রমিজঃ আমার বোধ হয় এই কাম ছাইরা দিতে হউবো।
সুলতানঃ কেন কি হইছে, বেতনে কভার করে না। ও বুঝছি তুমি তো আবার বিয়ে করছো।
রমিজঃ না মহাজন এই গরমে, ফ্যক্টরিতে কাজ কইরা, শরীরে ঘামের গন্ধ লাইগা থাকে।
সুলতানঃ গরমেতো গন্ধ হইবোই, বাড়ী গিয়া গোসল কইরা লইলেইতো হয়।
রমিজঃ মহাজন কিযে কন, আপনার কি মনে হয় আমি অতো খাচ্চর নাকি, যে গোসল না কইরা ঘুমাই ?
সুলতানঃ ভাল্ োকরে সাবান মাখো তারপর গোসল করো গন্ধ থাকবো না।
রমিজঃ গন্ধ সাবান মাখি তাও গন্ধ থাকে। গায়ে গন্ধ থাকায় পাশে শুতে দেয়না স্ত্রী।
সুলতানঃ তাইলে এটা তোদের জাত গন্ধ।
রমিজঃ জাত গন্ধ হোক আর বেজাত গন্ধ হোক, আমারে একটা পরামর্শ দেন কি করলে এই গন্ধ দূর হইবো।
সুলতানঃ একটা কাজ কর যাবার সময় দোকান থেকে বডি ¯েপ্র কিনে নিয়ে যা। গোসল করে গায়ে ¯েপ্র করে ঘুমাতে যা, গন্ধ থাকবে না।
রমিজঃ সত্যি কইতাছেন।
সুলতানঃ কেন তুই টিভিতে দেখস নাই, বিদেশি ছেরারা গায়ে ¯েপ্র করে আর মাইয়ারা দৌড়াইয়া আইসা জাপাইয়া পড়ে।
রমিজঃ আমি গরিব মানুষ আমার সাথে বিদেশি ছেরাগো লগে পরিচয় নাই তো, আপনি বড়লোক মানুষ আপনার লগে তাগো চিন-পরিচয় থাকে।
সুলতানঃ ছাগল কয় কি, আমি কি কই আর সে কি কয়। তোর এতো কিছু বোঝার কাম নাই তুই দোকান থেকে একটা বডি¯েপ্র কিনে নিয়ে যা।
রমিজঃ দোকানে গিয়া কি নাম কমু। আমার নাম মনে থাকবো না। একটা কাগজে লেইখা দেন।
সুলতানঃ তুই দোকানে গিয়া শুধু কবি শরীরে যে মারে ঘ্রান কয় হেই ¯েপ্র দেন, তাইলেই দিবো।
রমিজঃ আইচ্ছা ঠিক আছে , তাইলে আইজ যাই।
- বাজারের গলিতে ঘুরবে। কার দোকানে জিগ্যেস করবে ঠিক বুজে উঠতে পারছেনা রমিজ। তাই শুধু হাটবে। পরে সাহস করে জিগ্যেস করবে এক দোকানে।
রমিজঃ ভাই , আপনার দোকানে কি ই আছে।
দোকানদার ঃ কি ভাই ?
রমিজঃ ই
দোকানদার ঃ ই, মানে কি ?
রমিজ ঃ ওই যে শরীরে মাখে
দোকানদারঃ শরিমার তেল
রমিজঃ দুর মিয়া শরিমার তেল হইবো কেন ?
দোকানদারঃ তবে কি নারকেল তেল
রমিজঃ আরে না , ( মুখ দিয়ে শব্দ করে দেখাবে) ছি..ছি.. আওয়াজ করে দেখাবে।
দোকনদার বুঝতে পারবে, বলবে বডি ¯েপ্রর কথা বলেন।
রমিজঃ জ্বি, ভাই।
দোকনদারঃ আমার দোকান মুদি মনোহরির দোকান এই দোকানে এই সব চলে না , আপনি কসমেটিক এর দোকানে যান, ওই যে কোণার দোকানে যান, ওই খানে পাইবেন ।
( রমিজ হেটে কসমেটিকসের দোকানে যাবে )
রমিজঃ ভাই, আপনাগো দোকানে ঔ যে শরীরে মারে (হাত দিয়ে ইশারা করে দেখাবে) ঔ টা আছে ?
দোকানদারঃ বডি ¯েপ্র।
রমিজঃ জে ভাই
দোকনদারঃ কোন কোম্পানির ?
রমিজঃ বিদেশি কোম্পানির।
দোকানদারঃ ওই মিয়া, বডি ¯েপ্রতো বিদেশি কোম্পানিরাই বানায়, এই গুলো কি বাংলাদেশে বানাইতে পারে। বাংলাদেশিরা পারে প্লাস্টিকের জিনিসপত্র বানাইতে। ওয়ানটাইম মেড, কারিগর ডেথ।
রমিজঃ ভালা চাইয়া ১ টা দেন। শরীরের গন্ধ দূর হইবোতো।
দোকানদারঃ দাড়ান দেখাইতাসি।( ল্যাপটপ/কম্পিউটারে কয়েকটা বডি ¯েপ্র’র ্িবজ্ঞাপন দেখাবে। শরীরে ¯েপ্র করলে কিভাবে মেয়েরা ঝাপিয়ে পড়ে। বিজ্ঞাপন দেখে ব্যাপক লজ্জা পাবে রমিজ। )
দোকানদারঃ ভাই কি লজ্জা পাইতাছেন। লজ্জার কিছু নাই আপনি শরীরে মারলে আপনার উপরও এমন ঝাপিয়ে পড়তে পারে।
রমিজঃ কি কন ভাই, তাইলে আমি নিমু না।
দোকানদারঃ আরে না মিয়া, আপনি কি মেয়েদের সামনে দিবেন, আপনে দিবেন ঘরে মেয়ে থাকলেতো ঝাপাবে।
রমিজঃ আমার বৌ আছে।
দোকানদারঃ তাইলেতো ভালোই হয় , গায়ে ¯েপ্র করলে আপনার বৌ আপনার উপর ঝাপিয়ে পড়বে।
রমিজঃ ১ টার দাম কতো?
দোকানদারঃ ২৮০ টাকা।
রমিজঃ ( লুঙ্গির ভাজ থেকে টাকা বের করে গুনবে ২১০ টাকা) ভাই আমার কাছেতো আইজ এতো টাকা নাই কাইলকা বাকি টাকা দিলে দিবেন ?
দোকনদারঃ না ভাই বাকিতে বিক্রি করি না, আপনি বরং কাল পুরা টাকা আইনা লইয়া যাইয়েন।
(রমিজ হাটা শুরু করে) কাট টু..
- রমিজ বাসে বসে থাকবে। একজন হকার উঠবে , সে সেন্ট বিক্রি করবে।
হকারঃ (লেকচার শুরু করবে)
মুসলমান ভাইদের সালাম , হিন্দু ভাইদের নমস্বার, অন্যান্য ধর্মের ভাইদের জন্য রইল শুভেচ্ছা।
আপনার শরীরে গন্ধ, ঘরে ডোকা বন্ধ, বউ শোয়না পাশে, পাড়া-পড়শি হাসে ...
এসব যন্ত্রনা থেকে মুক্তি পেতে বাজারে নিয়ে এলো জাফর ভাইয়ের ফাপর সেন্ট। এক বার গায়ে মাখরে গন্ধ লেগে থাকবে সাত দিন। সারা দেশে বিভিন্ন কসমেটিক’স এর দোকানে পাবেন এই সেন্ট, দাম রাখবে ১০০ টাকা। আমি জনাব ১০০ টাকা নিচ্ছি না। শুধুমাত্র কোম্পানির প্রচারের জন্য আপনার পাচ্ছেন ৫০ টাকা ৫০ টাকা ৫০ টাকা। এই সুযোগ সীমিত সময়ের জন্য।
(সিটে বসা মানুষের হাতে ¯েপ্র করে দেখাবে, দেখেন ভাই কি সুন্দর ঘ্রান)
হকারঃ কি ভাই ঘ্রান কেমন, এইটা রজনীগন্ধার ফ্লেবার।
যাত্রী-০১ ঃ হু ভালাই মনে হয়।
হকারঃ ভাই ১ এর মাল। কোন ভেজাল নাই। (পরের যাত্রীর হাতে ¯েপ্র করে)
যাত্রী ০২ঃ না, তোর সেন্ট ভালা না। কেমন যেন পচা পাচা গন্ধ আসে।
হকারঃ দুর মিয়া আপনের নাকই পচা, ডাক্তার দেখান। (পরের যাত্রীর হাতে ¯েপ্র করে)
যাত্রী-০৩ঃ ওই ব্যাটা কি মারলি এটা। এমন গন্ধ কেন ? ( হাত চুলকাতে চুলকাতে বলবে- কোত্থেকে পচা মাল নিয়া আসছস, চুলকায় কেন )
হকারঃ আপনার তাইলেএলার্জি আছে, এতো মানুষরে দিলাম কারো চুলকাইলো না আপনার চুলকাইলো। আমি সিউর আপনার এলার্জি আছে। চিংড়ি মাছ, গরুর মাংস, ইলিশ মাছ খাইলে আপনার গা চুলকায়, শরীরের বিভিন্ন স্থানে ফুলে উঠে?
যাত্রী ০৪ঃ কিরে তুই কি হকার না ডাক্তার ?
হকারঃ ভাই দেখেন না এতো মানুষরে দিলাম, কেউ কইলোনা চুলকায়, হে কয় চুলকায়, আমার বাজার নষ্ট করার ষড়যন্ত্র করতাছে।
(রমিজ হকারকে ডাকবে- হকার রমিজের সামনে চলে আসবে)
হকারঃ আপনাকে কোন ফ্লেবারটা দিবো জনাব। ( একটা একটা বের করবে , রমিজের হাতে ¯েপ্র করে দেবে আর বলবে এটা রজনী গন্ধা, এটা হাসনা হেনা, এটা লেমন)
রমিজঃ কোনটা কত?
হকারঃ কোম্পানির দামে মাত্র ৫০ টাকা।
রমিজঃ এক দাম নাকি কম টম হবে।
হকারঃ না জনাব, ১ দাম। কম নাই। সীমিত লাভ জনাব।
রমিজঃ ঠিক আছে ১ টা দেন, (টাকা বের করে দিবে)
যাত্রীঃ ওই তোর এই ¯েপ্র মারলে কাপড়ে দাগ লেগে যাবে না তো ।
হকারঃ কি সব কন , দাগ লাগবো ক্যান, এই সেন্ট কি পানের পিক দিয়া বানাইছে নাকি , যে দাগ লাগবো। একদম অরজিনাল, ১ এর মাল। দিমু জনাব ১ টা।
যাত্রীঃ না লাগবোনা জা।
হকারঃ নিবেন না তো ক্যান ফাও গেজাইলেন।
(হকার বাস থেকে নেমে যাওয়ার সময় ১ মহিলার হাতে ¯েপ্র করে দিবে)
মহিলা যাত্রীঃ ওই গোলামের পুত, কি মারলি জ্বলে ক্যান
হকারঃ কি কন খালা, জ্বলব ক্যান, আপনের হাত মনে হয় কাটা আছে, দেখেন।
মহিলা যাত্রীঃ যা নাম সয়তান পোলা।
কণ্ট্রাকটরঃ শাল্যার পুত নাম। নাইলে ঘাড়ে দিমু। বহুত মজা লইছস। নাম ব্যাটা।
হকারঃ কিরে ভাই আপনি এমন করেন ক্যান।
কণ্ট্রাকটরঃ দে আমারে একটা পারফিউম দে।
হকারঃ টাকা দেন।
কণ্টাকটরঃ কত ?
হকারঃ ৫০ টাকা।
কণ্টারটরঃ নগর ভবনের সামনে বেচে ৩০ টাকা কইরা আর তুই চাস ৫০ টাকা, ব্যাটা ধান্ধাবাজি করস। ৩০ টাকা পাবি ১ টা দে।
হকারঃ হ ভাই মজা লন, সুযোগ পাইছেন, দোকানে যান, ১০০ টাকায়ও পাইবেন না।
কণ্টারটরঃ দোকনের মাল বিদেশ থেইক্কা প্লেনে আহে। আর তোরটা কোত্থেকে আসে ?
হকারঃ আমারটাও ফ্রান্স থেকে আসে।
কণ্টারটরঃ বুড়িগঙ্গার ঔপারের ফ্রান্স থেইক্কা।
হকারঃ ফালতু কথা কইয়েন না।
কণ্টারটরঃ ঔ তুই ভাড়া দিছস, আমার গাড়ীতে উঠচছ ভাড়া দে?
( হকার দৌড়ে নেমে যাবে। কাট টু...
বাসস্ট্যান্ডে রিক্সাওয়ালারা দাড়ানে। একজন রিক্সাওয়ালা ১ জন যাত্রী নিয়ে বসে আছে। আর ১ জন পেলে যাবে।
রিক্সাওয়ালাঃ ঔ ১ জন ১জন, গুদারাঘাট ১জন।
রমিজঃ কতরে?
রিক্সাওয়ালাঃ ১০ টাকা ভাই।
রমিজঃ তাইলে চল।
(রিক্সা চলছে। রমিজের পাশের লোকটি তার লুঙ্গির প্যাচ থেকে কিছু টাকা বের করে গুনবে। রমিজ আড় চোখে টাকার দিকে একবার তাকাবে, আরেকবার তার চেহারার দিকে তাকাবে। লোকটির চোখাচোখি হলে লুকটি ঘুরে গুনবে। রমিজ ঘাড় ঘুড়িয়ে দেকার চেষ্ঠা করবে।)
যাত্রীঃ কি সমস্যা ভাই।
রমিজঃ কই, কিয়ের সমস্যা আবার..
যাত্রীঃ আপনি বার বার আমার টাকার দিকে তাকাচ্ছেন কেন ?
রমিজঃ কই , নাতো,
যাত্রীঃ আবার মিথ্যা বলছেন
রমিজঃ ভাই মিছা কমুনা, তাকাইছি
যাত্রীঃ কেন অন্যেও জিনিসের দিকে তাকান
রমিজঃ না দেখলাম, টাকা আসল না নকল
যাত্রীঃ অন্য জনের টাকা আসল নকল দেখনের কাম কি আপনের নাকি ?
রমিজঃ আসলে তা না , দেখতে চাইছিলাম এর মধ্যে আবার জাল টাকা আছে নাকি ?
যাত্রীঃ মজা লন, দেইখাতো মনে হয় সাদাসিদা মানুষ, কিন্তু ভিতরেতো খটকা আছে
রমিজঃ (চুপ হয়ে যাবে) আমার ভুল হইয়া গেছে।
(কিছুক্ষন চুপ চাপ দু’জন কোন কথা নাই) মিউজিক যাবে।
রমিজঃ কই থাকেন ভাই, আপনার বাড়ী কই?
যাত্রীঃ(মনে সন্দেহ জাগবে কি বলতে চায় । তার উদ্দেশ্য কি। কয়েকবার রমিজের দিকে তাকাবে , ক্নো উত্তর দেবে না।)
( কিছুদুর চুপচাপ বসে যাবে। কিছুদুর যাওয়ায় পর তার পার্টনারকে কিছূ না বলে কোমড় থেকে পারফিউমের বোতল বের করবে। )
রমিজঃ ভাই একটু দেখেনতো এই পারফিউমটা কেমন। এইটার গন্ধ কেমন।
যাত্রীঃ এই মিয়া কি করেন, থামেন।
রমিজঃ কেন ভাই কি হইছে ? দেখেন না এইটার গন্ধটা কেমুন । ঘ্রান টা সুন্দও নাকি একটু দেখেন না।
(যাত্রী মনে করবে অজ্ঞানপার্টি টাইপের লোক। সে রিকশা থেকে নেমে দৌড়ে পালাবে। রমিজও পিছুপিছূ কিছুদূর যাবে। তারপর ফিরে আসবে।
রমিজঃ ওই রিকশাওয়ালা দেখতো ভাই এই পারফিউমের গন্ধটা কেমন?
(এবার রিকশাওয়ালা দৌড়ে পালাবে, পকেট চেপে ধরে।)
রমিজঃ কি মুসকিল আমি দেখাতে চাই গন্ধটা কেমন। আর শ্যালারা কেন দৌড়াচ্ছে। এই ব্যাটা আয় তোর গন্ধ শোকা লাগবনা। আমারে পার কর।
এবার আর রিকশাওয়ালাও আসবেনা।
রমিজঃ তোর ভাড়া নিয়া যা।
রিক্সাওয়ালাঃ আপনার ভাড়া লাগবোনা আপনি এমনি জান।ু
রমিজঃ আয়।
রিক্সাওয়ারাঃ না, আসুম না , আপনি চইলা যান।
(রমিজ সামনে এগোয়, রিক্সাওয়ারা পেছনে যায়)
রমিজঃ ভাড়া রাইখা যাই, তোর গাড়ীতে।
রিক্সাওয়ালা ঃ না কিচ্ছূ লাগবনা আপনার । আপনি আমারে মাফ কইরা দেন। আপনি জান।
(রমিজ হাটা শুরু করেছে, কাট টু )
-রমিজ হেটে যাচ্ছে। পেছন থেকে পুলিশ আসবে। রিক্সার পার্টনার যাত্রী পুলিশ নিয়ে এসেছে, অজ্ঞান পার্টির কথা বলে।
পুুুলিশঃ (পুলিশ বন্দুক তাক করে বলবে হ্যান্ডস আপ। নড়বি তো গুলি করে দিব শ্যালা।
রমিজঃ ক্যান ভাই আমি কি করলাম ।
পুলিশঃ আগে থানায় চল তারপর বুঝবি।
রমিজঃ থানায় ক্যান ভাই, আমিতো চোরও না বাটপারও না।
পুলিশঃ তোর কাছে যে মেডিসিনের বোতলটা আছে তা বের কর।
(এবার খুশি হবে রমিজ। হাসতে হাসতে বের করবে সে)
রমিজঃ আপনি দেখবেন গন্ধটা কেমন। (বলেই টিপ দিবে ¯েপ্রর বোতলে)
(সব পুলিশ নাক চেপে ধরে দৌড়ে পেছনে সরে যাবে।)
পুুলিশঃ শ্যলাতো কড়া মাল। সবাইকে অজ্ঞান করে ছাড়বে।
রমিজঃ স্যার পেছনে যান ক্যান। সামনে আসেন।
( রমিজ সামনে পা বাড়াবে, পুলিশ পেছনে পা বাড়াবে)
পুলিশঃ বোতল মাটিতে নামা না হয় গুলি করবো।
রমিজঃ গুলি করবেন ক্যান।
পুলিশঃ বোতল নামা মাটিতে।
(রমিজ বোতল ¯েপ্রর বোতলটা মাটিতে নামায়, পুলিশ ব্যাপক সতর্ক অবস্থায় সামনে আসে রমিজকে ধরে নিয়ে যাবে থানায়।)
-রমিজকে বেধে রাখা হয়েছে থানায়। পুলিশ প্রস্তুতি নিচ্ছে তাকে পেটানোর।
পুুুলিশঃ বল কত দিন ধরে এই লাইনে ?
রমিজঃ কোন লাইনে স্যার ?
পুলিশঃ ভান ধরস,
রমিজঃ কিসের ভান ধরুম স্যার।
পুলিশঃ অভিনয় তো ভালোই শিখছস।
রমিজঃ কি সব কন স্যার, কিসের অভিনয়
পুলিশঃ কোন শ্যালাই , এমনি এমনি কিছু বলে না আর তুই বলবি ক্যান । আমার কাছে ঔষধ আছে সমস্যা নাই , দিতাছি।
রমিজঃ কিসের ঔষধ
পুলিশঃ রোগ সারানোর ঔষধ, আমার কাছে কার্যকরি ঔষধ আছে(লাঠিটা ঘোরাবে) এখনো সময় আছে বল এই লাইনে কত দিন। তোর সাথে কে কে আছে, তোদের ওস্তাদ কে ?
রমিজঃ কি কইতাছেন স্যার , আমিতো তার আগা মাথা পাইতাছি না।
পুলিশঃ এই লাইনে আসার আগে তুই কি করতি ?
রমিজঃ আমি সুলতান সাবের ফ্যাক্টরিতে কাম করি।
পুলিশঃ কতদিন আগে কাম ছাড়ছস
রমিজঃ কাম ছাড়মু কেন , আমিতো আইজও কাম কইরা আসলাম।
পুলিশঃ তোর বাড়ী কই
রমিজঃ নদীর ওই পাড়
পুলিশঃ কে কে আছে বাড়ীতে ?
রমিজঃ আমার বউ আছে
পুলিশঃ তার নাম্বার দে , তারও থানায় আসা লাগবো
রমিজঃ তার মোবাইল নাই, পাশের ঘরে মোবাইল আছে তার নাম্বারে ফোন দিলে সে খবর পাইবো।
পুলিশঃ দাড়া, সুলতান মিয়ারেও থানায় আনতাছি, তোর বউরেও আনতাছি , যদি উল্টাপাল্টা পাইরে তাইলে বুঝবি।
(দারোগা তার রুমে চলে যাবে) কাট টু...
-রমিজকে বেধে রাখা হয়েছে থানায়। রমিজের বৌ আসবে।
(রমিজ তার সেলে রাখা অন্য আসমির সাথে কথা বলবে)
রমিজঃ ভাই আপনেরে পুলিশ ক্যান ধরছে ?
আসামীঃ পুলিশ কইছে, আমার চেহারা নাকি চোরের মতো তাই ..
রমিজঃ (হেসে উঠে) কি কন ।
আসামীঃ ঘটনা সত্য, আপনেরে কেন ধরছে ?
রমিজঃ আমিতো তাই জানিনা, কেন যে ধরলো।
(পুলিশ আসবে)
পুলিশঃ কি, চোরে চোরে মাস্তুত ভাই, কিসের আলাপ শুনি।
(রমিজের বউ ছুটে আসবে, থানার সিক ধরে কাদবে, স্বামীর বন্ধী অবস্থা দেখে)
রমিােজর বৌঃ না না স্যার আমার জামাই অতি সাধারন মানুষ, সে কোন অপরাধ করতে পারে না তারে ছাইরা দেন।
পুলিশঃ আপনি কি আপনার জামাইর সার্টিফিকেট দেন নাকি ?
রমিজের বৌঃ জ্বী স্যার , আমি জানি আমার জামাইর কোন দোষ নাই।
পুলিশঃ ইউনিয়ন কাউন্সিলের চেয়ারম্যানওতো তাদের এলাকার পোলাপানের কেরেকটার সার্টিফিকেট দেয়, সেই খানেও লেখা থাকে তাকে আমি ব্যক্তিগতভাবে চিনি, তার স্বভাব চরিত্র অত্যন্ত ভালো, সার্টিফিকেট পাওয়ার পরওতো তারা অপকর্ম করে ধরা খায়, আর আমরা পিটাই। হে হে হে ।
(পুলিশের পিটুনির কথা শুনে রমিজের বৌর কান্নার মাত্রা বাড়ে)
রমিজের বৌঃ কি সব কন স্যার।
পুলিশঃ ওদের নেতার নাম বলতে বলেন, কাদের দলে ও কাজ করে তা বলতে বলেন না হয় এই ডান্ডা দিয়া ডলা দিলে সব ফরফর করে বলে দিবো।
রমিজের বৌঃ ও গো তুমি কই কাম করো কাগো লগে করো কইয়া দেও।
রমিজঃ আমি সুলতান সাবের কারখানায় কাম করি, আর কতবার কমু।
পুলিশঃ সুলতান মিয়ারে ফোন করছি আসতাছে। তার জবানবন্দী নেই তার পর তোরে আর একটা ডলা দিমু। এখনো সময় আছে ক, এই কাম কত দিন, ? কাদের দলে কাজ করস তুই।
রমিজঃ স্যার সত্যি কইতাসি আমি কারখানায় কাম করি, আপনেরা যা মনে করতাছেন আমি আসলে তা না। বিশ্বাস না হয় ওই বোতলটা পরিক্ষা কইরা দেখেন।
(সুলতান মহাজন থানায় এসে উপস্থিত হবে)
সুলতালঃ কি বিষয় ওসি সাব কি হইছে।
পুলিশঃ দেখেনতো এই লোকরে আপনি চিনেন নাকি ?
সুলতানঃ (সামনে এগিয়ে) ওই তুই আমাগো রমিজ না ?
রমিজঃ হ, মহাজন।
সুলতানঃ তুই ভিতরে ক্যান ?
রমিজঃ আমি কি জানি, পুলিশ হুদাই আমারে ধইরা লইয়া আইলো ।
সুলতানঃ কি হইছে বলেন তো।
পুলিশঃ আপনি চিনেন ?
সুলতানঃ হ, সেতো আমার ফ্যাক্টরিতে কাজ করে। বিশ্বস্ত লোক , তার মতো মানুষ হয় না। আসলে হইছে কি বলেনতো শুনি।
পুলিশঃ আমার রুমে চলেন।
-দারোগা চেয়ারে বসবে, সুলতান সামনে চেয়ারে বসবে।
পুুলিশঃ সেনট্রি জব্দকৃত বোতলটা নিয়ে আসো।
(নাকে রুমাল চেপে, হাতে কাপর প্যাচিয়ে বোতলা সাবধানে ধরে নিয়ে আসবে এক কনস্টেবল)
কনস্টবলঃ স্যার নিয়ে আসছি রাখবো কই, দূওে রাখো ।
সুলতানঃ বস্তুটা কি ?
পুলিশঃ আপনার কর্মচারীর কাছ থেকে জব্দ করা হয়েছে। ঝুকিপূর্ন রাসায়নিক বস্তু।
সুলতানঃ ঠিক বুঝলাম না।
পুলিশঃ এই লিকুইড দিয়ে মানুষের নাকে দিয়ে অজ্ঞান করে সবকিছু ছিনিয়ে নেয়। আপনার ফ্যাক্টরিতে কাজ করে পরে সে এই সব করে থাকে।
সুলতানঃ না, ওসি সাব, আমার বিশ্বাস হয় না। দেখি বোতলটা ।
(সুলতান এগিয়ে যাবে কনস্টেবলের হাতে রাখা বোতলটার দিকে)
পুুলিশঃ কি করছেন সুলতান সাহেব, নিঘাত অজ্ঞান হয়ে যাবেন।
সুলতানঃ না দেখি বিষয়টা কি। ( হাতে নিয়ে দেখবে সেন্ট এর নাম লেখা)
(ফ্লাসব্যাকঃ সকালে রমিজের গায়ের গন্ধ দূর করতে বডি ¯েপ্র কেনার কথা দেখানো হবে, হাসবে সুলতান)
সুলতানঃ আপনারা যা মনে করতাছেন আসলে এইটা তা না। এইটা সত্যি সত্যি বডি ¯েপ্র।
পুলিশঃ কি সব বলতাছেন।
সুলতানঃ জ্বী, যা বলছি সত্যি বলছি। বিশ্বাস হচ্ছে না। এই দেখেন আমার শরীরে মেরে দেখাচ্ছি।
(সবাই নাকে চেপে ধরবে, সুলতান তার গায়ে ¯েপ্র করবে)
সুলতানঃ আরে নাক থেকে রুমাল সরান এই দেখেন আমি গায়ে মাখলাম, নাকে ঘ্রান নিচ্ছি দেখেন , কিছু হচ্ছে না।
(সবাই নাক থেকে রুমাল সরাবে, পুরো রুমে একটা সুন্দর গন্ধ ছড়িয়েছে।
কনস্টেবলঃ কতদিন পর এই সুগন্ধ ছড়ালো থানায়। কি দুর্গন্ধেই না ছিলাম আমরা ।
পুুলিশঃ সেনট্রি যাও রমিজকে ছেড়ে দাও, আর যে মিথ্যা ইনফরমেশন দিয়ে এই ঝামেলা তৈরি করেছে তাকে খুজে ধরে নিয়ে আসো।
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:৪৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




