প্রতিদিনের মতো বিছানাটা ছেড়ে
শরীরের আড়মোড় ভেঙ্গে
গিয়ে দাঁড়ালাম জানালার পাশে
এখনও গোলাপের পাঁপড়িতে শিশির বিন্দু টলমল করছে
মৌমাছিটা পিঁ-পিঁ চিৎকার করে গোলাপের চারদিকে ঘুরছে।
জানালার ফাঁকদিয়ে হাঁতখানি ঢুকিয়ে
গোলাপের ডাটা ধরে এক ঝাঁকি দিতে
ঝর ঝর করে পড়ে গেল জমে থাকা শিশিরের টলমল;
মৌমাছটা চিৎকার থামিয়ে
গোলাপের বুকে বসে দিল হুলটা ঢুকিয়ে
হঠাৎ কানে এসে বাজল একটি বাক্য
"মৌমাছিকে বুঝি মধু খেতে সাহায্য করছেন"?
হচকিত হলাম! সামনে তাকাতে
বহুদিনের বন্ধ জানালার পাশে একটি চেহারা
পলক হিন দৃষ্টি আমার দিকে।
বুকের ভিতর কিসের যেন শব্দ!
লজ্জাই মুখখানি রাঙ্গা
অভ্যাস বসে বুকখানি ডাকার বৃথা চেষ্টা
ওড়না ছিলনা বুকে;
তবুও বিছানায় গিয়ে আনাহলনা ওড়নাখানি;
পলক যেন আমারও পরেনা কিছুতে
মনে হয় অনেক দিনের চেনা,
কিছু যেন তার কাছে রয়েছে পাওনা।
ঐপাশ থেকে আবার আওয়াজ এলো;
নতুন এসেছে।
মনে মনে ভাবি; তাইতো বহুদিনের বন্ধ জানালাটা খোলা।
আমার নাম সাগর,
তাইতো বলি কি পাব আমি তার কাছে;
সাগরের বুকচিরে নদীর জন্ম;
নদীইতো পাবে সাগরের কাছে জীবন য়ৌবনের তৃষ্ণার জল;
সেই থেকে জীবনের জয়গান, ভালবাসা, বিশ্বাস, আস্তা
দুজনে খুব কাছাকাছি, দু'জনে খুব কাছাকাছি সপ্পেনর ঘর
মৌমাছির মতো শিঁশিঁর জড়ানো গোলাপে মধুগ্রহণ।
একদিন সকালে জানালার পাশে দাঁড়াতে-
সামনের জানালাখানি বন্ধ;
বুকের ভিতর একটা যেন মৃদু ঝড় বয়ে গেল।
সে ঝড় আর কোনদিন থামিলোনা আমার।
গোলাপের মতো সবেই সপে দিলাম তারে যা ছিল আমার
মৌমাছির মতো মধু খেয়ে চলে গেলে
জীবন যৌবনের কপালে কালিমার চিহ্ন এঁকে।।

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




