প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণণায় হেফাজতের উপর গণহত্যাঃ
সেদিন তখন রাত প্রায় দেড়টা।
আমি কলকাতায় আমার রুমে বসে আছি। হঠাৎ প্রচন্ড গোলাগুলি, গ্রেনেড, রকেট লঞ্চার, ফাইটার প্লেন আর কামানের শব্দ! আমিতো প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেলাম। খাটের নিচে লুকোলাম।
একটু পরে মনে হল আফগানিস্তান বা পাকিস্তান থেকে আসছে শব্দটা।
কিন্তু ছাদে উঠে দেখি- না, বাংলাদেশের দিক থেকেই আসছে শব্দটা! আমিতো থ হয়ে গেলাম! দু'তলার ছাদ থেকে ভাল করে তাকাতেই দেখি মতিঝিলের শাপলা চত্ত্বরে চারপাশে লাখ লাখ সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র্যাব, আনসার, চৌকিদার, ভারতীয় র, রাশিয়ান তাস, আমেরিকান সৈন্য, ন্যাটো, ব্ল্যাক ক্যাট, বি এস এফ ঘিরে ধরেছে আমাদের হেফাজতি ভাইদের!
প্রত্যেকটা বিল্ডিঙয়ের ছাদে ১০/১২টা করে মিগ২৯ কামান আর আনসারের স্নাইপার স্যুটার। আকাশে মুহূর্মুহু উড়ছে একে৪৭ বিমান। আর একটু পরেই শাপলা চত্বরের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে ফ্যাসিবাদী হাসিনা।
হাসিনার হাতে লাল রঙের রুমাল ছিল। সেই রুমাল হাত থেকে ফেলে দিতেই একাধারে কামান, গ্রেনেড, জেট বিমান থেকে বোমা বর্ষণ করা হচ্ছিল।
একেকজন পুলিশ তাদের পিস্তল দিয়ে এক বুলেটেই একসাথে ১০০ থেকে ১৫০ জনকে হত্যা করছিলেন।
১৫ মিনিট পরে সব ঠান্ডা! ফ্যাসিবাদী হাসিনা তখন একটি বাইসাইকেলে চড়ে হিন্দি ছবি জিস্ম্ ২ এর একটি গান শিস দিয়ে গাইতে গাইতে এলাকা ত্যাগ করে।
কাহিনী এখানেই শেষ নয়! যাবেন না প্লিজ!
পরে আমি গুনে দেখলাম ওখানে নারীপুরুষ সবমিলে ৩১ লাখ লাশ! যা ৭১ এর ৩০ লাখকেও ছাড়িয়ে গেছে!
একটু পরে দেখলাম শত শত আফ্রিকার মানুষখেকো মানুষ সেই লাশগুলো একটি একটি করে খেয়ে ফেলছে। অবশেষে ৩২ টি লাশ স্বাদ লাগেনি বলে তারা খায়নি। আর এই ৩২ লাশের খবরই টিভিতে জানতে পারছি আমরা।
আর এভাবেই আমি সেদিন চোখের সামনে দেখি মানবজাতির ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকরতম "গণহত্যা" যা হিটলারের নাৎসি বাহিনীকেও হার মানায়।