রাজনৈতিক পদমর্যাদা বা প্রভাবপ্রতিপত্তি চিরস্থায়ী নয়।
রুদ্র মুহম্মদ শহীদুল্লাহ্ বলেছিলেন "বেশ্যাকে তবু বিশ্বাস করা চলে,
রাজনীতিকের ধমনী শিরায় সুবিধাবাদের পাপ"।
একজন লেখক কতোটা ঘৃণা থেকে কতোটা ক্ষোভ থেকে কথাগুলো বলতে পারেন! লেখকদের অনুভূতি সাধারণ মানুষের চাইতে অনেক বেশী প্রখর হয়। সেই প্রখর অনুভুতি ঠিকই রাজনীতির অন্ধকার কূয়োর গভীরতা মেপে ফেলেছিলো বহুকাল আগেই।
কিছু কিছু রাজনীতিবিদ এমন হয় তাদের নিজেদের গোত্র বা সমমনা মানুষেরাই তাদের প্রচণ্ড ঘৃণা করে কিন্তু প্রকাশ করে না।
****অবশ্য রাজনীতি করতে হলে এমন বমি আটকে রাখার অভ্যাস থাকা লাগে পাশাপাশি নিজেও যে বহু মানুষের বমির কারণ সেটা জেনেও না জানার ভান করে থাকা লাগে।
ইতিহাসে আজীবন মানুষের বুকভরা ঘৃণা আর মুখ ভরা থুথু সহকারে এদের নাম লিপিবদ্ধ থাকবে। বিশ্বের কত বাঘা-বাঘা পলিটিশান ধরাকে সরা জ্ঞান করে আর ক্ষমতা/প্রভাব ইত্যাদিকে চিরস্থায়ী সম্পত্তি ভেবে ভোগ করতে গিয়ে শেষপর্যন্ত চরম সমাপ্তি বা ধ্বংসের মুখে পতিত হয়েছে সেসব কেউ মনেই রাখে না। অবশ্য শুধু অসৎ রাজনীতিবিদদের একার দোষ না, দোষ হচ্ছে #দালাল শ্রেণি ও #তোষামোদকারীদের। এইসব দালালদের সমালোচনা বিহীন প্রশংসার ভারে নেতানেত্রীরা এতটাই ডুবে থাকে যে সাধারণ জ্ঞান বুদ্ধিটুকু হারিয়ে ফেলে। #চাটুকার শ্রেণিরাই কালে কালে একটি সমাজ, রাষ্ট্র দেশ ধ্বংসের পরিকল্পনাকে সফলতা এনে দিয়েছে।
কবির ভাষায় রাজনীতিকের চাইতে বেশ্যা শ্রেয় হলেও রাজনীতি আর পতিতাবৃত্তির মূল চালিকাশক্তি কিন্তু দালাল/চাটুকাররাই। উভয়েই দালালের সান্নিধ্যে বা প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সাহায্যে নিজ নিজ অবস্থান শক্ত করে।
আমি ঢালাও করে সকল রাজনৈতিক ব্যক্তিদের উদ্দেশ্যে এই লেখা লিখিনি। কিছু কিছু নিঃস্বার্থ বা লঘু স্বার্থ ওয়ালা রাজনীতিক থাকতে পারেন তবে তাদের অস্তিত্ব বা অবদান দুর্গন্ধময় রাজনীতিতে কোনো প্রভাব ফেলতে অক্ষম।
(সৈয়দ মাহফুজ আহমেদ)
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১:২৪