মাগো! আমরা যারা সাম্যের গান গাই, আমরা যারা চাই তোমার সব সন্তানেরা মিলে তোমাকে অপরূপ রূপে সাজাতে, তাদের মাথায় উপর নাস্তিকতার খর্গ চক চক করছে।হাজারো ধর্মান্ধ মৌলবাদের জ্বিহ্বা লক লক করছে আমাদের রক্ত চোষার জন্য। আমি নিরূপায় মা! তোমাকে চলে যেতে হবে অন্ধকার প্রকষ্টে তোমার সন্তান থেকে যোজন যোজন দূরে। এই পুরুষ শাসিত ধর্মান্ধ সমাজে তোমার কাজ শুধু আমার মত অধম সন্তানের ভূমিষ্ট করা।
ভগ্নী আমার ক্ষমা করো আমাকে-তোমাকে যেতে হবে চার দেওয়ালের অন্ধকার প্রকষ্টে। আমি পারবোনা বাচাতে তোমাকে, আমার হাত যে নাস্তিকতার শক্ত বাধনে বন্ধি।বোন তোমার কোন অধিকার নেই শিক্ষা গ্রহণের। কোন অধিকার নেই এই জগৎকে জানার, চিনার
নেই
নেই
নেই!!! এই পুরুষ শাসিত সমাজে তোমার কোন অধিকার নেই।
জায়া-স্ত্রী-সহধমীনি তোমার কাজ শুধু আমার মনরঞ্জন করা। ঐ চার দেওয়ালের প্রকষ্টে তটস্থ হয়ে প্রস্তুত থাকবে কখন আমি তোমার কাছে কি চাইব! যখন আমার ইচ্ছে হবে তোমার ইচ্ছার বিরুদ্ধে তোমাকে ধর্ষণ করে আমার পুরুস্ত জাহির করবো! কিছুই বলার অধিকার নেই তোমার।
কন্যা আমার- তোমার তুল-তুলে গালে আমি স্নেহের চুম্বন দিতে পারবোনা আমাকে ক্ষমা করো! আমি পুরুষ এই পুরুষ পিতাকে তুমি ক্ষমা কর!!!!!
নারী তোমার কাছে প্রশ্ন---
তুমি কি মধ্যযুগীয় ১৩ দফার বেড়াজ্বালে বন্ধি হবে?
তুমি কি শুধু পুরুষ শাসিত সমাজে সেবা দাসী হয়ে থাকবে?
যদি মধ্যযুগীয় ১৩ দফা মেনে নাও আমি পুরুষ আমি ধর্মান্ধ মৌলবাদ আহ্বাল্লাদিত!!!!
আর যদি অধিকার চাও তাহলে আওয়াজ তোল। চার দেওয়ালের প্রকষ্ট ভেঙ্গে বেরিয়ে এসো----
পথের বাকে সাম্যের ঢালা হাতে এথনও দাড়িয়ে আছে কিছু (পুরুষ) মানুষ তোমার সঙ্গী হতে।
জাগো নারী
এখনই সময় জেগে উঠার
ঐ অন্ধকার প্রকোষ্ট ভেঙ্গে
ভোরের সোনালী আভা গায়ে মেখে
দক্ষিনা হাওয়াই আচল উড়িয়ে
বজ্রমুষ্ঠি আন্দোলিত করে
জাগো নারী
জাগো নারী
জাগো নারী!!!!!!!!!!!!!

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





