somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ভয়ংকর রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের হোতা, হলুদ সাংবাদিক মাহমুদুর রহমান এবং তার সহচরদের মুখোশ উন্মোচন

১৮ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৮:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

একটি জাহাজের ক্যাপ্টেন যদি দক্ষ হন তাহলে সেই জাহাজের যাত্রীরা নিরাপদে এবং সাচ্ছন্দে গন্তব্যের দিকে ধাবিত হন আর ক্যাপ্টেন যদি অদক্ষ হন তাহলে জাহাজ যে কোন সময় দিকভ্রান্তে পরিণত হতে পারে এমনকি যে কোন সময় জাহাজের যাত্রীদের প্রাণনাশের সম্ভাবনা থাকে। সম্পাদক হচ্ছেন গণমাধ্যম প্রতিষ্ঠানের প্রাণপুরুষ, তার দ্বায়িত্ব হল একটি গণমাধ্যমের সঠিকভাবে হাল ধরে সঠিক পথে পরিচালনা করা, যেমনটি করে থাকেন একজন জাহাজের ক্যাপ্টেন।

কিন্তু একজন সম্পাদকের যদি সাংবাদিকতা স্বম্পর্কে কোন পূর্বঅভিজ্ঞতা না থাকে, তবে সে সংবাদমাধ্যমের অবস্থা কী রকম হবে তা সহজেই অনুমান করা যায়। সাংবাদিকতাবিষয়ক বিশেষজ্ঞদের মতে সম্পাদক শুধু একজন ব্যাক্তি নন সম্পাদক নিজেই একটি প্রতিষ্টান, একটি প্রতিষ্ঠান যেমন দু-একদিনে গড়ে উঠেনা ঠিক তেমনি একজন প্রকৃত সম্পাদকও একদিনে গড়ে উঠেনা না।

পৃথিবীর প্রতিটি দেশের মূলধারার গণমাধ্যমেই দীর্ঘদিনের অভিঙ্গতা সম্পন্ন মেধাবীরাই সম্পাদকের মত গুরুত্বপূর্ণ পদ অলংকৃত করেন। তারা দিনের পর দিন কাজের মধ্য দিয়ে সম্পাদক হিসেবে কাজ করার যোগ্যতা অর্জন করেন। বাংলাদেশের অনেক সম্মানিত সাংবাদিক যেমন, তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া, বজলুর রহমান, এবিএম মূসা সহ অনেকেই পত্রিকায় সাব-এডিটর কিংবা রিপোর্টার হিসেবে যোগ দিয়ে বিভিন্ন পদে দায়িত্ব পালন করে একসময় সম্পাদক হিসেবে কাজ করার সুযোগ লাভ করেছেন।

পৃথিবীতে একমাত্র বাংলাদেশেই বোধ হয় কোনো সংবাদপত্র বা সংবাদমাধ্যমের মালিক সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের সম্পাদক বা প্রধান হওয়া অথবা তার পছন্দের কোন পূর্বাভিজ্ঞতা বিহীন রাজনৈতিক ব্যাক্তি অথবা আমলাকে সম্পাদক বানানোর নজির রয়েছে। অনভিজ্ঞ ব্যাক্তিকে সম্পাদক বানানো যে কোনো সংবাদমাধ্যমের নিরপেক্ষ দায়িত্ব পালনের ক্ষেত্রে এটি একটি বড় বাধা হিসেবে কাজ করে। কেননা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠানের প্রধানের মতো সংবাদমাধ্যমেও সম্পাদক দলনেতার দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু অন্য ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সংবাদমাধ্যমের অনেক ব্যাবধান। সংবাদমাধ্যমে একটি সৃজনশীল দলের দলনেতা হলেন সম্পাদক। সম্পাদক নিজেই যদি সে সৃজনশীলতা সম্পর্কে দক্ষ না হন, তবে সেখানে আর যা-ই হোক, সাংবাদিকতা হতে পারে না। কিন্তু বাংলাদেশে অনভিজ্ঞ রাজনৈতিক ব্যাক্তিত্ব, সাবেক আমলা, গার্মেন্টস ব্যবসায়ী, সিরামিক ব্যবসায়ী, প্রসাধনীর ব্যবসায়ী থেকে এনজিওর মালিকও সংবাদমাধ্যমের সম্পাদকীয় পদ অলংকৃত করছেন।

একজন অনভিজ্ঞ অথবা দলকানা বাক্তিকে সম্পাদক বানানো আর ছাগল দিয়ে হাল চাষ করানো একই কথা। কারন জনসম্পৃক্ত এই সৃজনশীল প্লাটফর্মের দ্বায়িত্ব, সাংবাদিকতায় অদক্ষ কোন বিশেষ দলের দালালের হাতে গেলে সে তার রাজনৈতিক অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে সেই সংবাদমাধ্যমকে বিশেষ কোন দলের ভোট পাওয়ার হাতিয়ার হিসেবে ব্যাবহার করবে। আর এই স্বার্থ হাসিলের জন্য সে সাংবাদিকতার সব নিয়মকান লংঘন করে বিভ্রান্তি ছড়াতে অথবা নিরপেক্ষতার মুখে চুনকালি মেখে একটি সংবাদমাধ্যমকে অপপ্রচারের মেশিনে পরিণত করতেও দ্বিধাবোধ করবে না। যার জলন্ত উদাহারন হল মাহমুদুর রহমান।



প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৭ সালে ডিগ্রি অর্জনকরা মাহমুদুর রহমান পেশাজীবনের উত্তরণ ঘটে বেক্সিমকোর মাধ্যমে। পরে বিসিআইসি, মুন্নু এবং শাইনপুকুর সিরামিকসে মধ্যম সারির এক্সিকিউটিভ পদে চাকরি করা মাহমুদুর বিএনপি সরকারের শেষভাগে এসে কিছুদিনের জন্য প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদায় জ্বালানি মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা নিযুক্ত হন । উপদেষ্টা থাকার দিনগুলোতেও বিভিন্ন বিতর্কিত বক্তব্যের জন্য বহুবার সংবাদপত্রের শিরোনামে আসেন মাহমুদুর।

মাঝখানে কিছুদিন দেশের বাইরে থাকা মাহমুদুর ১৯৯৯ সালে আরটিসান সিরামিকস নামে নিজের কোম্পানি খোলেন।উত্তরায় ওই কোম্পানির কার্যালয়েই ২০০৬ সালে রাতে পুলিশসহ জনপ্রশাসনের বেশ কয়েকজন কর্মকর্তাকে নিয়ে বৈঠকে বসেন তিনি। খবর পেয়ে গণমাধ্যমকর্মীরা সেখানে গেলে বৈঠকে যোগ দেওয়া অনেক কর্মকর্তা মুখ ঢেকে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেন।



এক পর্যায়ে ২০০৮ সালে আর্থিকভাবে দুর্দশাগ্রস্ত আমার দেশের ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব নেন মাহমুদুর রহমান। তখন থেকেই তিনি ওই পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক।

হঠাৎ করে হাতে আসমান পাওয়া, অনভিজ্ঞ, অপেশাদার, বিশেষ এক রাজনৈতিক দলের দালাল মাহমুদুর রহমান সংবাদপত্রের সম্পাদক সেজে সাংবাদিকতার ন্যায় নীতি সম্পূর্ণরুপে বিসর্জন দিয়ে, ধীরে ধীরে আমার দেশ পত্রিকাকে তৃতীয় শ্রেণির লিফলেট পত্রিকায় (অনেকের মতে টয়লেট পেপারে) পরিণত করেন।

সংবাদপত্রের মূলনীতি বিন্দুমাত্র অনুসরণ না করে বিভিন্ন দল এবং গুষ্ঠির বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়ে বিশেষ এক দলের ভোটার সংগ্রহের লক্ষে নিয়মিত বিভিন্ন ধরনের মিথ্যা সংবাদ পরিবেশন করতে থাকা মাহমুদুর রহমান অল্পদিনেই আমার দেশ পত্রিকাকে, আমার পাকিদেশে পরিণত করেন।


সাথে, রাজাকার রক্ষার মিশন বাস্তবায়নে নামা মাহমুদুর রহমান যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বানচালের চেষ্ঠার কোন কমতি করেননি।

যুদ্ধাপরাধীদের গ্রেফতার করার পরপরই গত জানুয়ারি মাসে ‘আলেমদের (সাঈদি, কাদের, আজম ) নির্যাতনের প্রতিবাদে কাবার ইমামদের মানববন্ধন’ শিরোনামে আমার দেশের অনলাইন সংস্করণে একটি ‘মিথ্যা সংবাদ’ প্রকাশ করেন মাহমুদুর রহমান। ধর্মানুভুতিতে আঘাতকরা মিথ্যা এ সংবাদ প্রকাশের পরপর ধর্মপ্রাণ সহ সর্বস্থরের মানুষের ব্যাপক সমালোচনা ও তোপের মুখে পড়ে সংবাদটি প্রত্যাহার করে মাহমুদুরের পত্রিকা।



শুধু তাই নয়, রাজাকারদের রক্ষার মিশন বাস্তবায়নের লক্ষে নিয়মিতভাবে বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে ধর্মীয় উস্কানি দিয়ে রাজাকারদের পক্ষে ধর্মিয় উন্মাদনা সৃষ্টির চেষ্ঠায় মত্ত থাকেন মাহমুদুর রহমান। তিনি এ দেশবিরোধী মিশন বাস্তবায়নের লক্ষে কখনও আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রধান নিজামুল হকের কথিত স্কাইপ কথোপকথন প্রকাশ করেন ।

কখনও অল্পসংখ্যক বিপথগামী ধর্মবিদ্ধেষী ব্লগারের ব্যাক্তিগত মতামতকে পুঁজি করে উস্কানীমূলক সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে সকল ব্লগারকে ধর্মাবমাননাকারী / ইসলামের শত্রু আখ্যায়িত করে ধর্মপ্রাণদের বিপক্ষে দাড় করিয়ে ব্লগারদের জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা শুরু করেন।



কখনও আবার তথাকথিত অরাজনৈতিক(!) সংঘঠন হেফাজতে ইসলামকে ধর্ম অবমাননার প্রতিবাদের নামে, রাজাকারদের রক্ষা করে বিশেষ এক রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতায় বসানোর মিশন বাস্তাবয়নের লক্ষে লংমার্চ করতে উৎসাহ প্রদান করেন।





বিভিন্ন সময় বিভৎস ছবি এবং মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে সাংবাদিকতার মূলনীতি লংঘন করলেও মূলত যুদ্ধাপরাধীদের বিচারকার্য শুরু হওয়ার পর থেকেই, খুলস ছেড়ে বেরিয়ে আসেন মাহমুদুর রহমান, তিনি যুদ্ধপরাধীদের বিচারকার্য বাতিল করার লক্ষে নিয়মিত মিথ্যাচার-প্রোপাগাণ্ডা, ইসলাম নিয়ে বাজে ধরনের সুড়সুড়ি, বিভ্রান্তি ছড়িয়ে দেশকে গৃহযোদ্ধে দিকে ধাবিত করে মূলত ইসলাম, স্বাধীনতা এবং রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে কাজ করা শুরু করেন, নিচে তার পত্রিকার কিছু স্ক্রিনশট দেখলেই সকল বিবেকবান মানুষের কাছেই তা পরিস্কার হয়ে যাবে।


গত ৯ ফেব্রুয়ারি পত্রিকাটির শিরোনাম ছিল- “শাহবাগে ফ্যাসিবাদের পদধ্বনি: গৃহযুদ্ধের উস্কানি, বক্তাদের গণমাধ্যমের বিরুদ্ধে বিষোদ্গার : আওয়ামী বুদ্ধিজীবীদের রণহুঙ্কার।”



ওইদিনের আরেকটি শিরোনাম ছিল- “ইসলাম প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধভাবে ঝাঁপিয়ে পড়ার সময় এসেছে।”


শাহবাগ আন্দোলনের মধ্যেই ব্লগার আহমেদ রাজীব হায়দার নিহত হওয়ার পর ঢালাওভাবে আন্দোলনকারীদের ‘নাস্তিক’ আখ্যায়িত করে প্রতিবেদন প্রকাশ শুরু করে আমার দেশ।



১৮ ফেব্রুয়ারি তাদের প্রধান শিরোনাম ছিল- “ভয়ঙ্কর ইসলামবিদ্বেষী ব্লগারচক্র।”



এরপর ১৯ ফেব্রুয়ারি ‘ব্লগারদের ইসলামবিদ্বেষী প্রচারণায় আলেমদের ক্ষোভ: নাস্তিকদের প্রতিরোধে সর্বাত্মক আন্দোলনের ঘোষণা’;



ওইদিন আমারদেশে প্রকাশিত আরেক জ্ঞানপাপীর উস্কানীমূলক ফতোয়া




২০ ফেব্রুয়ারি ‘ব্লগে নাস্তিকতার নামে কুৎসিত অসভ্যতা’;




২১ ফেব্রুয়ারি ‘শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটূক্তির জন্য শাস্তি : রাসুল (সা.) অবমাননাকারীদের বাহবা!’;

২২ ফেব্রুয়ারি ‘ধর্ম ও আদালত অবমাননা করছে ব্লগারচক্র’; ২৩ ফেব্রুয়ারি ‘রাসুল (সা.) অবমাননার প্রতিবাদে গণবিস্ফোরণ: গাইবান্ধায় নিহত ৩ সিলেটে ১ ঝিনাইদহে ১ সারাদেশে আহত ৪ হাজার’; ২৫ ফেব্রুয়ারি ‘পুলিশের নির্বিচারে আলেম হত্যা: স্বতঃস্ফূর্ত হরতাল’ শিরোনামে একের পর এক উস্কানিমূলক সংবাদ প্রকাশ করে পত্রিকাটি।


যুদ্ধাপরাধী দেলাওয়ার হোসেন সাঈদীর রায়ের আগে ২৭ ফেব্রুয়ারি আমার দেশের প্রধান শিরোনাম ছিল- ‘চট্টগ্রামে পেশাজীবীদের বিশাল সমাবেশে বক্তারা : নাস্তিকদের পৃষ্ঠপোষক ফ্যাসিবাদী সরকারকে উত্খাত করা হবে: মাহমুদুর রহমান গ্রেপ্তার হলে লাগাতার হরতাল’।


ওইদিন পুলিশ এবং আলেম সমাজকে মুখোমুখী দাড় করিয়ে উস্কানীমূল একটি শিরোনাম - রাষ্ট্রধর্ম ইসলামের দেশে নাস্তিক ব্লগারদের পক্ষে আওয়ামী পুলিশের ভূমিকা : এগারো দিনে পুলিশ গুলি করে মারল ১৭ জনকে



যার ফলশ্রুতিতে দেশব্যাপি পুলিশ হত্যার নির্মম খেলায় মেতে উঠে জামাত-শিবির সমর্থকরা (যা আজও বন্ধ হয়নি)



এমনকি সাঈদীর রায়ের দিন ২৮ ফেব্রুয়ারির তারা প্রধান শিরোনাম করে, ‘মাওলানা সাঈদীর রায় আজ: দেশব্যাপী হরতালের ডাক’;



আর সাঈদির রায় ঘোষনার পরের দিন ১ মার্চের প্রধান শিরোনাম ছিল
অগ্নিগর্ভ দেশ গুলিতে নিহত ৫৬ : পুলিশের নারকীয় হত্যাযজ্ঞ, একদিনে গুলি করে মানুষ খুনের রেকর্ড....



ওইদিনের আরেকটি শিরোনাম মাওলানা সাঈদীর ফাঁসির আদেশ শাহবাগিদের ‘ফাঁসি চাই’ স্লোগানের বিজয়

ওই সংবাদটি পড়ার পর, খবরের নিচের একটি মন্তব্যে চোখ আটকে যায়, ওই মন্তব্যে মন্তব্যদাতা এক বিশেষ দলকে গালি দেন এবং তার প্রতি উত্তরে একজন প্রতিবাধ করে তাকে গালি না দিতে অনোরোধ করলে সেই গালীদাতা আরেকটি মন্তব্যে উত্তর দেন , তার উত্তর পড়লেই আমারদেশ রাজাকারবিরোধী আন্দোলনকারীদের পাঠকের কাছে কিভাবে তোলে ধরেছে, এবং রাজাকারদের বিচার বাধাগ্রস্ত করায় আমারদেশের ভুমিকা কতটুকু ছিল তা ফুটে উঠেছে।



নিচে তা হুবহু তোলে ধরা হল-
এসব ভাষাবাক্য জীবনে আমি বলিনি। কিনতু আজ মুখে চলে আসতেছে। আমি বি,এন,পি আর আওয়ামিলিগ বুঝিনা।আমাদের এমন কাউকে সমর্থন করা উচিত না যাদের সকল কার্যকলাপে বিধর্মিরা খুশি হয়।পার্টির গুলি মারি। সবার উপরে ধর্ম। If you are a Muslim please change your mind. আমাদের প্রিয় নবী হযরত মহামমল (সঃ) যখন কাফেরদের সাথে জিহাদ করেছিল তখন তারা বুঝতে পারেনি কার সাথে কি করছে। আর যদি বুঝত তাহলে কাফের হতনা।



আমার দেশ আইন লঙ্গন করে বহু ভিবৎস ছবি প্রকাশ করেছে, সবগুলা প্রকাশ করলে এই পোস্ট কয়েকমাইল লম্বা হবে, তার একটি তোলে ধরা হল



আমারদেশ নিয়মিত বহু মিথ্যা সংবাদ প্রকাশ করেছে, নিচে প্রমাণ সহ একটি সংবাদ প্রকাশ করা হল (এই ছবির ক্যাপশনে লিখা আছে, নয়াপল্টনে ডিবির চলন্ত মাইক্রোবাস থেকে ফেলে দেয়া হয়েছে এমপি শাম্মি আখতারকে )



এই ঘঠনার আরেকটি ছবি, নিজের চোখেই দেখুন এমপি শাম্মি আখতারকে কি ফেলে দেয়া হয়েছে নাকি নিজেই ধস্থাধস্থির এক পর্যায়ে পড়ে গেছেন !


উপরের গুটিকয়েক সংবাদ ছাড়াও, নিয়মিত অপপ্রচার এবং বিভ্রান্তিমূলক সংবাদ প্রকাশের মাধ্যমে দেশের জন্য সন্ত্রাস-সাম্প্রদায়িকতার বিষবাষ্প ছড়াতে থাকেন মাহমুদুর যা অনৈতিক এবং অপরাধ, অথচ রাষ্ট্র কোনো এক অদৃশ্য কারণে কিছুই যেন করতে পারছিলনা এতদিন। দিনের পর দিন এই মাহমুদুর আইন লঙ্গন করেছেন রাষ্ট্র এবং রাষ্ট্রের জনগণকে নিয়ে গেছেন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার দারপ্রান্তে। অথচ রাষ্ট্রের নীরব ভূমিকাতে মনে হচ্ছিল মাহমুদুর রহমান যেন কিছুই করেননি।

অপপ্রচার, বিভ্রান্তি, ধর্মঅবমাননা, স্পষ্ঠ আইন লঙ্গন, রাষ্ট্র বিরোধীতা, সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা সৃষ্ঠির চেষ্ঠা, স্বাধীনতা বিরোধীদের রক্ষার চেষ্ঠা সহ বহু অপরাধে অপরাধী মাহমুদুর রহমানকে দীর্ঘদিন ধরে আটক না করে হাস্যকর সহশীলতার পরিচয় দেয়া রাষ্ট্রযন্ত্র এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে তাকে আটক করে।

তারপর থেকে শুরু হয় বিশেষ প্রজাতির বুদ্ধিজিবী ফরহাদ মাজহারদের মায়াকন্না ! মাহমুদুর রহমানের কোন দুষ খুঁজে না পাওয়া এই বিশেষ দলের গৃহপালিত শুশীলদের কল্যানে “সংবাদপত্রের স্বাধীনতা” শব্দদ্বয় বর্তমানের বহুল আলোচিত শব্দে পরিণত হয় । এসব জ্ঞানপাপী, শুশিলদের কথাবার্তা শুনে নিয়মিত অবাক হই আর মনে প্রশ্ন জাগে -




স্বাধীনতা মানে কি মিথ্যাচার ?
স্বাধীনতা মানে কি অপপ্রচার ?
স্বাধীনতা মানে কি আইন লংঘন?
স্বাধীনতা মানে কি নিরীহ ব্লগারদের জীবনকে হুমকির মূখে ঠেলে দেয়া ?
স্বাধীনতা মানে কি স্বাধীনতা বিরোধীদের রক্ষার অপচেষ্ঠা ?
স্বাধীনতা মানে কি মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে গৃহযুদ্ধ সৃষ্ঠি করার অপচেষ্ঠা ?

শুধু গৃহপালিত শুশিল সমাজ এবং বিশেষ প্রজাতির বুদ্ধিজিবী নয় ধর্মীয় অনভুতির দাবীদার তথাকথিত অরাজনৈতিক (!) দল হেফাজতে ইসলামের নেতা আহমদ শফী সাহেব এবং ধর্মব্যাবসায়ীদের মুখে যখন মাহমুদুরের মুক্তির দাবী শুনি, মাহমুদুরের মুক্তির দাবীতে আন্দোলন করার কথা শুনি তখনও অবাক হই, আবারও প্রশ্ন জাগে।

‘আলেমদের নির্যাতনের প্রতিবাদে কাবার ইমামদের মানববন্ধন’ শিরোনামে আমার দেশের অনলাইন সংস্করণে ‘মিথ্যা সংবাদ’ প্রকাশ করা কি ধর্ম অবমাননা নয় ?

নিয়মিত মিথ্যা সংবাদ প্রচার করে ধর্মপ্রাণদের সাথে তামাশা করা কি, ধর্মঅবমাননার মধ্যে পড়ে না ?

গুটিকয়েক ধর্মবিদ্ধেষীদের কর্মকান্ডের দায়ে যখন সকল ব্লগারকে (অনেকে আছেন ধর্ম পালন করেন, ধর্মবিদ্বেষীদের বিরোধীতা করেন) নাস্তিক আখ্যায়িত করা কি ধর্মঅবমাননা মধ্যে পড়ে না ?



আর সবচেয়ে বেশী অবাক হই, বিব্রত হই, লজ্জিত হই যখন দেখী মাহমুদুর রহমানের মাধ্যমে সর্বপেক্ষা অপপ্রচার এবং মিথ্যাচারের শিকার হয়ে, সাধারন জনগনের কাছে নিজেদের ভাবমূর্তি সংকটে পড়া ব্লগার সমাজের কতিপয় সদস্য তাকে গ্রেফতার করার প্রতিবাদে সামু ব্লগ মুখর করে তোলেন। যখন এসব ব্লগারগন (!) মাহমুদুরকে, মহাবীর, সত্যের দূত ইত্যাদি বিশেষনে বিশেষায়িত করে, মহমুদুর রহমান এর দাবীর সাথে পরোক্ষভাবে সহমত প্রকাশ করেন তখন বাকরুদ্ধ হয়ে বিস্ময় প্রকাশ করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকে না।

সাংবাদিকতার মত মহান পেশা অথবা প্রকৃত সম্পাদকের মত সম্মানিত ব্যাক্তিদের নিয়ে লিখার মত কোন ধরনের যোগ্যতাই এই কচি বাচ্চার নেই। কিন্তু যখন মাহমুদুর রহমানের মত অনভিজ্ঞ এক বিশেষ রাজনৈতিক দলের দালালের কারনে সাংবাদিকতার মত মহান পেশাকে প্রশ্নবিদ্ধ হতে দেখি, তখন আর নিরব হয়ে বসে থাকতে পারি না। যখন তথাকথিত সম্পাদক মাহমুদুর রহমানের কারনে একটি গনমাধ্যমকে অপপ্রচারের মেশিন পরিণত হয়ে সাংবাদিক সমাজকে কলংকিত করতে দেখি তখন বাধ্য হয়েই লিখতে বসি।

আজ যখন মাহমুদুরের মত অযোগ্য ব্যাক্তিকে বিশেষ এক গণমাধ্যমের সম্পাদকের পদে আসিন হয়ে, সাংবাদমাধ্যমের মত সৃজনশীল একটি প্লাটফর্মকে বিশেষ একটি দলের ভোট পাওযার হাতিযার বানাতে দেখী তখন সবসময়ের মত নিশ্চিত হই, ছাগল দিয়ে কখনও হালচাষ হয় না।

যখন মাহমুদুরের মত দলকানা ব্যাক্তি সম্পাদকের পদে বসে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার বাধাগ্রস্থ করার লক্ষে গণমাধ্যমের মত একটি নিরপেক্ষ প্লাটফর্মকে রাষ্ট্রবিরোধী, দেশবিরোধী এবং জনবিরোধী ভুমিকায় অবতির্ণ করে, দেশকে গৃহযোদ্ধের মুখে ঠেলে দিতে দেখী তখন বারবার মনে হয়, কুকুরের লেজ কখনও সোজা হয়না আর মাহমুদুর রহমানের মত দলকানা, অযোগ্য ব্যাক্তি কখনও সাংবাদিক হতে পারে না ।

এত চাক্ষুষ প্রমাণ পাওযার পরও যারা এখনও মাহমুদুর রহমানকে সাংবাদিক/সম্পাদক হিসেবে দেখতে পছন্দ করেন অথবা বিশ্বাস করেন তিনি সত্যিকারের সাংবাদিক/সম্পাদক ছিলেন।

তাদের প্রতি আমার এক কথায় উত্তর হল, পর্ণ তারকা সানী লিওন যদি কোনদিন ভার্জিনে পরিণত হন, তাহলে মাহমুদুর রহমানও পকৃত সম্পাদক /সাংবাদিক হওযার যোগ্যতা অর্জন করতে পারবেন। আর যদি প্রমাণ করতে পারেন সানী লিওন বর্তমানে ভার্জিন তাহলে একবাক্যে মেনে নেব মাহমুদুর রহমান একজন পকৃত সম্পাদক /সাংবাদিক ছিলেন। ;) ;)


উল্লেখ্য- উপরে কয়েকজন সম্মানিত সাংবাদিকের নাম ব্যাবহার করেছি, আমার মতে এসব প্রবিণ এবং সম্মানিত ব্যাক্তিদের স্বম্পর্কে মন্তব্য করার যোগ্যতাও মাহমুদুর রহমানের নেই । মাহমুদুর রহমানেকে নিয়ে লিখাতে এসব সম্মানিত ব্যাক্তিদের নাম উল্লেখ করার কারনে, কারও মনে যদি বিন্দুমাত্র কষ্ট লেগে থাকে তাহলে আমি আন্তরিক ভাবে দুংখিত। আমার লিখাতে এসব সম্মানিত ব্যাক্তিদের নাম ব্যাবহার করতে পেরে আমি সম্মানিত বোধ করছি। আশা করছি ভবিষ্যতের সকল সাংবাদিকরা এসব মহান ব্যাক্তিদের অনুষরন করবে।


স্ক্রিনশট, ছবি, এবং লিখার আংশিক তথ্যের সুত্র-
বিডিনিউজ, বাংলানিউজ, আমারদেশ অনলাইন, ই আমারদেশ, fairnews24.com
যোগী, দিকভ্রান্ত, দ্বায়িত্ববান, জাহিদ হাসান এবং বাকী বিল্লাহ ভাইয়ের প্রতি কৃতজ্ঞতা রইল।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:০৮
৩৬টি মন্তব্য ৩৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার প্রফেশনাল জীবনের ত্যাক্ত কথন :(

লিখেছেন সোহানী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪



আমার প্রফেশনাল জীবন বরাবরেই ভয়াবহ চ্যালেন্জর ছিল। প্রায় প্রতিটা চাকরীতে আমি রীতিমত যুদ্ধ করে গেছি। আমার সেই প্রফেশনাল জীবন নিয়ে বেশ কিছু লিখাও লিখেছিলাম। অনেকদিন পর আবারো এমন কিছু নিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি হাসান মাহবুবের তাতিন নই।

লিখেছেন ৎৎৎঘূৎৎ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩



ছোটবেলা পদার্থবিজ্ঞান বইয়ের ভেতরে করে রাত জেগে তিন গোয়েন্দা পড়তাম। মামনি ভাবতেন ছেলেটা আড়াইটা পর্যন্ত পড়ছে ইদানীং। এতো দিনে পড়ায় মনযোগ এসেছে তাহলে। যেদিন আমি তার থেকে টাকা নিয়ে একটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

মুক্তিযোদ্ধাদের বিবিধ গ্রুপে বিভক্ত করার বেকুবী প্রয়াস ( মুমিন, কমিন, জমিন )

লিখেছেন সোনাগাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৫:৩০



যাঁরা মুক্তিযদ্ধ করেননি, মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে লেখা তাঁদের পক্ষে মোটামুটি অসম্ভব কাজ। ১৯৭১ সালের মার্চে, কৃষকের যেই ছেলেটি কলেজ, ইউনিভার্সিতে পড়ছিলো, কিংবা চাষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলো, সেই ছেলেটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। সাংঘাতিক উস্কানি মুলক আচরন

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



কি সাঙ্ঘাতিক উস্কানিমুলক আচরন আমাদের রাষ্ট্রের প্রধানমন্ত্রীর । নাহ আমি তার এই আচরনে ক্ষুব্ধ । ...বাকিটুকু পড়ুন

×