বা আধুনিকতা হয়ে গেছে। প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো কথা শুনতে হয়! অনেকে বলে, বাংলা ভাষায় গালাগালি আছে কেন? অর্থাৎ এটা এখন বাংলা ভাষার দায়। বাংলা সাহিত্যে বা ভাষায় তো অনেককিছুই আছে তো সেখান থেকে গালাগালিটাকেই কেন তুলে আনতে হবে? ভাষার জন্য শহিদ হয়েছিলেন যারা তারা কী জানতেন কথায় কথায় সেই ভাষাতে অন্যের মা-বাবা, বোনদের মাদার...., বাইন.... ইত্যাদি বলে গালাগালির চর্চা এত জনপ্রিয় হয়ে যাবে?

সবশেষে তাদের উদ্দেশ্যে একটা কথা যারা ইনিয়েবিনিয়ে গালাগালি ও অশ্লীল ভাষার বৈধতা দানে তৎপর "মলমূত্র সবার শরীরে থাকে সেসব মানুষকে দেখিয়ে বা গায়ে মাখিয়ে বেড়ায় না কেউ, গালিও তেমনি এক জিনিস। যতো গোপন থাকে ততই ভালো।"

(সৈয়দ মাহফুজ আহমেদ)

সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:২১
৮টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। মুক্তিযোদ্ধা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১



মুক্তিযুদ্ধের সঠিক তালিকা প্রণয়ন ও ভুয়া মুক্তিযোদ্ধা প্রসঙ্গে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, ‘দেশের প্রতিটি উপজেলা পর্যায়ে মুক্তিযোদ্ধা যাচাই বাছাই কমিটি রয়েছে। তারা স্থানীয়ভাবে যাচাই... ...বাকিটুকু পড়ুন

ভারতীয় রাজাকাররা বাংলাদেশর উৎসব গুলোকে সনাতানাইজেশনের চেষ্টা করছে কেন?

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:৪৯



সম্প্রতি প্রতিবছর ঈদ, ১লা বৈশাখ, স্বাধীনতা দিবস, বিজয় দিবস, শহীদ দিবস এলে জঙ্গি রাজাকাররা হাউকাউ করে কেন? শিরোনামে মোহাম্মদ গোফরানের একটি লেখা চোখে পড়েছে, যে পোস্টে তিনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি করাটা প্রফেসরদেরই ভালো মানায়

লিখেছেন হাসান মাহবুব, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৩


অত্র অঞ্চলে প্রতিটা সিভিতে আপনারা একটা কথা লেখা দেখবেন, যে আবেদনকারী ব্যক্তির বিশেষ গুণ হলো “সততা ও কঠোর পরিশ্রম”। এর মানে তারা বুঝাতে চায় যে তারা টাকা পয়সা চুরি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঘুষের ধর্ম নাই

লিখেছেন প্রামানিক, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:৫৫


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

মুসলমানে শুকর খায় না
হিন্দু খায় না গাই
সবাই মিলেই সুদ, ঘুষ খায়
সেথায় বিভেদ নাই।

হিন্দু বলে জয় শ্র্রীরাম
মুসলিম আল্লাহ রসুল
হারাম খেয়েই ধর্ম করে
অন্যের ধরে ভুল।

পানি বললে জাত থাকে না
ঘুষ... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইরান-ইজরায়েল দ্বৈরথঃ পানি কতোদূর গড়াবে??

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ১৯ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:২৬



সারা বিশ্বের খবরাখবর যারা রাখে, তাদের সবাই মোটামুটি জানে যে গত পহেলা এপ্রিল ইজরায়েল ইরানকে ''এপ্রিল ফুল'' দিবসের উপহার দেয়ার নিমিত্তে সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেট ভবনে বিমান হামলা চালায়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

×