কিছুক্ষন আগে এক ব্লগার লিখলেন কোরবানীর অপচয়ের কথা তার ভাষায় এটি উচ্চবিত্তের ভোগবিলাস ছাড়া কিছুই নয়। প্রকৃতপক্ষে শুধুমাত্র উচ্চবিত্ত নয় মধ্যবিত্ত এমনকি নিম্নবিত্তেরও অংশগ্রহন আছে এই ধর্মকর্মে। আমি একজন স্বল্প আয়ের মানুষ তারপরও কোরবানী দিলাম মহান আল্লাহ তাআলার সন্তুষ্টির জন্য। আর যেহেতু এটি বিস্বাসের ব্যাপার তাই লাভ ক্ষতির হিসাব করাটা বোকামী। কোরবানীর মাংসের এক তৃতীয়াংশ গরীব মিসকীনদের ভাগে পরে। আজকে রেডিওতে শুনলাম যারা সারা বছর গরুর মাংস খেতে পারেনা ঢাকার পার্শবর্তী জেলার সেইসব গরীব মানুষগুলো ঈদের দিন ঢাকায় পারি জমায় ঈদের মাংসের জন্য। এইবার ঈদের কোরবানী কম হওয়াতে চামড়া শিল্পের সংকটের কথাও শুনতে পেলাম।
আমাদের দেশের সিংহভাগ সম্পদ মাত্র ৫-১০% ধনীলোকের কুক্ষিগত, তাদের অপচয়ের লিস্টি কতটুকু লম্বা তা সবাই জানেন। ব্যাংকক আর হংককে ওনাদের অভিসারের কথাও আমাদের অজানা নয়।
যুক্তরাষ্টের কিছু ব্লগারও আক্ষেপ করলেন এটি গরু উতসব বলে। পরিংসখানে দেখা যায় একজন আমেরিকান বছরে ৪৪ কেজি গরু প্রায় সমপরিমান পর্ক, চিকেন খেয়ে থাকেন। আর একজন বাংগালী সারা বছর খায় বেশি হলে এক কি দুই কেজি। তারপর ওনারা বাংগালী মুসলমানদের গরু নিধনে দু:খ পান।
বলতে আর দ্বিধা নেই যে কিছু ব্লগার আছেন যাদের সব ক্ষোভ মুসলমান আর ইসলাম নিয়ে। তাই ইসলামের সবকিছুতেই তাদের ওজর আপত্তি শেষ পর্যন্ত থেকেই যায়।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


