আমি যেন কারো কাছে যাব। একা খুব একা হব শুধু।
আমি যেন
জলকুয়াশার বিকেল হলে কারো বোকা বোকা প্রশ্ন ভেজাই!
আমি যেন ভীড় খুব ভীড় পথ হয়ে কারো কাছে যাই। একা খুব একা হতে চেয়ে!
২.
বিকেলের এতটুকু জলে একটা পিচ্ছল মাগুর মাছ খেলা করে।
বিস্মৃতি ও বিস্মৃতি সেসব ভাবতে বলিনাই কারু কে,
সেদিনও সাপদড়ি খেলা এভাবেই ঘর থেকে পথ আর পথ থেকে ঘরে এসে হাঁটু গেড়ে বসেছিলো।
বুকের ভেতর কোনো বিকেল বাস করেনা। তাই মাগুর মাছ গুলো একটানা নৈঃশ্বব্দের কাছে বন্দী।
৩.
জাগতিক বিষন্নতা শেষে কেবলই বাড়ে স্মৃতিকাতরতা, কাঠ গোলাপের ঘুম! ছবির দেশে কবিতার দেশে সারাদিন বৃষ্টি শেষে যেমন বাড়ে অন্ধকার। এখনই চাঁদ উঠবে। সমস্ত কোলাহল এক বগিতে চেপে ছুটে যাবে ট্রেন। দরজায় মুখ নিয়ে দাঁড়াবে ঘুমের শেষে জলপিঁপে তারা।
জাগতিক বিষন্নতা কেবলই নীল রোগা পারিন্দে। শুশ্রুষার পরে সেই বৃষ্টির দিনে যে বলেছিলো
আমাকে এখনি একবার বুকে নাও!
জল বেড়ে গ্যালে বাড়ে ঢেউ। এলোতা মেলোতা ঘুমে সবুজ পাতারা!
৪.
এই ভয়াবহ সৌন্দর্য্যের রাত আমাকেও করছে তুলে পাতাল বিনাশী। ঘোর অবিরাম ঘোরে জোছনা হয়েছে দেখি তালপাতার সিপাই ।
জোছনার মাঠে নাচে ধীর লয় তালে কলাবাঈ! এমনই উদার নিঃসঙ্গতা আমার...
হে সুন্দর আমাকে নিয়ে যাও জোছনার কাছে! আমিও চন্দ্রবিলাসী। অধ্যায় শেষে আমার ও প্রেম হয়ে যায় স্মৃতির সাথে। বিস্মৃতি এসে জ্বালিয়ে দিয়ে যায় ঘর। হে সুন্দর আমার ও অন্তর পুড়ে যায় গোলাপে।
৫.
একজন সকাল এরকম ভোরে নেমে এসেছিলো দোতলা থেকে! একজন ভোর কোলে তুলে তাকে সকাল থেকে ছুঁয়ে ছুঁয়ে গেলো রোদ্রের দিকে। একজন মন... একজন মন ভালবাসাটাকে ফিরিয়ে দিয়ে এখন কেবল ই অরন্যবাস। একজন চোখ এখন কেবলই অরন্য প্রবাসী!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


