আমরা এখন দাঁড়িয়ে আছি মধুর একটা সন্ধিক্ষণে।আর কয়েক ঘন্টা পরেই অস্ত যাবে চৈত্রের সূর্য, বসন্তের সূর্য্, বছরের শেষ সুর্য। বিদায় ১৪২২।
বিদায় বেদনা বিধূর হলেও তার কোন এক কোনে লুকিয়ে থাকে নতুনের উঁকি।তাই যেতে হবেই। তা না হলে কিভাবে আসবে আগামীর নতুন ভোর, নতুন সূর্য।সাদর সম্ভাষন হে নতুন ১৪২৩।
চৈত্র মাস গ্রাম বাংলার জীবনে এক গুরুত্ব রচনা করে আছে।এই সময় মাঠ ভরা চৈতালী তে ভরে যায় জীবন।পলাশ ,অশোক,শিমুল, কৃষ্ণ চূড়ার বন্যায় চৈতালী ভাসতে থাকে, হাসতে থাকে।তারা তাদের শেষ আগুনটুকু ছড়িয়ে দেয়। ফসলের টাকায় করতে হবে হালখাতা, দিতে হবে খাজনা।
এই সময় হঠাত করেই রোদের তাপের মাত্রা বেড়ে যায়। উড়তে থাকে বৃষ্টি হীণ ধুলা, আর বইতে থাকে ঝরো হাওয়া।
খা খা করে চৈত্রের দুপুর। প্রেমিকের মন উদাস হয়। আনমনে সে অপেক্ষা করে নতুনের, বৈশাখের্।
এই সময় বায়ু বাহিত রোগগুলো ছড়িয়ে পড়ে। হাম আর বসন্ত হয় ঘরে ঘরে।প্রাচীন কালে এর কোন ওষধ ছিল না। এক মাত্র ভেষজ ছিল এর প্রতিকার। তাইতো তারা অনেকেই মাছ খেতনা এই মাস জুড়ে। সজনে চলতো বসন্ত রোগের প্রতিষেধক হিসাবে।আর চলতো তিতা স্বাদের সব। যেমন গিমা শাক, হেলেচ্ঞা শাক, থানকুনিপাতা,নিম পাতা, এই সব। কোন কোন অন্চ্ঞলে আজকে হলুদ আর নিমপাতা বাটা মেখে আর তিতা খেয়ে বিদায় করে পুরানো বছরের জরা ব্যাধিকে।
আর নতুন বছরের ফল আমকেও স্বাগত জানায় আজকে। আজ আম না খেলে এ বছর আর আম খাওয়া যাবে না , এটাও প্রচলিত আছে কোন কোন এলাকায়।সু স্বাগতম হে নতুন, হে ১৪২৩।
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৩:৩৮

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




