somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মিক্স প্যাকেজ - অণুগল্প , চোঙ্গা গল্প , অনুপদ্য , কবিতা , আউলা মনের বাউলা কথন

১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

অণুগল্প

মরুভূমিতে ঘুরছে পরিবার সহ এক যুবক ,কোন কাফেলা বা মরূদ্যানের দিশে না পাওয়ায় চিন্তিত। এরি মাঝে উট , বউ , তার কোলে থাকা ছোট
বাচ্চাটা এবং সে নিজে খুবই দুর্বল হয়ে পড়েছে । খাবার আছে অল্প , পানিও এক মশক । উট টি ভালই চলছিল , হ ঠাৎ বসে পড়ল। যুবকের ডাকহাকেও নড়ল না । এবার সে উটের পিঠ থেকে নামল । তার
চোখ বরাবর তাকাল । তাতে পানির মিনতি। যুবক তখন মশকের অর্ধেক পানি উটটিকে খাইয়ে দিল । উটটি আবার চলতে শুরু করল ।

২ দিন পর ।
খাবার শেষ ।কিছুর দেখা নেই - না কাফেলা না মরূদ্যান। পানি আছে
খুবই অল্প , সেদিনের অর্ধেক পানির চার ভাগের এক ভাগ । মন্থর গতিতে
চলছে ওরা ।দুপুরের দিকে পানির জন্য বাচ্চা টা কেঁদে উঠল । বউ তখন
স্বামীর চোখের দিকে তাকাল । যুবক নীরবে সায় দিল । পানি
খাওয়াতে যাবে ঠিক সেই মুহূর্তে এক মর্মভেদী চিৎকার করে উটটি বসে গেল ।
পানি চায় । যুবক তার বউয়ের হাত থেকে পানির মশক ছিনিয়ে নিল। তারপর উপুড় করে ঢালতে লাগল উটের মুখে , যতক্ষণ না জমে থাকা শেষ ফোটাটিও শেষ হল ।


চৌধুরী জহুরুল হকের ৩ টি চোঙ্গাগল্প - কাবুলিওয়ালা , পরীক্ষা , পেয়ারা

* কাবুলিওয়ালা *

শুরু

আমার ছোট মেয়ের নাম মিনি। মিনি ভীষণ দুরন্ত। দু-দন্ড এক জায়গায় স্থির থাকতে পারে না। তার মা ধমকে কোনো কোনো সময় চুপ করে বসিয়ে রাখেন, কিন্তু আমি তা পারি না। আমার ভালো লাগে না।

সকালে ঘুম থেকে উঠে মিনি বেরিয়ে যায়, তারপর এ ঘর থেকে ও ঘর- এখান থেকে সেখান- এমনি করে সময় কাটায় আর একের ফাঁকে এক একটা মজার খবর দিয়ে যায়।
আমি একটা গল্প লিখছিলাম। এমন সময় মিনির চিৎকার কানে এলো: কাবুলিওয়ালা, কাবুলিওয়ালা।

মধ্যের কথা

গল্পের নাম কাবুলিওয়ালা। উত্তম পুরুষে বলা- আর ‘মিনি’ ও আছে। ব্যাপারটা কী? দিনে-দুপুরে পুকুর চুরি? সাহস তো কম নয়? কিন্তু- কিন্তু সে কাবুলিওয়ালার লেখক ছিলেন রবীন্দ্রনাথ আর এ কাবুলিওয়ালার লেখক চৌধুরী জহুরুল হক।

ইতি

হাঁ, কী বলছিলাম।
মিনির চিৎকার কানে এলো: কাবুলিওয়ালা, কাবুলিওয়ালা।
বুকটা ধড়াস করে উঠলো। কাগজ-কলম ফেলে লাফের পর লাফ দিয়ে বাবুর্চিখানায় গিয়ে ঢুকলাম। এক হাজার টাকা।

আপনারা তো জানেন না, কাবুলিওয়ালা মিনির কাছে আসে নি- মিনির বাপের কাছে এসেছে।



* পরীক্ষা *

প্রেমিকা প্রেমিককে প্রশ্ন করলো: আচ্ছা তুমি কি আমায় সত্যি ভালোবাস? আমার কিন্তু বিশ্বেস হয় না।
প্রেমিক বললো : ঠিক আছে তাহলে পরীক্ষা করো।
: যদি বলি দোতলার ছাদ থেকে লাফ দিতে, পারবে?
: পারবো না। কারণ তাহলে আমি পাশ করবো কিন্তু ফল ভোগ করতে পারবো না।
: খুব ভালো কথা। ধরো প্রাইজবন্ডে বিশ হাজার টাকা পেলে তুমি, আমি দশ হাজার চেয়ে বসলাম। দেবে?
: দেবো।
: কিংবা ধরো, তোমার চাকরি হয়ে গেল। প্রথম পাওয়া মাইনে থেকে অর্ধেক আমি চেয়ে বসলাম। হাসি মুখে দিতে পারবে?
: অবশ্যই।
প্রেমিকা বললো: ধরো কোন সময় তোমার পাঞ্জাবির পকেটে মাত্র পাঁচশ টাকা আছে, তা থেকে তিনশ’ টাকা চাইলাম আমি। দিতে পারবে?
জরুরি টাকাটায় নায়িকার চোখ পড়েছে দেখে নায়ক এবার বিব্রতবোধ করলো। মুর্হুতেই সামলে নিল সে: কেন পারবো না? একশোবার পারবো। তবে পরীক্ষার ডেটটা পিছিয়ে দিলে খুশি হতাম।


* পেয়ারা *

ভদ্রমহিলা আমাকে বললেন: ওই পেয়ারাটা পেড়ে দিতে পারেন?
: পারি না।
: দূর আপনি কোনো কাজের না।
বললাম : একটা গল্প শুনবেন?
: প্রতিশোধ স্পৃহা থাকলে বলার সুন্দর সুযোগ ছিল, ‘শুনবো না’। বলুন, আমি শুনবো এবং সানন্দে শুনবো।
: অনেক দিন আগে এক ভদ্রমহিলা আমার বন্ধু এবং আমাকে বাগান থেকে কিছু বেলি ফুল আনতে বলেছিলেন। কে কার আগে এনে ভদ্রমহিলাকে খুশি করবো এই প্রতিযোগিতায় পড়ে আস্ত ফুলের গাছটাই আমি তুলে এনে রেখেছিলাম ভদ্রমহিলার সামনে।
: অথচ আর্শ্চয! আজ আমাকে পেয়ারাটা পেড়ে দিচ্ছেন না!
: দিতাম, যদি সেদিন থাকতো। সে বয়স!

অনুপদ্য
চলছে চলুক

মরছে প্রজা, পুড়ছে প্রজা
হাসছে রাজা , চলছে বেশ;
শুনতে থাকো, দেখতে থাকো
যাক না চুলোয়- বাংলাদেশ !!

কবিতা

স্বাধীনতা


স্বাধীনতার কালা পানি খাইতে গিয়া
মইরা গেছে বহুত মানুষ ।।
লুকমানে কয় জায়গা – জমি , আমার পুলা ,
হাত, চোখ , ট্যাঙ সবডি গেছে
মাগার আমার সার্টিফিকেট
লইয়া ভর্তি হইছে সদুর নাতিন ।
চাকরী গিলছে লুফার জাফর ।।
ঐ মান্দার পোঁ
তরে পাঠাইছে কোন হালায় ?
কি ব্যবসা আমার সনে ?
আমার ভাতা কই ?
কম্বল কই ?
আমি সাক্ষাতকারের মায়রে …।
আমি চ্যানেল ব্যবসার মায়রে ……।

আমি কি বলব ?
কি বলব আমি ?
আমি কি বলব
রুদ্রের মত
জাতির পতাকা খামচে ধরেছে বুনো শকুন ?
নাকি শকুনেরা শবদেহ টানাটানি করে ?
নাকি
আমার স্বপ্নেরা ধর্ষিত হবার পরও
নাকি সুরে মঞ্চে বলব
স্বাধীনতা তুমি রবি ঠাকুরের অজর কবিতা , অবিনাশী গান ?
নাকি বলব
আসুন চাচা !
খুলে বসি
স্বাধীনতা বিক্রয় প্রাইভেট লিমিটেড !!
অথবা চ্যানেলে – চ্যানেলে
দাঁতাল – শুয়োরের মত মস্ত ঘাড় নেড়ে বলব
স্বাধীনতা তুমি বসুন্ধরা সিটি,
স্বাধীনতা তুমি কে এফসি চিকেনের
অবারিত সুখ ,
স্বাধীনতা তুমি দখলি নদী – নালা খাল – বিল জায়গা – জমির
শিল্পিত নান্দনিক রসনা তৃপ্তি !!!

এভাবে আর ও অনেক কথা
প্রতিটা হতাশ রক্ত- কনা
বলতে চায় ।
বলতে চায়
তোমাকে পাবার জন্য হে স্বাধীনতা
আমাকে আর কতটা কি করতে হবে ?
আর কতটা কি করলে
লুট হয়ে যাওয়া সুন্দর স্বপ্নগুলো
নগর - গ্রামে প্রতি নীড়ে ফিরে আসবে ?

আমি কিছুই বলতে পারলাম না ।
অথবা বলতে ইচ্ছেই হল না !!

কবিতা - মরণ - গীত

উইড়া যাইব মোর
বুকের কইতর ,
খটাস পাখি-
তবু পখ – খির মত
ফুড়ুৎ যে অন্তর ।
সোনাদানি আগরবাতি
নিশানা দেখাইলি
বন্ধু ,
কোরানে – পরণে,
লোবানে মরণে
অন্তর -
কিতা জ্বালাইলি ।
সোনারূপা দেহখানি
সাদাতে মোড়াইলি ।
কেমনি করিয়া
বন্দে
খাটিয়ে শুয়াইলি ।
সোহাগী পরাণ রে
বাইন্দা
মাটিয়ে মিশাইলি ,
হায়রে -
মাটিয়ে মিশাইলি ।।

যাইবা যদি
বন্দে ক্যানরে
মায়াতে ফেলাইলি ,
ক্যানরে -
মায়াতে ফেলাইলি।।

আউলা মনের বাউলা কথন


১ ) লিখা ভয়ঙ্কর কারণ লিখার পিছনে লিখকের মৃত্যু লিখা থাকে ।
২ ) সত্যে অনেক আরোপিত উপাদান থাকে ।
৩ ) নদী ব্যক্তিত্বকে তেমন গ্রাস করতে পারে না , কিন্তু সমুদ্র মানুষকে
একদম তুচ্ছ বানিয়ে দেয় ।
৪ ) বুদ্ধি শেষ পর্যন্ত হৃদয়ের বাইরে যেতে পারে না ।

৫ ) আমার আমিটাকে আমার খুব জটিল মনে হয় , ভাবনায় ফেলে ।
আমার ভেতর আমি বাস করি নাকি অন্য কেউ ? আমার আমি কি শুধুই
আমার নাকি ? আমার বলতে কিছু আছে নাকি হাসান রাজার মত
আমি কিছু নয় রে আমি কিছু নয়
ভিতরে-বাহিরে দেখি শুধু দয়াময়.. .

মনসুর হাল্লাজের ''আমি '' আবার পরম এর সাথে মিশে যায় ।
আমির নানারকম ব্যাখ্যা আছে । কিন্তু আমার যেটা মনে হয় কিছুটা নিজস্ব আমির দরকার আছে । হই আমি একফোঁটা জল , গ্রাস করুক সমুদ্র , তবুও ত অই এক ফোটা আমার ।



৬ ) চিন্তাও চিন্তা সৃষ্টি করতে পারে ।

৭ ) সব কিছুর মত চিন্তাও আগ্রাসী ।

৮ ) আমার সবচেয়ে বড় ভয় নিজেকে ।

৯ ) মা হচ্ছে সভ্যতার জন্মদাত্রী এবং পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বিশ্ববিদ্যালয় ।

১০ ) মানুষ যাকে পরাজিত করতে পারে না , তাকে ভয় করে এবং যাকে
পরাজিত করতে পারে তাকে ঘৃণা করে ।

১১ ) একজন বড় লিখক কখনোই পুরোপুরি মৌলিক হতে পারেন না । কিছুটা পারেন , অনেক খানি পারেন ।
তার মৌলিকত্ব অনেক কিছুর সাথে মিশে থাকে । কিন্তু সাধারণত যেটা
মনে করা হয় সব কিছু তিনি হাওয়া হতে পয়দা করেছেন , এর আগে কিছুই ছিল না , অরকম কোন ব্যাপার ঘটে না । তাই বড় লিখকের মৌলিক জায়গাটা খুজতে হলে আপনাকে ও দীক্ষিত
পাঠক হতে হবে ।

১৩ ) একজন লিখকের ভিতর অনেকের কথাই সুপ্ত থাকে । থাকতে পারে তার জনগোষ্ঠীর হৃদয়ের ভাষা , আবেগের ভাষা , যুক্তির ভাষা ।
সার্বিক কিছু বিশ্বজনীন অনুভুতি ও লিখক ধারণ করতে পারেন ।
যখন পাঠক লিখায় নিজের চিন্তা , ভাষা , আবেগ খুজে পায় তখন বলে বাহ
! সাধু সাধু !

অই লিখক খুব দুর্ভাগা যার চিন্তাস্রোত বিশাল জনগোষ্ঠীর আবেগ ও মননশীলতার উরধে অথবা বিপরীত ।তারা তাদের প্রাপ্য পান না , পাবার সম্ভাবনা ও খুব কম ।





১৪ ) চিন্তার সবসময় পযায়ক্রমিক ধারাবাহিকতা আছে ।

১২ ) আমাদের দেশে দেবতা আর অসুরের মাঝামাঝি কিছু নাই ।

১৩ ) যিনি যত বড় লিখক তার মনে দ্বন্দ্ব ও অনেক বেশি ।

১৪ ) মানুষ সাধারণত তার প্রতিভার ১০ ভাগের এক ভাগ কলমে ঢালতে
পারে। পুরোপুরি কেউ পারেন না ।

১৫ ) অনেকে ভাবেন কঠিন , জটিল ও নির্মম সত্য দাঁত , মুখ খিচিয়ে
বলতে হবে / সিরিয়াস মুডে বলতে হবে । অসব কথা হাল্কা চালেও
বলা যায় । আমার হাল্কা চাল্টাই পছন্দ । এটার আরেকটা সুবিধা আছে ।
মানুষ কথাটাকে তেমন গুরুত্বপূর্ণ মনে করে না ।

১৬ ) আপনার দৃষ্টিভঙ্গি অনুসারেই ফাইনালি আপনার জীবন নির্ধারিত
হবে ।

১৭ ) সবকিছুকে ভালবাসা মানুষের সবচেয়ে বড় গুন । এটার চর্চা
করা উচিত । পিপড়াকেও ভালবাসুন , দেখুন জীবন কেমন পালটে গেছে

১৮ ) বুদ্ধি , প্রজ্ঞা ও হৃদয়ের ত্রিমুখী সঙ্ঘাত সবসময়েই উপভোগ্য ।
মানুষের সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ খেলা এইটাই ।

১৯ ) লিখাও এক ধরনের ফাঁকি এবং খেলা ।

২০ ) গল্প লিখার সবচেয়ে বড় সুবিধা হচ্ছে যা বিশ্বাস করি না তাও লিখা যায় , যা বিশ্বাস করি তাও লিখা যায় । ইচ্ছেমত নিজেকে ছিড়ে - ফুড়ে দেখার , যাচাই করার সুযোগ আছে ।


২১ ) মানুষকে ২ ভাবে দেখতে হয় । ১ ) কাছে ২ ) দূরে ।

মাঝামাঝি দেখাটা খুব বিপদজনক ।

২২ ) সত্য কখনো চাপা থাকে না ! - এটা হচ্ছে পৃথিবীর সবচেয়ে বড় মিথ্যা ।

২৩ ) মানুষ ভাবে আল্লাহর সবচেয়ে শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি । ( শ্রেষ্ঠ ) কথাটা বলেও থামতে হল । পিপড়া ও হয়ত এ কথা ভাবে । হয়ত ভাবে হাতিও ।
তবে মানুষ হিসেবে এ কথা টা বলতে পারি মানুষ সৃষ্টি করে আল্লাহ
অনেক তৃপ্তি পেয়েছেন । এমন একটা বুদ্ধিমান জীবের সাথে খেলার
মজাটাই আলাদা ।

২৪ ) লিখা মাত্রই প্রকাশিত হতে চায় ,উম্মুক্ত হতে চায় । কেন ?
প্রকাশিত হওয়াটাই তার ধর্ম । যেভাবে আল্লাহ বিশ্বজগত সৃষ্টি করেছেন
তার প্রকাশিত হওয়ার প্রয়োজনে ।

২৫ ) দর্শন বিভ্রান্তিকর আর বিভ্রান্তিকর বলেই আকর্ষণীয় ।

২৬ ) ইতিহাসের ও শেষ কথা বলে কিছু নেই ।

২৭ ) মানুষের চেয়ে কোন কিছুই আমাকে বিস্মিত করতে পারে না ।

২৮ ) মানুষ চাইলে এক জীবনে অনেক জীবন যাপন করতে পারে ।
২৯ ) প্রত্যেক খাটি কবি সাহিত্যিক হচ্ছে নদীর মত , তারা নদী , উপনদী
, শাখা নদী হয়ে পুরো ভুমন্ডল ছেয়ে আছে এবং সকলেরই লক্ষ্য সমুদ্রে
পৌঁছানো ।

৩০ ) নিজের ভাষাকে কখনো হারাতে দেবেন না , যদি হারায় আপনার
অস্তিত্ব ও বিলীন হবে ।

৩১ ) লিখক কেন এত লিখেন ?

এর অন্যতম একটা উত্তর হতে পারে লিখার মাধ্যমে তারা নিজেকে
খুজে খুজে দেখেন , হাতরিয়ে হাতরিয়ে নিজের ধমনী স্পর্শ করার চেষ্টা করেন ।

৩২ ) লেখার উদ্দেশ্য কি ?

এর অন্যতম একটা উত্তর হতে পারে''

৩৩ ) আমি শয়তানকে ভালবাসি । কারণ শয়তান শক্তিশালি ও সৃজনশীল।

৩৪ ) গরু ভুলে যায় তার দুইটা শিং আছে । সে সবসময় নিরীহ , তাকে এই নিরীহ থাকবার খেসারত দিতে হয় । মানুষ তাকে ভালমত খাটায় এবং এত ভালভাবেই খাটায় যে খেটে খাওয়া মানুষের নাম হয়ে গেছে কলুর বলদ । সবশেষে তার প্রতিটা অংশ মজা করে খাওয়া হয় । তাই নিরীহ
থাকা উচিত না , থাকলে আপনার অবস্থাও গরুর মত হবে ।

৩৫ ) কাককে মানুষ ঘৃণা করে কারণ সে মানুষের ছলাকলা বুঝতে পারে ।
মানুষ কুকুরে খুশি কারণ সে নামমাত্র মুল্যে কুকুরের বিশ্বস্ততা কিনতে পারে ।

৩৬ ) চুরি করাটা গুরুত্বপূর্ণ না , চুরির কলাকৌশল টাই গুরুত্বপূর্ণ ।চুরিকে
তাই ভয় পেতে নেই । কিভাবে করবেন তাই নিয়ে ভাবুন । বেড়ালের মত
চুরি করতে পেরেছিল বলেই ম্যারাডোনার গোলের নাম ''ঈশ্বরের '' গোল ।

৩৭ ) পৃথিবীতে এমন কোন জিনিস নেই যা মার্কেটিং করে খাওয়ানো যাবে না । আজ যদি নালার পানিকে '' যৌনশক্তি বর্ধক '' বলে কেউ বেচা শুরু করে মানুষ তাই কিনবে ।


৩৮ ) যখন যা বিশ্বাস করুন তাই লিখুন , নিজের বিশ্বাসকে লুকাতে নেই ,
এটা আপনার লিখা টিকে যাওয়ার ও একটা সম্ভাবনা ।

৩৯ ) নারীকে ভালবাসার মধ্য দিয়ে আল্লাহকে উপলব্ধি করা যায় ।

৪০ ) যে ভালবাসায় শ্রদ্ধা থাকে না , সে ভালবাসা মেকি ।

এরুপ পোষ্ট
আউলা মাথার বাউলা কথন পড়লে কোন নেকি নাই


মিক্স প্যাকেজ - ন্যানো গল্প / অনুগল্প /চোঙ্গাগল্প / অনুপদ্য / কবিতা






সর্বশেষ এডিট : ২৬ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ২:৪৩
৬৯টি মন্তব্য ৭১টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×