মনবাগানে চড়ুইভাতি
নাসীর মাহমূদ
আমার শ্বেত পায়রার খাঁচায়
এসেছো তুমি অতিথি এক
সকালেও ছিলে না,জানি থাকবেও না রাত শেষে
ডানায় ছড়িয়ে শুভ্রতা আর মুগ্ধতার ঘ্রাণ
যাবে চলে সুদূরে,কাশফুল মেঘ পেরিয়ে
শূন্য নীলিমায়-
যেখানে বেঁধেছো ঘর নীল জোছনায়।
জানি তুমি সাইবেরিয় হংসটি নও
নও কোন গাঙচিলের ছেঁড়া সাদা পালক
যমুনাতীরের শুভ্র কাশ, তার কন্যা তুমি
মৃদু ছোঁয়ায় হয়ে ওঠো সোনার চেয়ে দামি
ঘাসবনের এক আলের ধারে ঘটিবাটি
এটা সেটা আরও কতো কী সাজিয়ে-
বললে তুমি খেলা হবে মনবাগানে চড়ুইভাতি
খেলার মাঝে ঝাল-আঙুলে রক্তজবা
মরিচবাটা বেগুনফুলের মিথ্যে রেঁধে
বললে 'আয়! ছুঁয়ে দেবো! চিমটি দেবো কেটে
পদ্মজলে ঢিলটি ছুঁড়ে হেসে লুটেপুটে:
চোখের পাতায় লিখে দিলাম সপ্তসুরে:
"মনবনে তুই সোনার হরিণ
তুই আবার ছুঁবি কী রে
মনের যত ভাবনা ফড়িং
সেসব নাচে তোকেই ঘিরে…
চোখের পাতায় রাগের ভান
কতোই বা তুই রাখবি চেপে
দেখছি তো উচ্ছ্বাসের বাণ
হৃদয় নদীর দুকূল ছেপে"….
চড়ুইভাতির কড়ইপাতি এলোমেলো সব ছড়িয়ে
পেছন পেছন গোল্লাছুটে চিমটি কাটার নখটি নিয়ে
গাছের আড়াল হয়ে কী লাভ
মন জানালা খোলাই ছিল
গুচ্ছ বেলির উচ্চ হাতে
পরীর মতো ধরাই দিল
পরী রে তুই এক নিমেষে এপার থেকে ওপারে যাস
সাত সমুদ্র ঢেউ পেরিয়ে বিজলিবেগে কাশবনে ঘাস
ঘাসের বনে সাদা ফুলে বসতি তোর
মনবাগানে চড়ুইভাতির বাসন্তী ভোর।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০১৬ বিকাল ৪:৪৩