প্রত্যেকেই নিজস্ব কিছু চিন্তাধারা বা থিওরি মেনে চলে ব্যক্তিজীবনে। আমার একটা বিশেষ থিওরি হচ্ছে যারা প্রকাশ্যে খুব বাজে বা অশালীন ভাষা অকপটে ব্যবহার করতে পারে তারা অনেকটা নির্লজ্জ এবং কেয়ারলেস। শুধু তাই না এরা খুবই কঠিন হৃদয়ের হয় এবং অন্যকে আঘাত বা কষ্ট দিতে দ্বিধা করেনা। কেন এই থিওরি তার ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবো।
প্রথমেই বলি গালাগালি বা অশালীন ভাষা প্রকাশ্যে ব্যবহার করা একটা চরম অসভ্যতা আর এই অসভ্যতা যে নির্দ্বিধায় করতে পারে সে স্বভাবতই কেয়ারলেস হবে। কে কী ভাবছে তা নিয়ে চিন্তা করবে না। যা নির্লজ্জতার পরিচয় দেয়।
মানুষকে দেখে আপনি কখনোই বুঝতে পারবেন না সে কেমন। তার কাপড়চোপড় দেখে আপনি ধারণা করতে পারেন তার আর্থিক অবস্থার কথা যদিও অনেক সময় তাও ভুল হয়। কোটিপতি চলে ফকিরের মতো আর আমার মতো ফকিরেরা চলে কোটিপতির মতো। তাই মানুষকে জানতে হলে তার সাথে কথা বলতে হবে। তার মুখের ভাষা ও ব্যবহারে তার অনেকটাই উঠে আসবে। গালাগালি বা অশালীন ভাষা জানেনা এমন মানুষ কম আছে কিন্তু সেটা ব্যবহার করে কারা?
নোংরামি, ইতরামি, গালাগালি সেটা আপনি অনলাইনে করেন বা অফলাইনে এমনকি বন্ধুদের আড্ডায়, যেখানেই করেন বুঝতে হবে এটা অসভ্যতা৷ এই অসভ্যতা করে যারা অভ্যস্ত তারা কিন্তু এসব স্কুল/কলেজ/ভার্সিটিতে শিখেনা। শিখে তার পরিবার/পরিজন বা পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে। যদি কেউ ছোটবেলা থেকেই আশেপাশের সবাইকে খুব স্বাভাবিকভাবে গালাগালি করতে দেখে তাহলে সেও ভাববে এটা কোনো অসভ্যতা না, দৈনন্দিন জীবনের অংশ। তখন অন্যত্র গালাগালি করতে বা অশালীন ভাষা ব্যবহার করতে তার লজ্জা লাগবে না।
এখন আমি যদি বলি গালি জিনিসটাই আমি জানিনা, অশ্লীল ভাষা কোনোদিন শুনিইনি তাহলে হাস্যকর হয়ে যাবে। বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে গালি জানবোনা এটা তো অতি অস্বাভাবিক। সর্বোচ্চ রেগে গিয়ে কুত্তার বাচ্চা, সুইরের বাচ্চা পর্যন্তই দৌড়ঝাঁপ শেষ আমার। চাইলে অনেক গালাগালি করতে পারি এই অনলাইনে। এমন অনেক পরিস্থিতি আসে এখানে কিন্তু কেন করিনা? লজ্জায় বা লোকে কী বলবে, পরিচিতজনেরা কী ভাববে সেই সংকোচ থেকে। তো এই সংকোচ বা লজ্জাটাই তো সভ্যতা নাকি? যারমধ্যে নূন্যতম এই সভ্যতাটুকু নেই সে কিভাবে সভ্য লোক হয়। অথচ আজকাল অনলাইনে গালাগালি একটা ফ্যাশন বা আধুনিকতা হয়ে গেছে। প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো কথা শুনতে হয়! অনেকে বলে, বাংলা ভাষায় গালাগালি আছে কেন? অর্থাৎ এটা এখন বাংলা ভাষার দায়। বাংলা সাহিত্যে বা ভাষায় তো অনেককিছুই আছে তো সেখান থেকে গালাগালিটাকেই কেন তুলে আনতে হবে? ভাষার জন্য শহিদ হয়েছিলেন যারা তারা কী জানতেন কথায় কথায় সেই ভাষাতে অন্যের মা-বাবা, বোনদের মাদার...., বাইন.... ইত্যাদি বলে গালাগালির চর্চা এত জনপ্রিয় হয়ে যাবে?
সবশেষে তাদের উদ্দেশ্যে একটা কথা যারা ইনিয়েবিনিয়ে গালাগালি ও অশ্লীল ভাষার বৈধতা দানে তৎপর "মলমূত্র সবার শরীরে থাকে সেসব মানুষকে দেখিয়ে বা গায়ে মাখিয়ে বেড়ায় না কেউ, গালিও তেমনি এক জিনিস। যতো গোপন থাকে ততই ভালো।"
(সৈয়দ মাহফুজ আহমেদ)প্রত্যেকেই নিজস্ব কিছু চিন্তাধারা বা থিওরি মেনে চলে ব্যক্তিজীবনে। আমার একটা বিশেষ থিওরি হচ্ছে যারা প্রকাশ্যে খুব বাজে বা অশালীন ভাষা অকপটে ব্যবহার করতে পারে তারা অনেকটা নির্লজ্জ এবং কেয়ারলেস। শুধু তাই না এরা খুবই কঠিন হৃদয়ের হয় এবং অন্যকে আঘাত বা কষ্ট দিতে দ্বিধা করেনা। কেন এই থিওরি তার ব্যাখ্যা করার চেষ্টা করবো।
প্রথমেই বলি গালাগালি বা অশালীন ভাষা প্রকাশ্যে ব্যবহার করা একটা চরম অসভ্যতা আর এই অসভ্যতা যে নির্দ্বিধায় করতে পারে সে স্বভাবতই কেয়ারলেস হবে। কে কী ভাবছে তা নিয়ে চিন্তা করবে না। যা নির্লজ্জতার পরিচয় দেয়।
মানুষকে দেখে আপনি কখনোই বুঝতে পারবেন না সে কেমন। তার কাপড়চোপড় দেখে আপনি ধারণা করতে পারেন তার আর্থিক অবস্থার কথা যদিও অনেক সময় তাও ভুল হয়। কোটিপতি চলে ফকিরের মতো আর আমার মতো ফকিরেরা চলে কোটিপতির মতো। তাই মানুষকে জানতে হলে তার সাথে কথা বলতে হবে। তার মুখের ভাষা ও ব্যবহারে তার অনেকটাই উঠে আসবে। গালাগালি বা অশালীন ভাষা জানেনা এমন মানুষ কম আছে কিন্তু সেটা ব্যবহার করে কারা?
নোংরামি, ইতরামি, গালাগালি সেটা আপনি অনলাইনে করেন বা অফলাইনে এমনকি বন্ধুদের আড্ডায়, যেখানেই করেন বুঝতে হবে এটা অসভ্যতা৷ এই অসভ্যতা করে যারা অভ্যস্ত তারা কিন্তু এসব স্কুল/কলেজ/ভার্সিটিতে শিখেনা। শিখে তার পরিবার/পরিজন বা পারিপার্শ্বিক অবস্থা থেকে। যদি কেউ ছোটবেলা থেকেই আশেপাশের সবাইকে খুব স্বাভাবিকভাবে গালাগালি করতে দেখে তাহলে সেও ভাববে এটা কোনো অসভ্যতা না, দৈনন্দিন জীবনের অংশ। তখন অন্যত্র গালাগালি করতে বা অশালীন ভাষা ব্যবহার করতে তার লজ্জা লাগবে না।
এখন আমি যদি বলি গালি জিনিসটাই আমি জানিনা, অশ্লীল ভাষা কোনোদিন শুনিইনি তাহলে হাস্যকর হয়ে যাবে। বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে গালি জানবোনা এটা তো অতি অস্বাভাবিক। সর্বোচ্চ রেগে গিয়ে কুত্তার বাচ্চা, সুইরের বাচ্চা পর্যন্তই দৌড়ঝাঁপ শেষ আমার। চাইলে অনেক গালাগালি করতে পারি এই অনলাইনে। এমন অনেক পরিস্থিতি আসে এখানে কিন্তু কেন করিনা? লজ্জায় বা লোকে কী বলবে, পরিচিতজনেরা কী ভাববে সেই সংকোচ থেকে। তো এই সংকোচ বা লজ্জাটাই তো সভ্যতা নাকি? যারমধ্যে নূন্যতম এই সভ্যতাটুকু নেই সে কিভাবে সভ্য লোক হয়। অথচ আজকাল অনলাইনে গালাগালি একটা ফ্যাশন বা আধুনিকতা হয়ে গেছে। প্রতিবাদ করতে গেলে উল্টো কথা শুনতে হয়! অনেকে বলে, বাংলা ভাষায় গালাগালি আছে কেন? অর্থাৎ এটা এখন বাংলা ভাষার দায়। বাংলা সাহিত্যে বা ভাষায় তো অনেককিছুই আছে তো সেখান থেকে গালাগালিটাকেই কেন তুলে আনতে হবে? ভাষার জন্য শহিদ হয়েছিলেন যারা তারা কী জানতেন কথায় কথায় সেই ভাষাতে অন্যের মা-বাবা, বোনদের মাদার...., বাইন.... ইত্যাদি বলে গালাগালির চর্চা এত জনপ্রিয় হয়ে যাবে?
সবশেষে তাদের উদ্দেশ্যে একটা কথা যারা ইনিয়েবিনিয়ে গালাগালি ও অশ্লীল ভাষার বৈধতা দানে তৎপর "মলমূত্র সবার শরীরে থাকে সেসব মানুষকে দেখিয়ে বা গায়ে মাখিয়ে বেড়ায় না কেউ, গালিও তেমনি এক জিনিস। যতো গোপন থাকে ততই ভালো।"
(সৈয়দ মাহফুজ আহমেদ)
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই জুলাই, ২০২১ দুপুর ১২:২১