somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণণায় হেফাজতের উপর গণহত্যাঃ

০৭ ই মে, ২০১৩ সন্ধ্যা ৬:৩৪
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণণায় হেফাজতের উপর গণহত্যাঃ

সেদিন তখন রাত প্রায় দেড়টা।

আমি কলকাতায় আমার রুমে বসে আছি। হঠাৎ প্রচন্ড গোলাগুলি, গ্রেনেড, রকেট লঞ্চার, ফাইটার প্লেন আর কামানের শব্দ! আমিতো প্রচন্ড ভয় পেয়ে গেলাম। খাটের নিচে লুকোলাম।

একটু পরে মনে হল আফগানিস্তান বা পাকিস্তান থেকে আসছে শব্দটা।

কিন্তু ছাদে উঠে দেখি- না, বাংলাদেশের দিক থেকেই আসছে শব্দটা! আমিতো থ হয়ে গেলাম! দু'তলার ছাদ থেকে ভাল করে তাকাতেই দেখি মতিঝিলের শাপলা চত্ত্বরে চারপাশে লাখ লাখ সেনাবাহিনী, বিজিবি, পুলিশ, র‍্যাব, আনসার, চৌকিদার, ভারতীয় র, রাশিয়ান তাস, আমেরিকান সৈন্য, ন্যাটো, ব্ল্যাক ক্যাট, বি এস এফ ঘিরে ধরেছে আমাদের হেফাজতি ভাইদের!

প্রত্যেকটা বিল্ডিঙয়ের ছাদে ১০/১২টা করে মিগ২৯ কামান আর আনসারের স্নাইপার স্যুটার। আকাশে মুহূর্মুহু উড়ছে একে৪৭ বিমান। আর একটু পরেই শাপলা চত্বরের মাঝে দাঁড়িয়ে আছে ফ্যাসিবাদী হাসিনা।

হাসিনার হাতে লাল রঙের রুমাল ছিল। সেই রুমাল হাত থেকে ফেলে দিতেই একাধারে কামান, গ্রেনেড, জেট বিমান থেকে বোমা বর্ষণ করা হচ্ছিল।

একেকজন পুলিশ তাদের পিস্তল দিয়ে এক বুলেটেই একসাথে ১০০ থেকে ১৫০ জনকে হত্যা করছিলেন।

১৫ মিনিট পরে সব ঠান্ডা! ফ্যাসিবাদী হাসিনা তখন একটি বাইসাইকেলে চড়ে হিন্দি ছবি জিস্‌ম্‌ ২ এর একটি গান শিস দিয়ে গাইতে গাইতে এলাকা ত্যাগ করে।

কাহিনী এখানেই শেষ নয়! যাবেন না প্লিজ!

পরে আমি গুনে দেখলাম ওখানে নারীপুরুষ সবমিলে ৩১ লাখ লাশ! যা ৭১ এর ৩০ লাখকেও ছাড়িয়ে গেছে!

একটু পরে দেখলাম শত শত আফ্রিকার মানুষখেকো মানুষ সেই লাশগুলো একটি একটি করে খেয়ে ফেলছে। অবশেষে ৩২ টি লাশ স্বাদ লাগেনি বলে তারা খায়নি। আর এই ৩২ লাশের খবরই টিভিতে জানতে পারছি আমরা।

আর এভাবেই আমি সেদিন চোখের সামনে দেখি মানবজাতির ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ংকরতম "গণহত্যা" যা হিটলারের নাৎসি বাহিনীকেও হার মানায়।
১০টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…

লিখেছেন বিচার মানি তালগাছ আমার, ০৩ রা মে, ২০২৪ বিকাল ৩:০০



১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঝিনুক ফোটা সাগর বেলায় কারো হাত না ধরে (ছবি ব্লগ)

লিখেছেন জুন, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৯

ঐ নীল নীলান্তে দূর দুরান্তে কিছু জানতে না জানতে শান্ত শান্ত মন অশান্ত হয়ে যায়। ১৯২৯ সালে রবার্ট মোস নামে এক ব্যাক্তি লং আইল্যান্ড এর বিস্তীর্ণ সমুদ্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'

লিখেছেন এমজেডএফ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১০:৪৮


নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ

লিখেছেন নীলসাধু, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২২

আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছাঁদ কুঠরির কাব্যঃ অপেক্ষা

লিখেছেন রানার ব্লগ, ০৩ রা মে, ২০২৪ রাত ১১:২৩



গরমের সময় ক্লাশ গুলো বেশ লম্বা মনে হয়, তার উপর সানোয়ার স্যারের ক্লাশ এমনিতেই লম্বা হয় । তার একটা মুদ্রা দোষ আছে প্যারা প্রতি একটা শব্দ তিনি করেন, ব্যাস... ...বাকিটুকু পড়ুন

×