অনেক অনেক স্বপ্ন ছিল, এই সব ঘিরে থাকা দিন গুলিকে নিয়ে। "
হ্যা এমনই কথা ছিলো আর তাইতো আছি! শুধু একটা বছরের সেই শর্তটাকেই বুকে নিয়ে এই পথচলা। এত প্রতিকুলতা এত প্রতিবন্ধকতা, এত অভিমান!! তবুও তারপরও........ তারপরও হারিয়ে যেতে পারলাম না। হয়তোবা এ এক ছেলেমানুষি প্রতিফলন। জানি আমাদের সে অমোঘ নিয়তি, কন্টকবহুল পথ ।কখনও যে পথে পাশাপাশি হাত ধরে হেঁটে যাওয়া হবেনা আমাদের।তবুও একটি বছরের সব কটি স্মরণীয় দিন গুলোকে অবিস্মরণীয় করে রেখে যেতে চেয়েছিলাম আমরা। চেয়েছিলাম বুকের কুঠুরীতে লুকানো থাকুক একটি বছরের ভালোবাসার সবকটি বিশেষ দিন গুলোর বিশেষ স্মৃতি। যদিও কষ্ট আর দুঃখ ও কম জমলোনা এই একটি বছরে।এত কষ্ট দিলাম আমি তোমাকে!!!!!!!!!!!!!!!! আমি নিশ্চিৎ জানি, এত কষ্ট আর কখনও কাউকে দেওয়া হবেনা আমার!!!আসলে আমার দেওয়া কষ্টগুলোর এত মূল্য আর কে দেবে বলো ?? তুমি ছাড়া বাবুসোনা???
স্মৃতিগুলো এলোমেলো করে দিয়ে কোথায় যাবো আমি জানতে চেয়েছিলে?? সে প্রশ্নের উত্তরও আমারও জানা নেই প্রতিফলন।শুধু জানি কোথাও যেতে হবে। অজানার উদ্দেশ্যেই হবে আমার সে প্রস্থান।
বসন্তদিন-২৫ এ লিখেছো তুমি
"তোমার মনে আছে? সেই পহেলা বৈশাখের কথা? সে রাতটা ছিল বিভ্রান্তি মাখা, অনেক হতাশা, অনেক যন্ত্রণা নিয়ে। আজকে অন্য একটা সময়, অন্য একটা রাত; নিস্তব্ধতা কেটে সময়ের কাটা বয়ে চলছে; ১২ ঘন্টা, ২৪ ঘন্টা, ৩৬ ঘন্টা.............আর কিছু পরে ৪৮ ঘন্টা।
আমি প্রতীক্ষায় আছি।"
মনে আছে প্রতিফলন!! সেদিনটাতে অব্যক্ত ব্যাথা বুকে চেপেই চলে যেতে চেয়েছিলাম তোমার থেকে চিরদিনের জন্য। ঠিক তোমার মনের মত কোনো রুপকথার রাজকন্যা হয়েই চিরঅম্লান হয়ে থেকে যেতে চেয়েছিলাম তোমার স্মৃতিতে মিথ্যেগুলো নিয়ে আমার।চেয়েছিলাম তুমি ঠিক যতটুকু জেনেছো আমাকে, এই ক্ষনিকের ভালোলাগায় তা চিরঅটুট থাকুক। নাইবা জানলে আমার সে গোপন সত্যটা। আসলে আমি তো তখনও তোমাকে বলিনি আমার আসল প্রতিবন্ধকতার কথা। জাত পাত ধর্ম নিবিশেষে গোপন রেখেছিলাম আমি। ভয় হচ্ছিলো খুব জানো!!! ভাবছিলাম, আমার সব জানার পরে তুমি যদি খুব কষ্ট পাও, আমাকে আর ভালো না লাগে তোমার? কি এক অজানা ভয়!! আমি এক রকম নিশ্চিৎ ধরেই নিয়েছিলাম ঠিক ঐ স্প্লাস মুভি এর মারমেইডটার মত। যার সত্যি পরিচয় জেনে যাবার পরে ছেলেটা আর বুঝি তাকে ভালোবাসতে পারবেনা, এটাই ছিলো তার বদ্ধমূল ধারণা। ভেবেছিলো কোনো মৎসমানবী হয়ে জন্ম নেওয়াটা আর কোনো মানব সন্তানকে ভালোবাসা, সে যে এক বিরাট অন্যায়!
আর এইতো দুদিন আগেও হঠাৎ উধাও হয়েছিলাম । আর অমনি তুমি কি সব উল্টো পাল্টা একগাঁদা ভেবে(যদিও কেউ বুঝেনি, অবশ্য কেউ পড়েও নি বসন্তদিন-২৫ আমাদের দুইমাত্র পাঠক ছাড়া) লিখে ফেললে বসন্তদিন-২৫। হাহাহাহাহাহাহাহা আমি কিন্তু মোটেই রাগ করে বা তোমাকে কষ্ট দিতে উধাও হইনি বাবুসোনা।আমার নেট কেবল এর তার ছিড়ে গিয়েছিলো। দু'দুটোদিন পরে তা ঠিক হলো। আমি তোমাকে ফোন করে জানাতে পারতাম। কিন্তু আগের রাতের ঝগড়াটাকে কাজে লাগালাম। ভাবলাম অনলাইনে আসাই হবেনা যখন, তখন এই রাগটাকে এই সুযোগে কাজে লাগি্য়ে দেইনা কেনো। হিহিহিহিহিহি বাবুসোনা। জানো একটা জিনিস খুব খেয়াল করেছি, তোমাকে কষ্ট দিতেও কেন যেন আমার খুব ভালো লাগে। কষ্ট দিয়ে তার মাঝেও আমি অনেক অনেক ভালোবাসায় ডুবিয়ে রাখি তোমাকে বাবুসোনা !!!!!!!!!!!!!!!!!
এই দুটো দিনের মধ্যে তুমি একটা কবিতা লিখেছো। আমার বসন্তদিন-২৪ এর একটি বিশেষ ঘটনা নিয়ে। কবিতাটা পড়ে হাপুস নয়নে কাঁদলাম আমি । বিশেষ করে শেষ অংশটাতে , যেখানে একটি প্রশ্ন ছিলো।
কতকিছু যে মনে পড়ে গেলো। বসে বসে একটি কবিতা-জবাবও লিখলাম
তারপর। কবিতাটা নিচেই পেস্ট করে দিলাম।
কাঁটাতারের নিষেধবেড়া-
নিষিদ্ধজাল, নিষেধবিধি তুচ্ছ; এ মন বেপরোয়া,
হ্যামিলনের বিষেরবাঁশির
সূরের টানে মগ্ন হৃদয় ঘোর লাগানো দিশাহারা!!
কাঁটতো সময়
সন্ধ্যা সকাল দুপুর বিকেল রাত্রীজাগা ভোরের বেলা,
বিভোর হদয়
ঘোর লাগা সব মায়ার খেলা ভালোবাসার হেলাফেলা!!
ছিটকে গেলাম
হঠাৎ আসা মহাপ্লাবণ প্রলয় ঝড়ের ডংকা বাজে।
খুঁজতে কুঁটো হাত বাড়ালাম
বন্ধনিশ্বাস, স্তব্ধ বাতাস, অকূলপাথার, অতলজলে শংকা জাগে!!
অভিমানের কষ্ট সুতোয়
চাদর বুনে নীল জোছনায় জড়িয়ে নিলাম শরীর জুড়ে,
ওষ্ঠে ছোয়াই মৃত্যু সুধা
সোহাগ ভরে যতন করে আলিংগনে নিনাদ সূরে।
আবার ফেরা,
বীন বাজালী সূর জাগালী আনলি আবার আমায় টেনে
না ফেরা সে ওপার হতে
ভালোবাসার অমোঘ টানে বেতসপ্রানে অস্তপারের মরণ জিনে!!
হারিয়ে যাবার সেই প্রহরে
ভেবেছিলাম শুধুই তোকে, তুই ছিলি এ মনটি জুড়ে
তবুও অভিমানের নদীর মেঘে ভেসে, চেয়েছিলাম যেতে দূরে
অনেক দূরে, নাফেরা সেই দূরের-দেশে!!
কবিতাটিতে যে প্রশ্ন করেছিলে তার উত্তর কবিতার লাস্ট প্যারায় দিলাম প্রতিফলন।
প্রতিফলনের কবিতাটি
Click This Link
বসন্তদিন-২৫
Click This Link
চলবে......
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই আগস্ট, ২০১৪ সকাল ৮:২৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



