গান শুনছি। কোন গানই ভাল লাগছে না, জোর করেই গান শুনছি। এখন খোকা বাবু যায় এই গানটা শুনছি। গানটা কেমন যেন লাগছে! খুব যে খারাপ লাগছে তা নয়, অবাক হচ্ছি! ধ্যাত, এই গানটা শুনতে আর ভাল লাগতাছেনা। এখন আর গানই শুনবনা।
রাস্তা দিয়ে হাঁটছি। একটা ১৪বছরের একটা মেয়েকে দেখছি একটা ৪ টাকা দামের সিংগারা খাচ্ছে। এমন ভাবে সিংগারাটা খাচ্ছে তাতে আমার খুব লোভ হচ্ছে কিন্তু আমার পকেটে এক টাকাও নাই। টাকা নাই বললে ভুল হবে ২ টা সিগারেট কেনার টাকা আছে আর ২ টা মধুবন চানাচুরের প্যাকেট আছে। সিগারেট কেনার টাকা দিয়ে সিংগারা খাওয়ার মানেই হয় না।
এখন বাসায় বসে বসে চানাচুর খাচ্ছি । ভাবছি, বাসায় একটা নেইমপ্লেট লাগামু......
নামঃ- সাধু
বিশিষ্ট মুখবই(FACEBOOK) ইউজার
এখন আর আগের মত facebook use করতে পারলাম কই? ১০ মিনিট মুখবই(facebook) ইউজ করলে ১৫ এম বি চলে যায়। যাই আমার গুঁরুজীর কাছ থেকে এখনই ফু পড়া নিয়া আসি ।
সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলাম। মোবাইলে ৭টা ২০ মিঃ। অনেক দিন সকালবেলা হাঁটা হয় না, আজ হাঁটমু।
৭টার সময় রোদের এত তেজ দেখে অবাক হচ্ছি, চোখ মেলে রাখতে কষ্ট হচ্ছে। এই সাত সকালে মুখবই(facebook) এর নোটিফিকেশানে মোবাইল ভরে যাচ্ছে কিন্তু একটা নোটিফিকেশানেও প্রাসঙ্গিক না। দুনিয়াতে মেজাজ খারাপ হওয়ার উপাদান এ ভরপুর। এই মুহূর্তে আমার মেজাজ হট।
খিদা লাগতাসে। সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠলে পেট শুধু বাকবাকুম করে। পকেটে মাত্র ৯ টাকা আছে। কাছেই এক দোস্তের বাসা, তার কাছে ১২০০ তাকা পাই।
পুলকের বাসায় অনেক দিন যাওয়া হয় না প্রায় ৮ মাস। আগে তো রোজ সকালে যাইতাম, পর পর ৩ বছর প্রতিদিন পুলকের বাসায় গেছি। আজ অবধি এত নিয়ম মেনে আমি আর কোন কাজ করতে পারি নাই। আজও যাইতাম, আমার কোন সমস্যা ছিল না কিন্তু উপায় নাই। পুলক দোস্ত বিয়া করসে এক বছর চলতাসে তাই মন চাইলেও যাই না। বিবাহিত এক বন্ধুকে সাত সকালে বিরক্ত করতে চাই না। বিয়া করার আগে সে সম্পূর্ণ ভাবেই আমার বন্ধু ছিল আজ সেখানে সীমাবদ্ধতা যুক্ত হয়েছে।
শুনতাছি সে নাকি বাবা হইবো। ভাবতাছি পুলকের সন্তান হইলে ওই ১২০০ টাকা দিয়া একটা গিফট কিনে দিমু। তাই পাওনা টাকা আনতে যাই না।
তাড়াতাড়ি বাসায় যাই। খিদায় মনে হয় পেট ভেঙ্গে যাইবো। আর সকালে বের হইমুনা।
আজ আবার পুরোনো ভুলটা করলাম । নিজের প্রতি ঘৃণায় নিজেই মুখ বিকৃত করছি। একই ভুল বার বার কেবল আমার মত হীন মানুষের পক্ষেই সম্ভব। যতই পাল্টানোর গীত গাই, কোন লাভ নাই। মনের ভেতর কুৎসিত হিমালয়টা আগের মতই ঠায় দাড়িয়ে থাকে। এখন আর ওই সব নিয়ে ভাবছি না, জানি আমি বদলানোর মানুষ নই। সারাদিন অলস সময় কাটাই মাথার ভেতর অস্থিরতা খেলা করে। শুধুই বসে বসে উল্টাপাল্টা চিন্তা করি, আমার মত জ্ঞানী বোধ হয় এই পৃথিবীতে এখনো জন্মায় নাই। মাঝে মাঝে দু-কলম লিখতে ইচ্ছে করে পরক্ষনে ভাবি এই সব আমার মত জ্ঞানী মানুষের কর্ম নয়।
আসলে আমি কি চাই নিজেই জানি না তবে এ টুকু বুঝতে পারি আমি নিতান্তই একটা মানসিক রোগী। কবে শেষ প্রান খুলে হেসেছিলাম ভুলেই গেছি। সবাই যেটাতে তীব্র মজা পেয়ে হাসতে হাসতে গড়াগড়ি খায় আমার কাছে সেটা নিতান্তই অর্থহীন মনে হয়। অন্য সবার স্বাভাবিক আচরণ আমার কাছে অস্বাভাবিক মনে হয়। নিজের কোন কাজ আমার নিজের কাছে ভাল লাগেনা সেখানে অন্যদের কাজতো ফালতুমিতে পরিপূর্ণ লাগে। নিজের হীনমন্যতার কথা আমি বুঝি কিন্তু তীব্র ঘোরে বার বার একই জায়গাতেই ফিরে আসি।
এর শেষ কোথায়…………………?
( চলবে )
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০১২ বিকাল ৫:২৯