somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

প্রশ্নোত্তর:----?

২০ শে মার্চ, ২০০৯ দুপুর ১:০৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রশ্নোত্তর:----?
১/ প্রশ্ন: অনেক চেষ্টা করি যাতে নামাযে দাঁড়ালে মন অন্য দিকে না যায়। তবুও হঠাৎ করেই মন অন্য দিকে চলে যায়। নামায পড়লে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। কিন্তু যদি চোখ বুঝে গভীরভাবে নামাযে মন দেই তাহলে মন অন্য দিকে যায় না। চোখ বুঝে নামায পড়লে কি নামায সঠিক হবে.?
উত্তর: চোখ বন্ধ করে নামায পড়লেও নামায শুদ্ধ হবে। তবে যথা সম্ভব চোখ খোলা রেখেই নামায পড়তে চেষ্টা করবে এবং নামাযে মনোনিবেশ করতে হবে।
২/ প্রশ্ন: ইমামের ইকতেদা কখন থেকে করতে হয়? কেউ যদি মসজিদে গিয়ে দেখে যে, ইমাম সাহেব সেজদায় চলে গেছেন তা হলে সে ব্যক্তি কি সাথে সাথে নিয়ত বেঁধে সেজদায় চলে যাবে না কি দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করবে, দ্বিতীয় রাকাতে শরীক হওয়ার জন্য ..?
উত্তর: ইমামকে যে অবস্থায় পাওয়া যাবে, সে অবস্থাতেই নামাযে শরীক হতে হবে। ইমাম যদি সেজদা অবস্থায় থাকেন, তবে সেজদায় গিয়েই শরীক হতে হবে। অপেক্ষা করা ঠিক নয়।
৩/ প্রশ্ন: আমরা জানি রক্ত পান করা হারাম। অথচ সীরাত গ্রন্থে ওহুদ যুদ্ধ প্রসঙ্গে জনৈক সাহাবী কর্তৃক রাসূলে কারীম (সাঃ) এর রক্ত পানের হৃদয়গ্রাহী বর্ণনা পাওয়া যায়। উক্ত সাহাবীর রক্তপানে খুশি হয়ে রাসূল (সাঃ) তাঁকে জান্নাতের সুসংবাদ প্রদান করেন। আমাদের জন্য রক্ত পান করা বৈধ হবে কি না..?
উত্তর: ঘটনাটি হাদীসের কিতাবে রয়েছে। এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে হাদীস বিশেষজ্ঞগণ বলেছেন যে এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা যা একজন সাহাবীর অসাধারণ ভক্তিশ্রদ্ধা ও ব্যক্তিগত আবেগের কারণে ঘটেছিল। যেহেতু হযরত নবী কারীমের পবিত্র দেহনিঃসৃত রক্ত উক্ত সাহাবীর উদরে প্রবেশ করেছিল, এ কারণে তাঁর শরীর জাহান্নামের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। অন্যের রক্তের বেলায় এ বিধান প্রযোজ্য হবে না। দ্বিতীয় ব্যাখ্যাটি হচ্ছে; সম্ভবত: তখনও পর্যন্ত রক্ত পান যে হারাম এ সম্পর্কিত আয়াত নাযিল হয়নি অথবা উক্ত সাহাবী এ বিষয়ে অনবহিত ছিলেন।
৪/ প্রশ্ন: ইসলাম ধর্মে জীবনবীমা জায়েয কি না ? একটু বিষদভাবে আলোচনা করবেন কি...?
উত্তর: বীমা শিল্পের মূল প্রর্বতক হচ্ছেন স্পেনের মুসলমানগণ। তাঁরা সামুদ্রিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বহু সংখ্যক ব্যবসায়ী মিলে পরস্পর সহযোগিতার এমন একটি অঙ্গীকারে আবদ্ধ হতেন যে, যদি ঝড়-তুফান বা অন্য কোন দুর্বিপাকে পড়ে কারো জাহাজ বা মালের কোন ক্ষতি হয় তবে সেই ক্ষতি সকলে মিলে পূরণ করে দিবেন। এ জন্য তাঁরা একটি পরিকল্পিত তহবিল গঠন করতেন। এটাকে তাঁরা ‘তাকাফুল’ নামে অভিহিত করতেন। দীর্ঘ প্রায় তিনশত বছর যাবত তাঁরা অত্যন্ত সাফল্যের সাথে ‘তাকাফুল’ পরিচালনা করেছেন। সমকালীন আলেমগণ এই ব্যবস্থাটিকে জায়েয এবং শরীয়তের মূল প্রেরণার পোষাকরূপে অনুমোদন করেছিলেন। পঞ্চদশ শতকের সূচনালগ্নে স্পেনে মুসলিম শাসনের অবসান হওয়ার পর ভেনিসের ইহুদীরা বীমা শিল্পটি করায়ত্ত্ব করে এবং এতে সুদের সংযোগ ঘটায়। বর্তমান যুগের ইসলামী অর্থনীতিবিদগণ ইসলামী তাকাফুল পুনরুদ্ধারের সাধনায় ব্রতী হয়েছেন। মুসলিম বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে তাকাফুল বা বীমা প্রচলিত হয়েছে এবং ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের বাংলাদেশেও ইসলামী বীমার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বলাবাহুল্য যে, বীমা যদি শরীয়তের বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হয় তবে তা অবশ্যই জায়েয হবে। আর যদি সুদের ভিত্তিতে পরিচালিত হয় তবে সেটা হারাম হবে।
৫/ প্রশ্ন: কোন কোন এলাকায় মেয়েরা বয়ঃপ্রাপ্ত হলে কিংবা নববধূ প্রথম সন্তান সম্ভবা হলে ধুমধামপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সবাইকে জানানো হয়। এই রূপ অনুষ্ঠান করা জায়েয কি না ..?
উত্তর: মেয়েরা প্রথম ঋতুমতি হলে ঢোল পিটিয়ে আশপাশের লোকদের জানিয়ে দেয়ার রীতি প্রাচীনকালের কোন কোন ধর্মস¤প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত ছিল বলে জানা যায়। এটা বর্বর কালের রীতি। ইসলামী শরীয়তে এরূপ বর্বরতা কোন অবস্থাতেই বৈধ নয়। নববধূর গর্ভে বাচ্চা আসার পর তা নিয়ে লোক জানাজানি বা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনন্দ প্রকাশ করার রীতিও ইসলামী নিয়ম-নীতিতে গ্রহণযোগ্য নয়।


৩টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমার বাকস্বাধীনতা সব সময়ই ছিলো, এখনো আছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯



ছোটকালে ক্লাশে অপ্র‌য়োজনীয় কথা বলে, অকারণ অভিযোগ করে, অন্যকে কটু কথা বলে শিক্ষকের মার খেয়েছিলেন নাকি? আমি অপ্রয়োজনীয় কথা বলে ক্লাশে কিংবা সহপাঠিদের বিরক্তির কারণ হইনি; ইহার পেছনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিডলাইফ ক্রাইসিস: বাঁচতে হলে জানতেই হবে

লিখেছেন মন থেকে বলি, ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:০০



"ধুর ছাই!
কিচ্ছু ভাল্লাগে না।
বা**, কী করলাম এতোদিন।
সব ফালতু।"


ক্যালেন্ডার কী বলছে? চল্লিশ পেরিয়েছে?

তাহলে দশটা মিনিট দিন। কারণ ব্যাপক সম্ভাবনা ৯৯% যে এই মুহূর্তে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের বাড়ির কাজের বুয়া যদি ব্লগে আসত ! :D

লিখেছেন অপু তানভীর, ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:২৩

কয়েক বছর আগের কথা। আমাদের বাড়ির দীর্ঘদিন এক মহিলা কাজ করেছেন । তারপর তার ছেলেদের অবস্থা একটু ভাল হয়ে গেলে আর তাকে কাজ করতে দেয় নি। তবে অভ্যাসের কারণে বলতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগ লিখেছি ১১ বছর ১ সপ্তাহ

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই অক্টোবর, ২০২৪ রাত ৯:৪২


গত কয়েকমাস যাবত চাকরিগত ঝামেলায় ব্লগে তেমন সময় দিতে পারিনি। দেশের পরিস্থিতির মতো আমার পরিস্থিতিও ছিল টালমাটাল। আগের চাকরি ছেড়ে নতুন চাকরি টিকিয়ে রাখতে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে রাস্তায় চলেছি। অফিসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ এবং কিছু কথা......

লিখেছেন জুল ভার্ন, ১৪ ই অক্টোবর, ২০২৪ সকাল ১০:৩০

আমাদের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ এবং কিছু কথা.........

আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আমাদের সফলতার চেয়ে ব্যর্থতার বিষাদময় গ্লানির সঙ্গেই বোধকরি বেশি সম্পর্ক। কদাচিৎ কোনো বড় দলকে পরাজিত করার পর আমরা পুরো বাংলাদেশ এখনো আবেগে আপ্লুত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×