somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কী পেলাম হরতালে?

০৬ ই জুলাই, ২০১১ রাত ১১:০৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

হরতালের ডামাডোল আবার শুরু হয়ে গেলো। সকালে অফিসে গেলাম খুব আরামে। রাস্তায় গাড়ি কম, একটু অপেক্ষার পর পেয়ে গেলাম মহাখালিগামি চারচাকার টেম্পু। যাত্রী ভরে যাওয়া মাত্র তুফান বেগে ছুটতে শুরু করলো। মিরপুর ১ থেকে মহাখালি আস্তে সময় নিলো আনুমানিক ১৫মিনিট। সেখানে মিনিট পাঁচেক অপেক্ষার পর আরেকটা চার চাকা। গুলশান ২। হিসাব করে দেখলাম, মিরপুর ১ থেকে গুলশান ২ পর্যন্ত আসতে সময় লাগলো ৩০মিনিটের মতো। আর কি নির্মল পরিবেশ, ধোঁয়া নেই, শব্দ নেই। টেম্পুর হেল্পারের শুধু চিৎকার "আগে বাড়া, আগে বাড়া"। পিকেটারদের ভয়!

অফিসের পরিবেশ নিরিবিলি। বস লেভেলের লোকজন কম। আমরা কামলা শ্রেনী পুরোপুরি উপস্থিত! তবে অলসতার ষোলকলা পূর্ণ করে! কেউ ১০টায়, কেউ ১১টায় একজন দেখি ১২টায় আসলো!

রুটিন কাজে মন দিলাম। হঠাত পেছন থেকে চিৎকার "এই... ঢাকা শহরের নেক্সট মেয়র পেয়ে গেছি!"ব্যাপারটা বোঝার জন্য ঘুরতে হলো। দেখি বিডি নিউজে জয়নাল আবেদিন ফারুকের ছবি। খালি গায়ের আমাদের এক ন্যতা! চিতকাত হয়ে নানান ভঙ্গিমায় তোলা ছবি। ঘাড়ে হাল্কা রক্তও দেখা যাচ্ছে! কলিগ বলে যাচ্ছিলেন "খোকার না মাথা ফাটাইছিলো এইরকম? তার পর না সে মেয়র হইছিলো?" আমি মাথা নাড়লাম "নাহ, এরা গরুর রক্ত জোগাড় করতে পারে নাই।" পত্রিকায় ছাপানো সাদেক হোসেন খোকার সেই ছবি এখনো মনে আছে। রক্তে ভেসে যাওয়া একজন মানুষের ছবি। আমি জানিনা কোন যাদুবলে খোকা সেদিন দাঁড়িয়ে ছিলেন! দুষ্ট লোকেরা বলেছিলো ওইগুলা নাকি গরুর রক্ত ছিলো! সত্যমিথ্যা আল্লাহ জানে!

বাসায় এসে বিভিন্ন পত্রিকা পড়লাম। যা জানলাম, নতুন কিছু পেলাম বলে মনে হলোনা। শুধু আরেকজন অশালিন নেতাকে দেখলাম ভালো করে। আমাদের ন্যতাগনের শালীনতা নিয়ে কিছু বলা মুশকিল। কিন্তু রাজপথে গায়ের গেঞ্জি খুলে পুলিশকে অশ্রাব্য ভাষায় গালিগালাজ কোন নেতা করেছিলেন কিনা জানিনা!! নাসিম, মতিয়া চৌধুরি এবং আরো অনেকে পুলিশি নির্যাতনের শিকার হয়ে ছিলেন। বিএনপি বা আম্লিগ কোন দলই বিপরিত পক্ষের কাউকে দয়া দেখায়নি। কিন্তু এই ন্যতা সম্পূর্ণ অন্য রকম! টান মেরে গায়ের গেঞ্জি খুলে ফেললেন। তারপর তার মাতৃভাষায় কথোপকথন শুরু করলেন! অশ্লিল ন্যতা, অশ্লিল রাজনীতি আর অশ্লিল হরতাল!

ফারুক সাহেব কি ত্যগি কোন রাজনীতিবিদ? অন্তত মতিয়া চৌধুরি বা ডেডিকেটেড কোন রাজনীতিবিদের সাথে তার তুলনা করা যায়? হরতাল ডেকে ক্লান্ত নেত্রী রাজপথে দলীয় কর্মকাণ্ড না দেখে ক্ষুব্দ হয়েছিলেন! মনে হয় ফারুক সাহেব নেত্রীর ক্ষোভকে খুব সিরিয়াস্লি নিয়েছিলেন! ভোর ৬টায় একশনে নাম্লেন তাই সংসদ ভবন এলাকায়। রোদ তেতে গেলে রাস্তায় থাকেন কিভাবে? আহা, সোনার শরীর! আবার ক্ষমতায় গেলেই আর চিন্তা নেই, আজকের ডেডিকেশন আর ঘর্মাক্ত শরীরের মূল্য কি আর দল দিবেনা?

হরতালে কারা রাজনীতিবিদদের পেটায়? বি এন পি আমলে ছিলেন এক কোহিনুর! বি এন পির "কোহিনুর"। ওলের বদলে বাঘা তেঁতুল নিয়ে এখন লীগ নেমেছে রাজপথে। পুলিশ বাহিনিতে ছাত্রলিগের সোনার ছেলেরা! ফারুক সাহেবের মতো অশ্লিল কিছু লোক ন্যতা হওয়ার গুনে তাদের মাসল দেখান রাজপথে!

আজকের হরতালে দেশ বা জাতি কী পেলো জানিনা। তবে ঢাকাবাসি মনে হয় তাদের একজন মেয়র পেয়েই গেলো!
আবেদিন সাহেব, নেত্রী আপনার ডেডিকেশন দেখেছেন। আপনাকে হাস্পাতাল পর্যন্ত "নিতে" হয়েছে সেটা মিডিয়াতে এসেছে! দয়া করে ওই নোংরা শরীর টা ঢাকুন! আশেপাশে মহিলা সাংসদ দের সামনে খালি গা হতে আপনার লজ্জা করেনি এতে আমরা আরো মূগ্ধ! দেশ এবং জাতির প্রতি আপনার এই ভালোবাসা আমাদের মনে থাকবে!
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশে কোন প্রজন্ম সবচেয়ে দুর্নীতিগ্রস্ত? ১৯৭১ থেকে একটি সংক্ষিপ্ত ভাবনা

লিখেছেন মুনতাসির, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৮:৪৩

বাংলাদেশে দুর্নীতির প্রশ্নটি প্রায়ই ব্যক্তি বা দলের দিকে ছুড়ে দেওয়া হয়। কিন্তু একটু গভীরে গেলে দেখা যায়, এটি অনেক বেশি প্রজন্মভিত্তিক রাজনৈতিক - অর্থনৈতিক বাস্তবতার সঙ্গে যুক্ত। ১৯৭১ এর পর... ...বাকিটুকু পড়ুন

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

×