somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দুটি লেখা

২০ শে মে, ২০১১ রাত ৯:৫৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হোসেন শহীদ


০১-‘কবিতার হয়ে ওঠা’ বোঝেন পাঠকই!

কী কবিতা, আর কী কবিতা নয়? এ প্রশ্নের উত্তর সবচেয়ে ভালো জানেন বুঝি কবিতা-পাঠক! কেননা কবিতা লিখেই তো কবির দায়িত্ব শেষ! [আদৌ কি শেষ হয়]। কিন্তু পাঠককে তা পড়তে হয়, আÍস্থও করতে হয়! তাই কবিতা কিংবা অ-কবিতা অথবা ‘কবিতা হয়ে ওঠা’র বিষয়টি সম্যকভাবে যেন বুঝেন পাঠক! অবশ্য পাঠকও কবি হতে পারেন।
এ কথা সত্য; শূন্যতায় কবিতা হয় না, কবিতা হতে হলে মাটি-মানুষ, জীবন-জীবিকার সঙ্গে ওতোপ্রোতভাবে সম্পর্কিত উপাদান জর“রি, ¯^প্ন-কল্পনার ফানুসও হতে পারে কবিতা! তবে তা জীবনকে বাদ দিয়ে নয়। ‘কবিতা হয়ে ওঠা’র জন্য তাই জর“রি দেশ-কাল-ঠিকানা।
সাধারণ পাঠক কবিতা পছন্দ করেন না এমন অভিযোগ আজকালকার কবিদের কেউ কেউ করেন। যদি কথাটা এমন হয়; এই সময়ের কবিরা সাধারণ পাঠককে বুঝেন না। আদতে কোন মš—ব্য সত্য; তার সুরাহা অনেকাংশে অসম্ভব। কথার পিঠে কথা সাজানো যাবে, তর্কও বহুদূর নেওয়া যাবে। তাই এ প্রসঙ্গ রেখে বরং চলুন না; মননের কথা, আÍার কথা, শিল্পিত সময়ের রেখাচিত্রের কথা বলি-যা একজন কবির নিপূণ কার“কার্যে কবিতা হয়ে ওঠতে পারে! এমনও হতে পারে; যে ঈশ্বর লাভ করে, সে তাঁকে হামেশায় ভুলে যায়! সত্যিকার কবির কাছে কবিতাও তাই! অন্যভাবে বললে কবিতা যেন ঠিক তাই; যেটি হয়ে ওঠে কিংবা কবিতা হওয়ার চেষ্টা করে, যাকে বার বার পড়তে ইচ্ছে করে; দেখতেও! কবিতা হয়ে ওঠলে তা কবির চেয়ে পাঠকের কাছেই যেন বেশি পূজনীয়!


০২-এক নিসর্গে চারটি কাব্যগ্রন্থ !

এক.
সমকালীন সমাজ-বা¯—বতা; আর্থ-সামাজিক প্রোপট; জীবনরীতি; চলন-বলন; অনগ্রসর নৃগোষ্ঠীর চালচিত্র আর ব্যক্তি-অভিজ্ঞতার বীণ অনায়াসে উঠে এসেছে আহমেদ মুনীরের আমি ও বাঘার“তে। আর এসবের ঘাত-প্রতিঘাতই দৃশ্যত কবিতার প্রাণ। বলা হয়Ñসমকালীন এসব অনুষঙ্গকে ভর করেই বেড়ে ওঠে কবিতার দেহ-বল­রী; বি¯—ৃত হয় কাল থেকে কালাš—রে। ঠিক সব লেখা হয়ত হয়ে ওঠে না; কিন্তু কিছু লেখা ছুঁয়ে যেতে পারে কারো মনÑবিদগ্ধ পাঠককে নাড়িয়ে দেয়; সময়কে স্পর্শ করে জাগাতেও পারে মুগ্ধতার অণুরন। এমন দু’একটি কবিতার খোঁজ আমি ও বাঘার“তে আছে কি না সে তথ্যের চেয়ে জর“রি এলহান হচ্ছেÑঠিক সেরকম কবিতা/কবিতাংশ সৃষ্টিতে আহমেদ মুনীর বদ্ধপরিকর এক কারিগর। তারই আর্দ্র-স্পর্শ মেলে :
জাল টাকার মতো চালাক মানুষেরা আমাদের চারপাশ ঘিরে আছে। তাদের মধ্যখান থেকে একটা রা¯—া খুঁজে বের ক’রে তোকে বাইরে নিয়ে আসবÑসেই সাধ্য কই! তবু এতদিন পর্যš— নিজেকে যে-কথা ব’লে ভুলিয়ে রেখেছিÑতোকেও, মা আমার, সেই ¯^প্নই দেখাব। (আত্মজার প্রতি)
প্রকৃতি, জীবনচেতনা আর ¯^দেশ প্রেমের মানবিক অনুধ্যান আহমেদ মুনীরকে আন্দোলিত করে। আর তাই কবিতা যেন শুধু শব্দ-বর্ণের মিছিল নয়; কতগুলো সিঁড়ি; লেফট রেঞ্জড-রাইট রেঞ্জড লাইন কিংবা জাস্টিফাইড সারিবদ্ধ শিল্পকলা নয়। ‘কেননা সেই গান এবং তার থেকে ছলকে-পড়া সম¯— সুর ভেসে থাকে ঢেউয়ে আর ফেনার মধ্যে’ [এই নদীর জলে শাšি— আছে।’ (এপিটাফ)]Ñমোহাচ্ছন্ন এমন কথাপুঞ্জে অকেশে নদীমাতৃক বাংলাদেশ ভেসে ওঠে।
সবাই ¯^প্ন দেখেন; তবে কারো কারো ¯^প্নের সীমানা চীনের প্রাচীরও কখনো কখনো আটকাতে পারে না। পার্থিব অপ্রাপ্তির বেদনা-শূন্যতা, ঘুম-¯^প্নে পূর্ণতার ডালা সাজিয়ে কত না রমণীয়-মোহনীয় হয়ে ধরা দেয়। চিরš—ন এই বোধের উচ্চারণ ‘অগলগ পাখি’ কবিতায় ধরা দেয় এভাবে :
গতরাতে শহরের যুবকেরা চু¤^ন করেছিল যেসব রমণীকে তাদেরও রাত্রিকালীন স্ফূর্তিকে ঘিরে ছিল শস্যের প্রতিভাহীন কিছু স্মৃতিমাত্র। রাধারমনÑধনপুদির কাহিনী শুনে শুনে ঘুমিয়ে পড়েছিল যারা, রাতল্যার পাশে সেই সব যুবকের অনেকেই না হতে চেয়ে হতে পারেনি ঘুমের ঘোরে তার চেয়ে বেশি কিছু হতে পারে তারা।
আমি ও বাঘার“র আরো কিছু উলে­খযোগ্য কবিতার উদ্ধৃতি কবির ¯^রূপ-অšে^ষা, লেখনরীতি, চিš—াজগৎ, বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চার চিত্রকল্প সম্পর্কে আগ্রহী পাঠকের পাঠ-ুধা নিবৃত্তি/জাগ্রত করবে। সেরকম কবিতার কয়েক ছত্র :
সাহাদের ছোট মেয়েটি কেবল জানল না
তামাবিলের পাথরের মতো শুষ্ক কঠিন দিন
মাঝে মাঝে আসে কী কালো, কী ভয়ানক (যে তবু শ্র“তির অধিকারী)

পথের উপরে আজও কেন বেঁচে আছে এই পাথর!
মাথা নেই, তবু মহৎ চিš—া আছে। হাত নেই তবু
ইচ্ছে আছে। কোথাও যায় না সে। এখানেই তার বাড়ি,
এখানেই ঘর। কেবল জন্ম দেবে বলে শুয়ে থাকে
পথের উপর। (কালো পাথর)

সম¯— গোধূলির লালাভ বিষণœতা ধারণ ক’রে
একদিন আমাকে সে বললো :
এখন আমি কবিতা লিখি না
কারণ আমি নিজ¯^ কফিন তৈরিতে ব্য¯— (পেরেক ঠোকা লোকটা)

বাছুর-হারানো গাভীর মতন শোকে
কাচালংÑনদী উঠেছে আজকে ফুঁসে।
‘কল্পনা নেই, ফিরিয়ে দেব কি ওকে?’
জুমের আগুন বাড়ে হৃদয়ের তুষে। (রাঙামাটি গুচ্ছ)


দুই.
দারিদ্র্যকিষ্ট-অভাবগ্র¯— মানুষের মিছিল দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। এমনি সঙ্গতিহীন; সহায়-স¤^লহারা মানুষের অভিব্যক্তি; চৌকস কথার ভেতর উঠে আসে তথাকথিত দারিদ্র বিমোচন, বিশ্বায়ন, বিশ্বব্যাংকের ফর্মূলা-ক্যাপসুলÑবেসরকারীকরণ, টেকসই অর্থনীতি-সমাজনীতির অপটুত্ব-অš—:সারশূন্যতাÑকবি তারিক টুকুর অ¯ি—ত্ব বাদাম কাব্যগ্রন্থের একটি কবিতা যেন চোখে আঙুল দিয়ে পাঠককে ঠেলে নিয়ে যায় বা¯—বতার আলোয়। তাই ‘এক জন্মান্ধ ভিখিরি আমাকে বলে গেল, পয়সা স্পর্শ করে সে বুঝে গেছে ুধার অনুভূতি কেন গোল লাগে তার কাছে। ুধাই মানুষের ভেতর গোলকের ধারণা দিয়েছেÑএটি ছিল তার সর্বশেষ দাবি। ... তোমাদের ঘুমের ভেতর যতটা রিত হয় রাত তার মিথ্যা জগৎ, দ্ব›দ্বহীন লিখে দিতে পারো? Ñএসব প্রপঞ্চ মাত্র, মঞ্চহীন ধনতন্ত্রের নেড়ী?’ (২২)। অ¯ি—ত্ব বাদাম কাব্যগ্রন্থে সংখ্যাই কবিতার শিরোনাম। সে বিচারে এতে কবিতা আছে ৪০ সংখ্যক।
সাদা কাগজে বর্ণসজ্জাÑকবিতার ভাসমান রূপ; আদৌ কি কোনো রূপ? নিশ্চয় না; ভেতরের অš—ঃস্থিত বোধটাই কবিতা। প্রাঞ্জল; বাড়তি আবরণহীন; ব্যক্তি-অভিজ্ঞতা; উপলব্ধি আর জীবন-দর্শন বিমূর্ত রূপ পেয়েছে :

ফিরবো না এমন কথার ভেতরে যেটুকু অভিমান, তা প্রত্যেকে নাকি বাল্যেই কুড়াই।
মা থেকে, দাদি থেকে, খেলার সঙ্গিনী থেকে। যখন সম¯— সম্পর্ক দূর থেকে দেখা
যায়, ¯^াস্থ্যকরভাবে, যেন দেখি, এই শব্দটির মধ্যে ফেরার ব্যাপারটি যেন চুপে,
নির্বিকার, পুকুরঘাটে বসে আছে

অথচ ফিরে আসে, যেখানে ফেরার কথা হয়ত সেখানেই ফেরে না। তবে ফেরে
কোন গাঁয়ের? যে গাঁয়ে শৈশব শৈশবসঙ্গী নিজ¯^ মোড়া পেতে বসা। ফেরে ঠিক, অজাšে—
হয়তো বা প্রভুর মোরগ হয়ে, গাছ হয়ে অথবা বাড়ির সামনে দিয়ে যাওয়া কোনও বেগানা মরদেহ হয়ে (২৩)

গ্রামাঞ্চলে বহুল প্রচল একটা কথাÑছেলে হাঁটা শিখলে মার কোলে বেশি দিন থাকে না। শহরে গেলে কেউ গ্রামেও ফেরে না; আর যখন ফেরে তখন আর তার কিছু থাকে না। দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা সঞ্চিত সাধারণ্যের এ ধারণা-কথন যেন রূপ পেয়েছে তারিক টুকুর কবিতায়। মানুষকে তার শেকড়ের কাছে ফিরতে হয়; সে ফেরা হয়ত সঙ্গতিহীন-ঠিকানাহী; নিজভূমে পরবাসীর মতো। আরো বৃহৎ রূপকার্থে নশ্বর দেহাবসানে প্রকৃতির কোলে-অšি—ম শয়ানে ফেরা। কবির বলন-চাতুর্য্যে এ দ্বৈতার্থই প্রোজ্জ্বল।
প্রেমনির্ভর ছন্দময় অগ্রসর চিš—া-ভাবনা; নিসর্গ-প্রীতি কিংবা স্মৃতিরোমন্থন তারিক টুকুর কবিতার অন্যতম অনুষঙ্গও বৈকি। ‘হয়তো, অতীত কোলাহলময় মাঠ। তাকে ভুলে যাও। নিভু প্রায় কুÊলীকে ঘিরে তোমার তালাশ হোক ঐ নাকছাবি।’ এই নাকছাবির সন্ধান আদৌ কি মেলে?


তিন
‘মানুষের জানার ¯^াধীনতা, বলার ¯^াধীনতা, বিবেকের তাড়নায় ¯^াধীনভাবে নিজের মতের পে যুক্তি প্রদানের ¯^াধীনতা, অন্য যে কোনো ¯^াধীনতার অনেক ঊর্ধ্বে।’ অ্যারিওপ্যাজিটিকায় জন মিল্টনের এ মতামত মানুষের ¯^াধীনতা সম্পর্কে। আর তিনি যদি কবি হনÑতবে লেখার ¯^াধীনতার পরিধি-প্রাচীর-বেষ্টনীর আবরণ আরো বেশি দরকারি নয়। হ্যাঁ রক্তচু শাসক-শোষকের চোখজ্বালা করা শব্দপুঞ্জ নিয়ে প্রশাসন উদ্বিগ্নÑকঠোর; অনমনীয় হতে পারে। কিন্তু পাঠক-বোদ্ধাদের কাছে তেমন শব্দমালা; কথার সারল্য-দুর্বোধ্যতা সমাজ-বীণের উপাদান নি:সন্দেহে। ঠিক এমনই :
১ ভালোবাসলেই অগত্যা বহুবর্ষণ চোখে...
এই বাঘবন্দী-সিংহবন্দী-হৃদয়বন্দী খেলা
শরীরের পরিভাষায় জাগুক প্রতœবাঘের নখ।
আমি মনোমুগ্ধকর প্রতিমা দেখে কামার্ত হই, যারপরনাই
ছড়িয়ে যৌনির আশ্চর্য বৃতি...
¯—ন ভরে উঠুক স্পর্শকাতরতায়... (বর্ণমালা সিরিজ)

২ শরীর ঝাঁকাই! যদি আত্মা বেরিয়ে আসে
আসিস না কেন শালা!! আমি তোর আমৃত্যু খেলার ঘুঁটি?

৩ জানো কি, যৌনতা এই আলোপৃথিবীর মহাবিস্ময়!
শরীর মন্থনপ্রিয় হতে, দুজনেই দীন; একদা পরাজিত।

উদ্ধৃত অংশের কোথাও কোথাও যেন একটু অর্থবোধকতার ঘাটতিÑআধো আধো বোধগম্যতা ভর করেছে। এ বিষয়ে অবশ্য আলোচ্য কাব্যগ্রন্থ কৃষ্ণপরে জাতিস্মর’র কবি তুহিন দাসের উৎসর্জন স্মর্তব্য : বাংলা কবিতার দুর্বোধ্য পাঠকের প্রতি পুনর্বার। তার এ সরল ¯^ীকারোক্তির সাযুজ্য এ গ্রন্থের অনেক কবিতাতেই অনায়াসলব্ধ। তবে মজার বিষয় হচ্ছে প্রথম পাঠে দুর্বোধ্য; দ্বিতীয পাঠে অর্ধবোধ্য আর তৃতীয় পাঠেও অর্ধবোধ্য। কিন্তু ততণে পাঠাšে— এক ধরনের প্রশাšি—-ছায়াময়তা এসে ভিড়ে। তুহিন দাসের অনেক কবিতাই পুরোটা বোধগম্য হতে পাঠককে বেশ কাঠকয়লা পোড়াতে হবে। কিন্তু যদি হয় ‘চতুর্পদী’র মতো কবিতা। যার সংখ্যাও নিতাš— গৌণ নয় কৃষ্ণপরে জাতিস্মরে। চুতর্পদীর ছোটো কলেবরে সুর-ছন্দ-দ্যোতনা আর মর্মার্থ উপলব্ধিতে ফি নিঃশ্বাসের প্রয়োজন খুব একটা দরকারি না। সাকুল্যে এর লাইন সংখ্যা চার : হেঁটে এলে এতোটা পথÑপদচু¤^নের কাঁটা উত্তোলন;/বৃষ্টিভেজার চুল মুছে তাকালে, ভালো লাগে হরিণীমুদ্রা।/অনিচ্ছা ক্রমে যাই মনঘেরে;/জাগি নির্বাক প্রণয়ভুক।
অ¯^¯ি—কর মেদ; অহেতুক চমৎকারিত্বের বাহাদুরি কিংবা অতিকাব্যিকতার স্থান হয়নি তুহিন দাসের কবিতায়। নিরেট ব্যক্তি-মানস; মনোবিশে­ষণ; স্মৃতিকাতরতা আর অনš— গোপন-জিজ্ঞাসা-প্রশ্ন যৌনতার ভারহীন সঞ্চারণ আপ­ুত করে; মুগ্ধতার শীতল-স্পর্শে উষ্ণতা ছড়ায়।

চার
এ অš—মিল কাকতালীয়; তবে কৌতুহলেরও উদ্রেগ ঘটায় কিঞ্চিৎ। পিয়াস মজিদের কাব্যগ্রন্থ মারবেল ফলের মৌসুমেও ৪০ সংখ্যক কবিতার স্থান হয়েছে। এখানেও সংখ্যা-ই কবিতার শিরোনাম; অনেক পুরোনো স্টাইল। তবে চক্রাকারে চিš—া-কর্মযজ্ঞ; অর্জন-বিসর্জন সবকিছুই চলমান। তাই হয়ত চর্যার কোনো পদ নব্যচেহারায় উপস্থিত হয় আমাদের সামনে; সেটা নেহায়েতই কোন কবির বাহাদুরি। কখনো কখনো আহামরি! সে নবায়ন-নতুনীকরণ।



পাঁচ
তর“ণ কবি আহমেদ মুনীর, তারিক টুকু, তুহিন দাস ও পিয়াস মজিদের কোনো গ্রন্থ এর আগে প্রকাশিত হয়নি। এটাও ঠিক সে অর্থে প্রকাশনা বলতে নারাজ নিসর্গ সম্পাদক।............................. তারপর শিল্প সাহিত্য বিষয়ক খুদে পত্রিকা নিসর্গ এ চার তর“ণের কবিতার পাÊুলিপি কাব্যগ্রন্থের মর্যাদায় মলাটবন্দী করেছে। এসব কবিদের বহু-বর্ণিল অভিস্নাত বিষয়-প্রকরণ-বৈচিত্র্যময় কবিতার ভুবন প্রসারিত হচ্ছে নি:সন্দেহে; তার ছাপ আলোচ্য কাব্যগ্রন্থ চতুষ্টয়ে বিদ্যমান। ৫০ টাকার এক নিসর্গে ৪টি কাব্যগ্রন্থÑদ্রব্যমুল্যের গগণচু¤ি^ লিপ্সার কাছে মহাসাশ্রয় বৈকি!














০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×