হাত বাড়িয়ে ডাকছি তোকে................
হাত বাড়িয়ে ডাকছি তোকে, বাঁধন ভেঙ্গে আয়;
খেলায় হেলায় সন্ধ্যা ঘনায়- বসন্তদিন যায়।
অভিমানের দেয়াল তুলে যখন থাকিস সরে;
অবহেলার ধুসর ধুলা খোলা খামের 'পরে।
থমকে থাকে দৃষ্টি নিমেষ, দুর কোন এক ছায়ায়;
অপেক্ষারই প্রহর কাটে, অবুঝ কোন মায়ায়।
অনেক চাওয়া- অল্প পাওয়া, অনেকটুকুই সুখ;
আমার আপন আঁধার যে তুই; আমার আপন দুখ।
বাঁধ ঘেরা কোন অভিমানে, নিজেই থাকিস বন্দী;
ভালবাসার নেশা সে হায়- মহুয়া মাতাল গন্ধী!
পেছন ফিরে বছরটাকে আবার দেখিস যদি;
বুঝবি যে তুই, ছিলি আমার -ভালবাসার নদী।
শেষ সীমানায় দুহাত বাড়াই - বুকে উছল ঢেউ
মন জানে তুই আছিস কোথায়, দৃষ্টিতে নেই কেউ!
কবিতাটা লিখেছিলো প্রতিফলন। সেই কবে কোন কালে, ২৬ শে জানুয়ারি, ২০০৯ বিকাল ৪:২৬ টায়। তারপর কেটে গেলো কতগুলো দিন, মাস, বছর। প্রতিফলন আর আমার যৌথ সিরিজ "বসন্তদিন" আমরা লিখেছিলাম এক্সপেরিমেন্টাল রচনা হিসাবে। কিষান কিষানী ভাইয়া আপুদের প্রেম কাহানী সিরিজ পড়ে পড়ে উৎসাহিত হয়ে। এই বসন্তদিন লেখার পিছনে ছিলো আমাদের সে এক বিরাট পরিকল্পনা। হা হা ভাবলে হাসি পায় সম্পূর্ণ গবেষনামূলক কার্য্যক্রম চালিয়েছিলাম আমরা। এক বসন্তে শুরু করেছিলাম যেই লেখা তাহা আরেক বসন্তে শেষ হবে এমনই ইচ্ছা নিয়ে। সেই লেখা অনেকের মাঝেই যেমন জনপ্রিয়তা পেয়েছিলো, তেমনই অনেকের রাগের আর বিরক্তির কারণও ছিলো। সে যে যা বলে বলুক লোকে, সন্দেহ ভরা চোখে। আমরা সেই লেখাগুলো লিখতে গিয়ে এক দারুন আনন্দময় রাগ-দুঃখ আনন্দ-বেদনা ভাব-অভিমানের সময় কাটিয়েছিলাম।
আর এই দুই নিক দিয়ে লেখা ছন্দে ছন্দে দুলি আনন্দে কবিতাগুলিও আমাদের আরেক এক্সপেরিমেন্ট ছিলো। আমি লিখেছিলাম তাই প্রতিফলন কম্পিটিশন দিয়ে তার উত্তর লিখলো। তারপর আমিও আরেক উত্তর। এমন করে করে উত্তরে উত্তরে কবিতা লিখতে গিয়ে কিছু একটা কিছুমিছু লেখা হয়েছিলো যা কিছু মিছু মানুষের হৃদয়ে বিরাট বড় দোলা জাগিয়েছিলো। আর এই কথা সত্যি আমাকে দেখে দেখে কাব্য রচনা শিখলেও পড়তিফলন ছিলো আমার চাইতে আরও অনেক বেশি ভালো কবি। তার কাব্যের গভীরতা অনেক বেশি ছিলো। সে সময়টাতে সে একবার গান লেখারও টেরাই করেছিলো। কিন্তু আমি গন্ডগোল লাগিয় দিয়ে অনেকদিন হারিয়ে যাওয়ায় সেই গান আর লেখা হয়নি।
যাইহোক এই দুদিন আগে হঠাৎ প্রতিফলন আমাকে একটা গান পাঠালো। গান শুনে তো আমি অবাক! এবং আবারও মুগ্ধ!!! এত্তগুলো দিন পরে এআই এর কল্যানে সম্পূর্ণ অবিকৃতভাবে তার লেখা গানটাই গান হয়ে গেছে!!!
মনে পড়ে গেলো কত কথা, কত গান, অভিমান আর ভালোবাসা মুগ্ধতার কথাগুলি.... তখন আমি ছিলাম কারণে অকারণে রাগ দুঃখ আর পাগলামীতে ভেসে যাওয়া এক ইনোসেন্ট বালিকা। জানিনা আমি ইনোসেন্ট শুনে কেউ কেউ চোখ কপালে তুললো কিনা। বিশেষ করে যেই ভাইয়া বলেছিলো তিনি নাকি আমার হে হে ভাইয়ামনি ভিকটিম!!! হা হা হা জীবনেও ভুলবো না তাহার এই কথা!!! অনেক হেসেছি সেদিন আমি।
চলে গেছে বসন্ত।একে একে চলে গেছে কত শত শীত গ্রীস্ম, বর্ষা, শরৎ ও হেমন্ত! হেলায় হেলায় কেটেছে সন্ধ্যা রাত্রী দিন। অন্তঃপূরবাসিনী দূয়ার খোলেনি। বাঁধন কাটেনি। আষ্ঠেপৃষ্ঠে বাঁধা পড়ে গেছে অদৃশ্য কোনো সোনার শেকলে। অভিমানের নিশ্ছিদ্র দেয়াল ফুড়ে পৌছেনি সেই ধুলোপড়া খামের চিঠি। অপেক্ষার অতন্দ্র প্রহরী! অনেক চাওয়ায় অল্প খানিক প্রাপ্তি নিয়ে কেটে গেছে দিন......
বাঁধ ঘেরা কোন অভিমানে, নিজেই থাকিস বন্দী;
ভালবাসার নেশা সে হায়- মহুয়া মাতাল গন্ধী!
পেছন ফিরে বছরটাকে আবার দেখিস যদি;
বুঝবি যে তুই, ছিলি আমার -ভালবাসার নদী।
শেষ সীমানায় দুহাত বাড়াই - বুকে উছল ঢেউ
মন জানে তুই আছিস কোথায়, দৃষ্টিতে নেই কেউ!
কোথাও কেউ নেই!!!
সত্যিই কি নেই!!!
প্রতিফলনের গান
আহা কি অপূর্বই না হয়েছে!! প্রতিফলন তুমি আসলেই সেরা!!!
হাত বাড়িয়ে ডাকছি তোকে................ সেই গান বা কবিতাটার লিংক!!!