somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ম্যাডাম জিয়া, আপনার সোনার ছেলেদের থামান...................

০৭ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আমরা শক্তি, আমরা ছল, আমরা ছাত্রদল;
পড়ার সময় বোম বানায় আর পকেটে রাখি পিস্তল.......................
আবারো সেই কথার যথার্থতা প্রমাণ করল ছাত্রদল।


সিলেটে গতকাল বৃহস্পতিবার বিএনপির সাইফুর অনুসারীদের সঙ্গে ইলিয়াস গ্রুপের নেতা-কর্মীদের ব্যাপক সংঘর্ষ হয়েছে। সাইফুরপন্থী আরিফ-শাহরিয়ার-শামীম গ্রুপের সমাবেশকে কেন্দ্র করে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ইলিয়াসপন্থীরা মঞ্চে হামলা চালিয়ে সমাবেশ পণ্ড করে দিয়েছে।
দুই পক্ষের সংঘর্ষে গতকাল নগরীর বন্দরবাজার ও জিন্দাবাজার এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। এ সময় দুই রাউন্ড গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন। ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে উভয় পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ ১৪ জনকে আটক করেছে।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, জেলা ও মহানগর বিএনপির সাইফুর গ্রুপ ও ইলিয়াস গ্রুপের মধ্যে প্রায় আধঘণ্টাব্যাপী এ সংঘর্ষ হয়। তবে আহত ও গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ইলিয়াসপন্থীদের সংখ্যা বেশি।
আহতদের মধ্যে রয়েছেন মহানগর বিএনপি নেতা রেজাউল হাসান কয়েস লোদী, দুলাল, নির্ঝর, জসিম, রুবেল, আলী আমজাদ, জাহাঙ্গীর। কয়েস লোদী ছাড়া বাকি সবাই ইলিয়াসপন্থী ছাত্রদলের নেতা-কর্মী। জেলা ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হাসান আহমদ পাটওয়ারী রিপন জানান, আহতরা সবাই জিন্দাবাজারের একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা নিয়েছেন।
কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সহসভাপতি সিদ্দিকুর রহমান পাপলু জানান, তাঁদের পক্ষের কেউ আহত হননি। কয়েস লোদী মারামারি থামাতে গিয়ে ইটপাটকেলের আঘাতে একটু আহত হয়েছেন।
ইলিয়াস গ্রুপের অনুসারীরা মঞ্চ ভেঙে ফেলার পর সাইফুরের অনুসারীরা কোর্ট পয়েন্ট এলাকায় একটি সংক্ষিপ্ত সভা করে। মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক ডা. শাহরিয়ারের সভাপতিত্বে কেন্দ্রীয় সদস্য আরিফুল হক চৌধুরী, আবুল কাহের শামীম, হাবিবুর রহমান হাবিব এতে বক্তব্য দেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আরিফ-শাহরিয়ার-শামীম গ্রুপের লোকজন গতকাল বেলা পৌনে ৩টার দিকে আম্বরখানা থেকে মিছিল নিয়ে জনসভাস্থলে যাচ্ছিল। জিন্দাবাজার পয়েন্টে ইলিয়াসপন্থীরা মিছিলে হামলা চালায়। মিছিলকারীরাও পাল্টা হামলা চালায়। উভয় পক্ষ দেশি অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। প্রায় আধঘণ্টা সংঘর্ষ চলে। এ সময় ছাত্রদল ক্যাডাররা ফটোসাংবাদিকদের ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে ভাঙচুর করে।
আটক নেতা-কর্মীরা হলেন শাহনেওয়াজ বখত তারেক, সবুজ আহমদ, ইকবাল আহমদ মাসুম, ফখরুল ইসলাম, জাহেদ আহমদ, সুহেল আহমদ, নূরুল আমিন, আরিফুল হক মনসুর, রনি চৌধুরী, এনামুল কবির চৌধুরী, বাচ্চু মিয়া, সৈয়দ খিজির হোসেন, আশরাফুর রহমান, তোফায়েল আহমদ। কোতোয়ালি থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সৈয়দ আনিসুর রহমান জানান, আটক ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ছাত্রদলের কয়েকজন নেতা জানান, ১১ দফা দাবিতে গতকালের সমাবেশ ডাকা হয়েছিল। এ জনসভাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার থেকে ইলিয়াস ও সাইফুর গ্রুপের মধ্যে চরম উত্তেজনা দেখা দেয়। বুধবার দুপুরে মারধরের ঘটনাও ঘটে। রাতে উপশহরের উভয় গ্রুপে কয়েক রাউন্ড গোলাগুলি হয় বলেও তাঁরা জানান। গতকাল জনসভা পণ্ড করতে ছাত্রদল ইলিয়াস গ্রুপের কর্মীরা নগরীর টিলাগড় ও উপশহরের নতুন ব্রিজের মুখে অবস্থান নেয়। তারা নেতা-কর্মীদের জনসভায় যেতে বাধা দেয়। একইভাবে তারা মিরবক্সটুলা গ্রুপ তাঁতিপাড়া, কাজি ইলিয়াস এলাকা, জিন্দাবাজার ও পুরান লেনেও অবস্থান নেয়।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ছাত্রদল আরিফ-শাহরিয়ার-শামীমপন্থীরা সকাল থেকে কোর্ট পয়েন্ট ও আম্বরখানায় বিএনপি অফিসে জমায়েত হতে থাকে। বিকেল ৩টার দিকে আম্বরখানা থেকে আরিফুল হক চৌধুরী, ডা. শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী, আবুল কাহের শামীমের নেতৃত্বে লাঠিসোঁটা, লোহার পাইপ নিয়ে একটি বিশাল মিছিল নিয়ে কোর্ট পয়েন্টের উদ্দেশে বের হয়। মিছিলটি চৌহাট্টা পয়েন্ট পার হয়ে কাজি ইলিয়াস আসার সঙ্গে সঙ্গে আগে থেকে অবস্থানরত ইলিয়াসপন্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। প্রথম বাধা ডিঙিয়ে মিছিলটি আগাতে থাকে। জিন্দাবাজার পয়েন্টের আগে তাঁতিপাড়া গলির মুখে দ্বিতীয়বার মিছিলটি বাধার সম্মুখীন হয়। জিন্দাবাজার পয়েন্ট যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইলিয়াস গ্রুপ হামলা চালায়।
এ অস্ত্রের ঝনঝনানী আর কত দেখাবেন ম্যাডাম জিয়া?????? এবার আপনার সোনার ছেলেদের থামান...................

সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৩৪
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিজয়ের আগে রাজাকারের গুলিতে নিহত আফজাল

লিখেছেন প্রামানিক, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:১৩


ঘটনা স্থল গাইবান্ধা জেলার ফুলছড়ি থানার উড়িয়া ইউনিয়নের গুণভরি ওয়াপদা বাঁধ।

১৯৭১সালের ১৬ই ডিসেম্বরের কয়েক দিন আগের ঘটনা। আফজাল নামের ভদ্রলোক এসেছিলেন শ্বশুর বাড়ি বেড়াতে। আমাদের পাশের গ্রামেই তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

৫৫ বছর আগে কি ঘটেছে, উহা কি ইডিয়টদের মনে থাকে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৬ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৮




ব্লগের অনেক প্রশ্নফাঁস ( Gen-F ) ১ দিন আগে পড়া নিউটনের ২য় সুত্রের প্রমাণ মনে করতে পারে না বলেই ফাঁসকরা প্রশ্নপত্র কিনে, বইয়ের পাতা কেটে পরীক্ষার হলে নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নিজামী, মুজাহিদ, বেগম জিয়াও বিজয় দিবস পালন করেছিলো!!

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৭:২০



মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে বেগম জিয়ার মুরগী মগজে এই যুদ্ধ সম্পর্কে কোন ধারণা ছিলো না; বেগম জিয়া বিশ্বাস করতো না যে, বাংগালীরা পাকীদের মতো শক্তিশালী সেনাবাহিনীকে পরাজিত করতে পারে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

১৯৭১ সালে পাক ভারত যুদ্ধে ভারত বিজয়ী!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯


দীর্ঘ ২৫ বছরের নানা লাঞ্ছনা গঞ্জনা বঞ্চনা সহ্য করে যখন পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বীর বাঙালী অস্ত্র হাতে তুলে নিয়ে বীরবিক্রমে যুদ্ধ করে দেশ প্রায় স্বাধীন করে ফেলবে এমন সময় বাংলাদেশী ভারতীয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা গান্ধীর চোখে মুক্তিযুদ্ধ ও বাংলাদেশ-ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক: ওরিয়ানা ফলাচির সাক্ষাৎকার থেকে

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৭ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:৫৫


১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ইতালীয় সাংবাদিক ওরিয়ানা ফলাচি ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর সাক্ষাৎকার নেন। এই সাক্ষাৎকারে মুক্তিযুদ্ধ, শরনার্থী সমস্যা, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক, আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদী পররাষ্ট্রনীতি এবং পাকিস্তানে তাদের সামরিক... ...বাকিটুকু পড়ুন

×