বাঙালী মেয়েদের প্রিয় এবং প্রধান পোষাক শাড়ী। আর এটাই হওয়া স্বাভাবিক। কারন আবহমান কাল থেকে বাঙালী মায়েরা এই পোষাক পড়েই এসেছেন। আমরা মা দিদিমাকে এই শাড়ীতেই অন্যন্য দেখেছি।
মেয়ে সন্তান জন্ম নিলে ছোটবেলায় শাড়ী পরিয়ে বৌ সাজের ছবি তোলেন না এমন মা বাবা খুবই কম আছে।
মেয়েদের শাড়ী পরাটা র শুরু এভাবেই হয়ে থাকে। তারপর একটু বড় হলে মায়ের শাড়ী পড়ে মা সেজে অভিনয় করতে করতে কখন তারা নিজেদেরকে শাড়ীতে সাজাতে পছন্দ করে বসে।
আজকাল শাড়ী না পড়াটা অনেক গর্বের মনে করে থাকে আমার বাঙালী বোনেরা।অনেক অজুহাত। শাড়ী পড়তে দেরী হয়, শাড়ীতে নিরাপদ মনে হয়না। ইত্যাদি। আমার কাছে এই যুক্তিগুলো অত্যন্ত খোঁড়া মনে হয়।
শাড়ী একটা জাতির প্রতিনিধিত্ব করছে। অথচ আমরা ভুলতে বসেছি। অনেক অনুষ্ঠানে শাড়ী পড়তে বললে শোনা যায় তারা শাড়ী পড়তে পারে না। এটা ন্যাকামী না আদিখ্যেতা আমি বলতে পারবো না। তবে কবি যে আর লিখতে পারবে ন না “কি আঁচল বিছায়েছ, নদীর কূলে……
এর পরের প্রজন্মের যারা কবি হবে তারাতো তার মাকে শাড়ী পড়তে দেখেনি।তারা আঁচল শব্দ খুঁজতে অভিধান খুলবে।
তবে কি তারা শুধু লাল দোপাট্টা নিয়েই লিখবে? আর দোপাট্টার নীচে মায়ের আদর খুঁজে বেড়াবে?