
ঘুমন্ত রজনীর ধুসর ছায়ায়
নীরবতা পানীয় হয়ে যায়,
স্নিগ্ধতা ফানুস হয়ে
তলপেট ভেদ করে;
নির্বাক রাজপথ যেন
অকিঞ্ছিতকর শয্যা-
নিয়ন আলোর মশারী টাঙ্গিয়ে
প্রস্তুত আরেকটি রাত্রিযাপনের,
পীচের বিছানায় গা এলিয়ে
দাঁড়িয়ে ঘুম-রাজ্যের দ্বারপ্রান্তে;
পাচটনি ট্রাকের দুর্নিবার গতি
কানে যেন ছন্দের মত বাজে,
হঠাৎ কোনো বৈমানিকের কার্যকলাপ
ভাবনায় ছন্দপতন ঘটায়।
অদূরে কোন কুমারী মা
তার নবজাতকের কান্না থামাতে ব্যস্ত,
হয়ত তার ঘরের দুয়ারে
হানা দিয়েছে কোনো মাংশলোভী;
অন্যদিকে কিছু বিকৃত বালক
ধূসর ধোয়ায় গা ভাসিয়েছে,
আরেকগুচ্ছ মধ্যবয়সীরা
গোল হয়ে বসে আছে,
তারা আজ পৃথিবীর
সবচেয়ে সুখী মানব।
মাঝে মাঝে কিছু টলায়মান যাত্রী
তার পথ খোজায় মত্ত-
সদ্যভঙ্গ নিষিদ্ধ সভা থেকে
সভ্যতার পথে পারি দিতে চায়,
বিলাসবহুল গাড়িতে একজোড়া প্রানী
আদিম খেলায় মেতে উঠেছে
ঘরে ফেরার বিলম্বটুকু যেন
সহ্যেসীমানার বাহিরে;
আশাপাশের শত অসামঞ্জস্যতা
তাদের স্পর্শ করে না-
তারা যেন পৃথিবীর
সবচেয়ে নির্বিকার নাগরিক।
একই ছাদের নীচে বসবাসরত
সব একই রকম প্রানীর-
ভিন্ন ভিন্ন আচরণ
সবার অলক্ষে প্রতিদ্ধনিত হয়
সভ্যতার চিৎকার;
দূরে-বহুদূরে ভেসে যায়
সময়ের আর্তনাদ।
----------------------------------------------------------
রচনাকালঃ ২রা মে, ২০১০।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




