প্রশ্নোত্তর:----?
১/ প্রশ্ন: অনেক চেষ্টা করি যাতে নামাযে দাঁড়ালে মন অন্য দিকে না যায়। তবুও হঠাৎ করেই মন অন্য দিকে চলে যায়। নামায পড়লে সন্দেহ সৃষ্টি হয়। কিন্তু যদি চোখ বুঝে গভীরভাবে নামাযে মন দেই তাহলে মন অন্য দিকে যায় না। চোখ বুঝে নামায পড়লে কি নামায সঠিক হবে.?
উত্তর: চোখ বন্ধ করে নামায পড়লেও নামায শুদ্ধ হবে। তবে যথা সম্ভব চোখ খোলা রেখেই নামায পড়তে চেষ্টা করবে এবং নামাযে মনোনিবেশ করতে হবে।
২/ প্রশ্ন: ইমামের ইকতেদা কখন থেকে করতে হয়? কেউ যদি মসজিদে গিয়ে দেখে যে, ইমাম সাহেব সেজদায় চলে গেছেন তা হলে সে ব্যক্তি কি সাথে সাথে নিয়ত বেঁধে সেজদায় চলে যাবে না কি দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করবে, দ্বিতীয় রাকাতে শরীক হওয়ার জন্য ..?
উত্তর: ইমামকে যে অবস্থায় পাওয়া যাবে, সে অবস্থাতেই নামাযে শরীক হতে হবে। ইমাম যদি সেজদা অবস্থায় থাকেন, তবে সেজদায় গিয়েই শরীক হতে হবে। অপেক্ষা করা ঠিক নয়।
৩/ প্রশ্ন: আমরা জানি রক্ত পান করা হারাম। অথচ সীরাত গ্রন্থে ওহুদ যুদ্ধ প্রসঙ্গে জনৈক সাহাবী কর্তৃক রাসূলে কারীম (সাঃ) এর রক্ত পানের হৃদয়গ্রাহী বর্ণনা পাওয়া যায়। উক্ত সাহাবীর রক্তপানে খুশি হয়ে রাসূল (সাঃ) তাঁকে জান্নাতের সুসংবাদ প্রদান করেন। আমাদের জন্য রক্ত পান করা বৈধ হবে কি না..?
উত্তর: ঘটনাটি হাদীসের কিতাবে রয়েছে। এর ব্যাখ্যা প্রসঙ্গে হাদীস বিশেষজ্ঞগণ বলেছেন যে এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা যা একজন সাহাবীর অসাধারণ ভক্তিশ্রদ্ধা ও ব্যক্তিগত আবেগের কারণে ঘটেছিল। যেহেতু হযরত নবী কারীমের পবিত্র দেহনিঃসৃত রক্ত উক্ত সাহাবীর উদরে প্রবেশ করেছিল, এ কারণে তাঁর শরীর জাহান্নামের জন্য নিষিদ্ধ হয়ে গিয়েছিল। অন্যের রক্তের বেলায় এ বিধান প্রযোজ্য হবে না। দ্বিতীয় ব্যাখ্যাটি হচ্ছে; সম্ভবত: তখনও পর্যন্ত রক্ত পান যে হারাম এ সম্পর্কিত আয়াত নাযিল হয়নি অথবা উক্ত সাহাবী এ বিষয়ে অনবহিত ছিলেন।
৪/ প্রশ্ন: ইসলাম ধর্মে জীবনবীমা জায়েয কি না ? একটু বিষদভাবে আলোচনা করবেন কি...?
উত্তর: বীমা শিল্পের মূল প্রর্বতক হচ্ছেন স্পেনের মুসলমানগণ। তাঁরা সামুদ্রিক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বহু সংখ্যক ব্যবসায়ী মিলে পরস্পর সহযোগিতার এমন একটি অঙ্গীকারে আবদ্ধ হতেন যে, যদি ঝড়-তুফান বা অন্য কোন দুর্বিপাকে পড়ে কারো জাহাজ বা মালের কোন ক্ষতি হয় তবে সেই ক্ষতি সকলে মিলে পূরণ করে দিবেন। এ জন্য তাঁরা একটি পরিকল্পিত তহবিল গঠন করতেন। এটাকে তাঁরা ‘তাকাফুল’ নামে অভিহিত করতেন। দীর্ঘ প্রায় তিনশত বছর যাবত তাঁরা অত্যন্ত সাফল্যের সাথে ‘তাকাফুল’ পরিচালনা করেছেন। সমকালীন আলেমগণ এই ব্যবস্থাটিকে জায়েয এবং শরীয়তের মূল প্রেরণার পোষাকরূপে অনুমোদন করেছিলেন। পঞ্চদশ শতকের সূচনালগ্নে স্পেনে মুসলিম শাসনের অবসান হওয়ার পর ভেনিসের ইহুদীরা বীমা শিল্পটি করায়ত্ত্ব করে এবং এতে সুদের সংযোগ ঘটায়। বর্তমান যুগের ইসলামী অর্থনীতিবিদগণ ইসলামী তাকাফুল পুনরুদ্ধারের সাধনায় ব্রতী হয়েছেন। মুসলিম বিশ্বের বেশ কয়েকটি দেশে তাকাফুল বা বীমা প্রচলিত হয়েছে এবং ইসলামী শরীয়ত অনুযায়ী পরিচালিত হচ্ছে। আমাদের বাংলাদেশেও ইসলামী বীমার কার্যক্রম শুরু হয়েছে। বলাবাহুল্য যে, বীমা যদি শরীয়তের বিধান অনুযায়ী পরিচালিত হয় তবে তা অবশ্যই জায়েয হবে। আর যদি সুদের ভিত্তিতে পরিচালিত হয় তবে সেটা হারাম হবে।
৫/ প্রশ্ন: কোন কোন এলাকায় মেয়েরা বয়ঃপ্রাপ্ত হলে কিংবা নববধূ প্রথম সন্তান সম্ভবা হলে ধুমধামপূর্ণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে সবাইকে জানানো হয়। এই রূপ অনুষ্ঠান করা জায়েয কি না ..?
উত্তর: মেয়েরা প্রথম ঋতুমতি হলে ঢোল পিটিয়ে আশপাশের লোকদের জানিয়ে দেয়ার রীতি প্রাচীনকালের কোন কোন ধর্মস¤প্রদায়ের মধ্যে প্রচলিত ছিল বলে জানা যায়। এটা বর্বর কালের রীতি। ইসলামী শরীয়তে এরূপ বর্বরতা কোন অবস্থাতেই বৈধ নয়। নববধূর গর্ভে বাচ্চা আসার পর তা নিয়ে লোক জানাজানি বা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আনন্দ প্রকাশ করার রীতিও ইসলামী নিয়ম-নীতিতে গ্রহণযোগ্য নয়।
আলোচিত ব্লগ
ইউনুস সাহেবকে আরো পা্ঁচ বছর ক্ষমতায় দেখতে চাই।

আইনশৃংখলা পরিস্থিতির অবনতি পুরো ১৫ মাস ধরেই ছিলো। মব করে মানুষ হত্যা, গুলি করে হত্যা, পিটিয়ে মারা, লুট হওয়া অস্ত্র উদ্ধার করতে না পারা, পুলিশকে দূর্বল করে রাখা এবং... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...
হাদির যাত্রা কবরে, খুনি হাসছে ভারতে...

হ্যাঁ, সত্যিই, হাদির চিরবিদায় নিয়ে চলে যাওয়ার এই মুহূর্তটিতেই তার খুনি কিন্তু হেসে যাচ্ছে ভারতে। ক্রমাগত হাসি।... ...বাকিটুকু পড়ুন
'জুলাই যোদ্ধারা' কার বিপক্ষে যুদ্ধ করলো, হ্তাহতের পরিমাণ কত?

সর্বশেষ আমেরিকান ক্যু'কে অনেক ব্লগার "জুলাই বিপ্লব" ও তাতে যারা যুদ্ধ করেছে, তাদেরকে "জুলাই যোদ্ধা" ডাকছে; জুলাই যোদ্ধাদের প্রতিপক্ষ ছিলো পুলিশ, র্যাব, বিজিবি, ছাত্রলীগ; জুলাই বিপ্লবে টোটেল হতাহতের... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল কারা এবং ক্রোধের আক্রশের শিকার কারা ?
হাদিকে মারল জামাত/শিবির, খুনি নাকি ছাত্রলীগের লুংগির নীচে থাকা শিবির ক্যাডার, ডাকাতি করছিল ছেড়ে আনলো জামাতি আইনজীবি , কয়েকদিন হাদির সাথে... ...বাকিটুকু পড়ুন
হাদির হত্যাকান্ড ও সরকারের পরবর্তি করণীয়!
হাদির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা। সে দেশকে ভালোবেসে, দেশের মানুষকে ইনসাফের জীবন এনে দিতে সংগ্রাম করেছে। তাকে বাঁচতে দিলো না খুনিরা। অনেক দিন ধরেই তাকে ফোনে জীবন নাশের হুমকি দিয়ে এসেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।