বুধবার রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্যাম্পাসে তরুণী উত্ত্যক্তকারী এবং এ ঘটনায় এফ রহমান হলের সঙ্গে সংঘর্ষের ঘটনার মূল হোতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জেন্ট জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক তানভীর। ওই নেতা এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরকেও দু’বার হুমকি দিয়েছিল। এসব ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ওই নেতাকে বহিষ্কার করেছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছে কর্তৃপক্ষ।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের জহুরুল হক হলের সামনে দিয়ে বুধবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে বহিরাগত তিন তরুণী তাদের গন্তব্যে যাচ্ছিল। এ সময় জহুরুল হক হল শাখা ছাত্রলীগের আন্তর্জাতিকবিষয়ক সম্পাদক ও হল ছাত্রলীগ সভাপতি সুমনের সমর্থক তানভীর ওই তরুণীদের উত্ত্যক্ত করে। তাত্ক্ষণিকভাবে এ এফ রহমান হলের আইন বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র আলমগীরসহ আরও কয়েকজন এর প্রতিবাদ করে। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ওই ছাত্রলীগ নেতা ও তার সঙ্গীরা আলমগীর ও শহিদুলকে বেদম মারধর করে। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে ওই রাতেই এ এফ রহমান হলের ছাত্ররা জহুরুল হক হলের ওই ছাত্রলীগ নেতা ও সঙ্গীদের ধাওয়া করে। শুরু হয় দুপক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। হামলায় আহত আলমগীর ও শহিদুলকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে তানভীরের বিরুদ্ধে এর আগেও বেশকিছু অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত ১৮ ও ২৮ ফেবু্রয়ারি একটি ওয়ারিদ নম্বর (০১৬৭৬৩৪৬৮৬০) থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টরকে দু’বার বিভিন্ন হুমকি-ধামকি দেয়। তার সত্যতা পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থা। এ ঘটনায় প্রক্টর অধ্যাপক সাইফুল ইসলাম খান ওই সময় থানায় একটি সাধারণ ডায়রিও করেন।
তানভীরের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া সম্পর্কে প্রক্টর সাইফুল ইসলাম বলেন, তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেছে। তাকে একাডেমিক বহিষ্কার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে মামলা করার প্রস্তুতি চলছে।
তথ্য সূএ(স্বাধীনতার বিপক্ষকন্ঠ.... )

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




